ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

নন-এমপিও জীবনের অবসান কবে..?

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
  • / ১১১৩ টাইম ভিউ

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, সর্বশ্রেষ্ঠ মহান পেশা;এ শব্দগুলো খুবই সম্মানজনক। শিক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের চাহিদা ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশ ও শিক্ষায় পিছিয়ে নেই। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক বছর আগে। অথচ এখনো দেশের শিক্ষকরা অন্নহীন। দুমুঠো ভাতের জন্য তাদের রাস্তায় নামতে হয়। ভাবতেও আমার কষ্ট হয়। জাতি গড়ার এ কারিগরদের যদি দু’মুঠো ভাতের অধিকারের জন্য দিনের পর দিন রাস্তায় ঘুমাতে হয়, তাহলে শিক্ষিত জাতি গঠনের স্বপ্ন পূরণ হবে কিভাবে?আমাদের রাজনীতিকরা দেশকে নিয়ে কতই না স্বপ্ন দেখেন।কিন্তু তারা জাতি গঠনে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ‘শিক্ষা’ নিয়ে কেন স্বপ্ন দেখলেন না। যদি দেখেই থাকেন তা হলে শিক্ষার কেন এমন দুরবস্থা? শিক্ষকদের কেন বেতনের জন্য কাঁদতে হবে ?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,বিশ্বব্যাপি এক মহা আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস,আমরাও এর বাইরে নয়। সারাবিশ্বের ন্যায় দেশ আজ করোনায় আক্রান্ত। আপনার নির্দেশনা মোতাবেক আমরাও করোনা মোকাবেলার কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি আপনার দৃঢ় নেতৃত্বে আল্লাহর রহমতে দেশ দ্রুতই করোনা মুক্ত হবে। দেশের মানুষ আবার ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসবে, হাসি ফুটবে সকলের মুখে।
প্রিয় জননী,প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর গত বছরের ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩৭টি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে সরকার। কিন্তু ওই তালিকায় বেশ কয়েকটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানের নাম আসায় নানা মহলে শুরু হয় সমালোচনা। এরপরই এসব প্রতিষ্ঠান যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু দিন আসে দিন যাই,দিন শেষে মাসও অতিক্রম করে এতটা মাস পার হলেও এখনো প্রকাশ করা হয়নি গেজেট। ফলে হতাশ শিক্ষরা এবং জুনের আগে শিক্ষক এমপিওভুক্ত নিয়ে এক প্রকার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে সেই কাজ বন্ধ হয়ে আছে। ফলে ২ হাজার ৭৩৭টি প্রতিষ্ঠানের ৩০ হাজার পরিবারে খেয়ে না খেয়েই কোনও রকমে বেঁচে থাকার লড়াই চলছে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।শুধু একটি আদেশ জারি না হওয়ায় করোনা সংকটে এদের জীবন আজ প্রায় বিপন্ন।অর্থ বরাদ্দ থাকার পরও মোট ২ হাজার ৭৩৭টি প্রতিষ্ঠানের ৩০ হাজার পরিবারে কান্না চলছে করোনা সংকটের সময়। মানবেতর জীবনযাপন করছেন সবাই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত আদেশটি জারি করলেই শিক্ষক-কর্মচারীরা করোনার সময় বাঁচার নিশ্চয়তা পাবেন।
শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবার করোনাভাইরাসের এই সময় মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারা হাত পেতে সাহায্যও নিতে পারছেন না। আবার সংসারও চালাতে পারছেন না। খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের জীবন। ফলে টাকা বরাদ্দ থাকার পরও ৩০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবারের সদস্যদের মানবেতর জীবনযাপন চলছে।’মৃত্যু ভয় এবং পেটের ক্ষুধা দুটির যন্ত্রণা বড়ই বেদনাদায়ক। নন-এমপিও শিক্ষক কাকে ঘরে অভ্যর্থনা জানাবে আর কাকেই বা ঘর থেকে বিদায় করবে। উভয় সংকটে পড়ে নন-এমপিও শিক্ষক আজ হতাশায় নিমজ্জিত। পেটের ক্ষুধা নিবারণ করবে না করোনা ভাইরাসকে ঘরের দুয়ার খুলে ভেতরে নিয়ে আসবে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে পরাজয় বরণ করবে,না করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঘরে বসে শক্তি সঞ্চয় করবে। সবকিছুতেই যে মহাবিপদ সংকেত। মহাবিপদ সংকেত উপেক্ষা করা যে কঠিন ব্যাপার..!
মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে যতটুকু জেনেছি, বর্তমানে দেশে অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে পাঁচ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে নতুন এমপিও পেয়েছে ২ হাজার ৭৩৭টি। এছাড়া এ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির বাইরে রয়েছে আরও ২ হাজারেরও বেশি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেসরকারি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে এক লাখের বেশি।
প্রিয় মানবতার মা,আপনি শিক্ষানুরাগী মাতৃতুল্য শিক্ষাবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।তাই আপনার কাছে নিবেদন- দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন, মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ইত্যাদি সম্ভব হয়েছে আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বে। অথচ নন-এমপিও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে, যা মোটেই কাম্য নয়। প্রশ্ন হল, এমপিওভুক্তিতে আপনার দিকনির্দেশনা এবং আশ্বাস থাকা সত্ত্বেও তাহলে বিষয়টি নিয়ে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্র হচ্ছে? সামান্য এ বিষয়টি কেন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আপনার পর্বতপ্রমাণ সাফল্যকে। এমপিওভুক্তির বিষয়টি সুরাহার জন্য আপনারকাছে তাই বিনীত অনুরোধ করছি,যার মধ্যদিয়ে শিক্ষকরা অন্তত্ত দু-বেলা দু-মুঠো খেয়ে পরে শিক্ষার মান উন্নয়নসহ দেশের সার্বিক কল্যানে ভুমিকা রাখতে পারবে।
কেননা,আমরা সবাই জানি; হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার শাসনামলে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় একসঙ্গে সরকারিকরণ করে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।আবার তারই যোগ্য উত্তরসূরি জনগণের মানসকন্যা, দেশরত্ন, চারবারের নির্বাচিত সফল প্রধানমন্ত্রী আপনি দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় একসঙ্গে সরকারিকরণ করে আবারও এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। দেশবাসী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরসূরি হিসেবে আপনার কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
বাংলাদেশের মাটিতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আপনি বিশ্বের বুকে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং এই মহানুভবতার কারণে বিশ্ববাসী আপনাকে জানে ‘মানবতার মা’ হিসাবে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। গতদিনও বলেছেন প্রণোদনা থেকে কোনো খাত বাদ যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই সবার পেটের ক্ষুধা বুঝতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মুখপানে চেয়ে রয়েছে ২৭৩৭ টি প্রতিষ্ঠান।
আমরা তাই আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, “শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করলেই আদেশ জারি করতে পারে। তাতে নতুন এমপিও পাওয়া প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষকের পরিবার করোনা সংকটের সময় জীবন বাঁচাতে পারে। একটি আদেশেই পারে এসব পরিবারের কান্না থামাতে” বিষয়টি মমতাময়ী দৃষ্টিকোন হতে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ব্যবস্থা নেওয়ার আশা রেখে;আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।ভাল থাকবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী………………………….
লেখকঃ এম.এ মারুফ(সোহেল), প্রভাষক(দর্শন),জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ। কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ।

