ঢাকা , সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম

“নাইরোবি” বাংলাদেশ হাই কমিশন যথাযথ মর্যাদা শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী পালন করলো

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪৫১ টাইম ভিউ

বাংলাদেশ হাই কমিশন, নাইরোবি যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপি কর্মসূচীর মাধ্যমে আজ কেনিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে। সকালে মিশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার সায়েম আহমেদ। মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এসময়ে উপস্থিত ছিলেন। এরপর, মিশনের পক্ষ থেকে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে প্রাপ্ত বাণী পাঠ করা হয়। এসময়ে, শহিদ শেখ রাসেল ও ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর অন্যান্য শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। সন্ধ্যায়, মিশনে এক আলোচনা অনুষ্ঠান ও স্থানীয় বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে শেখ রাসেল স্মৃতি বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।

করোনা মহামারীর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিনে শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। ইতিহাসের যে জঘণ্যতম হত্যাকাণ্ডে শেখ রাসেল শহিদ হয়েছেন তার ঘাতকদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের পাশাপাশি এ হত্যাকান্ডের বিচার হওয়ায় বক্তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের নিয়ে আয়োজিত শেখ রাসেল স্মৃতি বক্তৃতা ছিলো সন্ধ্যার মূল আকর্ষণ। প্রায় সব অংশগ্রহণকারীই ছিলো শেখ রাসেলের সমবয়সী। তারা শিশু রাসেল এর সহজ-সরল জীবনের কথা উল্লেখ করে অত্যন্ত আবেগপূর্ণ ভাষায় বলে, ঘাতকের বুলেট কতো কম বয়সে শিশু রাসেলের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। শিশুরা আশা প্রকাশ করে, পৃথিবীর আর কোন জায়গায় যেন এরকম ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড না ঘটে।

সমাপনী বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার উপস্থিত সবাইকে মুজিব বর্ষ ও শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, শিশু শেখ রাসেল বাংলাদেশের সব শিশু-কিশোরদের দীপ্ত জয়োল্লাস আর অদম্য আত্মবিশ্বাসের অনুপ্রেরণা। পৃথিবীর ইতিহাসে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর মতো বর্বরোচিত হত্যাকান্ড বিরল বলে তিনি উল্লেখ করেন। শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী “ক” শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় তিনি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। উপস্থিত শিশু-কিশোরসহ সবাইকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখি, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান।

শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মদিনের কেক কাটা ও নৈশভোজের আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

“নাইরোবি” বাংলাদেশ হাই কমিশন যথাযথ মর্যাদা শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী পালন করলো

আপডেটের সময় : ০৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশ হাই কমিশন, নাইরোবি যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপি কর্মসূচীর মাধ্যমে আজ কেনিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে। সকালে মিশন চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার সায়েম আহমেদ। মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এসময়ে উপস্থিত ছিলেন। এরপর, মিশনের পক্ষ থেকে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে প্রাপ্ত বাণী পাঠ করা হয়। এসময়ে, শহিদ শেখ রাসেল ও ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর অন্যান্য শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। সন্ধ্যায়, মিশনে এক আলোচনা অনুষ্ঠান ও স্থানীয় বাংলাদেশী শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে শেখ রাসেল স্মৃতি বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।

করোনা মহামারীর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহিদ শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিনে শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। ইতিহাসের যে জঘণ্যতম হত্যাকাণ্ডে শেখ রাসেল শহিদ হয়েছেন তার ঘাতকদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের পাশাপাশি এ হত্যাকান্ডের বিচার হওয়ায় বক্তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের নিয়ে আয়োজিত শেখ রাসেল স্মৃতি বক্তৃতা ছিলো সন্ধ্যার মূল আকর্ষণ। প্রায় সব অংশগ্রহণকারীই ছিলো শেখ রাসেলের সমবয়সী। তারা শিশু রাসেল এর সহজ-সরল জীবনের কথা উল্লেখ করে অত্যন্ত আবেগপূর্ণ ভাষায় বলে, ঘাতকের বুলেট কতো কম বয়সে শিশু রাসেলের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। শিশুরা আশা প্রকাশ করে, পৃথিবীর আর কোন জায়গায় যেন এরকম ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড না ঘটে।

সমাপনী বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার উপস্থিত সবাইকে মুজিব বর্ষ ও শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, শিশু শেখ রাসেল বাংলাদেশের সব শিশু-কিশোরদের দীপ্ত জয়োল্লাস আর অদম্য আত্মবিশ্বাসের অনুপ্রেরণা। পৃথিবীর ইতিহাসে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর মতো বর্বরোচিত হত্যাকান্ড বিরল বলে তিনি উল্লেখ করেন। শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী “ক” শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় তিনি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। উপস্থিত শিশু-কিশোরসহ সবাইকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখি, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান জানান।

শহিদ শেখ রাসেল এর জন্মদিনের কেক কাটা ও নৈশভোজের আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।