ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

নিউইয়র্কে ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল বাংলাদেশি দুই ভাইয়ের

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ০২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০
  • / ৫০৯ টাইম ভিউ

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি দুই ভাই, আহত হয়েছেন তাদের আরেক ভাই। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও একজন মারা গছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ভোররাতে বাফেলো থেকে নিউ ইয়র্কে ফেরার সময় রচেস্টার এলাকায় তারা দুর্ঘটনায় পড়েন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত মোজাম্মেল হক রাসেল (৩০) যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও ‘ময়মনসিংহ বিভাগ তারুণ্য’ নামক একটি সংগঠনের নেতা।

তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তার গাড়িতে থাকা ছোট ভাই হিমেল এ জয়ও (২৪) ঘটনাস্থলেই মারা যান।

তাদের ভাই আনিসুল হক আপেল (২৩) এবং গাড়িতে থাকা কেনেডি অপি (১৮) নামে আরেকজন আহত হন। তাদের স্ট্রং মেমরিয়্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিউ ইয়র্ক রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, বিপরীত দিক থেকে (ভুল পথে) আসা একটি গাড়ির সঙ্গে রাসেলের গাড়ির সংঘর্ষ হয়।

অন্য গাড়িটির চালক ৮১ বছর বয়েসী চার্লস বারগারস্টোকও ঘটনাস্থলে মারা যান। তিনি ওহাইয়োর বাসিন্দা।

রাসেল নিউ ইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ায় সপরিবারে বসবাস করছিলেন। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে।

রাসেলের বাবা নিউ ইয়র্ক বোর্ড অব ইলেকশন কমিশনের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া জানান, রাসেলসহ অন্যরা নায়েগ্রা জলপ্রপাত দেখতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে।

রাসেল ও জয়ের লাশ ময়না তদন্তের পর নিউ ইয়র্কে এনে দাফন করা হবে বলে জানান সিরাজুল।

এ দুর্ঘটনায় বাঙালি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমেরিকায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের মধ্যে জামাল উদ্দিন লিটন, বদরুল আলম চৌধুরী শিবলু, আহমেদুর রহমান নোমান সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবন্দরা শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। শোক জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের  কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসাও।

পোস্ট শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে ফেরার পথে সড়কে প্রাণ গেল বাংলাদেশি দুই ভাইয়ের

আপডেটের সময় : ০২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি দুই ভাই, আহত হয়েছেন তাদের আরেক ভাই। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় আরও একজন মারা গছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ভোররাতে বাফেলো থেকে নিউ ইয়র্কে ফেরার সময় রচেস্টার এলাকায় তারা দুর্ঘটনায় পড়েন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত মোজাম্মেল হক রাসেল (৩০) যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও ‘ময়মনসিংহ বিভাগ তারুণ্য’ নামক একটি সংগঠনের নেতা।

তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তার গাড়িতে থাকা ছোট ভাই হিমেল এ জয়ও (২৪) ঘটনাস্থলেই মারা যান।

তাদের ভাই আনিসুল হক আপেল (২৩) এবং গাড়িতে থাকা কেনেডি অপি (১৮) নামে আরেকজন আহত হন। তাদের স্ট্রং মেমরিয়্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিউ ইয়র্ক রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, বিপরীত দিক থেকে (ভুল পথে) আসা একটি গাড়ির সঙ্গে রাসেলের গাড়ির সংঘর্ষ হয়।

অন্য গাড়িটির চালক ৮১ বছর বয়েসী চার্লস বারগারস্টোকও ঘটনাস্থলে মারা যান। তিনি ওহাইয়োর বাসিন্দা।

রাসেল নিউ ইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ায় সপরিবারে বসবাস করছিলেন। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে।

রাসেলের বাবা নিউ ইয়র্ক বোর্ড অব ইলেকশন কমিশনের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া জানান, রাসেলসহ অন্যরা নায়েগ্রা জলপ্রপাত দেখতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে।

রাসেল ও জয়ের লাশ ময়না তদন্তের পর নিউ ইয়র্কে এনে দাফন করা হবে বলে জানান সিরাজুল।

এ দুর্ঘটনায় বাঙালি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমেরিকায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের মধ্যে জামাল উদ্দিন লিটন, বদরুল আলম চৌধুরী শিবলু, আহমেদুর রহমান নোমান সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবন্দরা শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। শোক জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের  কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসাও।