দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ওই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
বেশ কিছু দোকান-পাট, টিকিট কাউন্টার, ১৫টি বাস ও পাঁচটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা রেল স্টেশনে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।
এর আগে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে অনুমোদন দেওয়ার পর বিলটি আইনে পরিণত হয়।
এই ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিও অশান্ত হতে শুরু করে। শুক্রবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেল অবরোধ করে রাখা হয়। শনিবারও প্রতিবাদ, সহিংসতা অব্যাহত ছিল।
এর আগে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে আসামে। সেখানে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় গুয়াহাটিতে কারফিউ জারি করা হয়। যদিও পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে ধীরে সেখানেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু এবার পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছেই।
এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ-আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মমতা বলেন, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করবেন না, উত্তেজনা বা আতঙ্ক ছড়াবেন না, সাম্প্রদায়িক উসকানিতে পা দেবেন না।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার পোড়াডাঙা, জঙ্গিপুর এবং ফারাক্কা স্টেশন এবং হাওড়া জেলার দক্ষিণ পূর্ব রেলপথে বাউরিয়া ও নলপুর স্টেশনগুলোতে দফায় দফায় রেল অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি তারা রাজ্য পরিবহন দফতরের অধীনস্থ তিনটি সরকারি বাসসহ পনেরোটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অপরদিকে হাওড়ায় সাঁকরাইল রেলস্টেশন ও এর আশপাশে কয়েকশো মানুষ রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। স্টেশন কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে টিকিট কাউন্টারেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com