পোস্ট শেয়ার করুন

নন-এমপিও জীবনের অবসান কবে..?

আপডেটের সময় : ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, সর্বশ্রেষ্ঠ মহান পেশা;এ শব্দগুলো খুবই সম্মানজনক। শিক্ষা একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের চাহিদা ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশ ও শিক্ষায় পিছিয়ে নেই। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক বছর আগে। অথচ এখনো দেশের শিক্ষকরা অন্নহীন। দুমুঠো ভাতের জন্য তাদের রাস্তায় নামতে হয়। ভাবতেও আমার কষ্ট হয়। জাতি গড়ার এ কারিগরদের যদি দু’মুঠো ভাতের অধিকারের জন্য দিনের পর দিন রাস্তায় ঘুমাতে হয়, তাহলে শিক্ষিত জাতি গঠনের স্বপ্ন পূরণ হবে কিভাবে?আমাদের রাজনীতিকরা দেশকে নিয়ে কতই না স্বপ্ন দেখেন।কিন্তু তারা জাতি গঠনে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ‘শিক্ষা’ নিয়ে কেন স্বপ্ন দেখলেন না। যদি দেখেই থাকেন তা হলে শিক্ষার কেন এমন দুরবস্থা? শিক্ষকদের কেন বেতনের জন্য কাঁদতে হবে ?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,বিশ্বব্যাপি এক মহা আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস,আমরাও এর বাইরে নয়। সারাবিশ্বের ন্যায় দেশ আজ করোনায় আক্রান্ত। আপনার নির্দেশনা মোতাবেক আমরাও করোনা মোকাবেলার কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি আপনার দৃঢ় নেতৃত্বে আল্লাহর রহমতে দেশ দ্রুতই করোনা মুক্ত হবে। দেশের মানুষ আবার ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসবে, হাসি ফুটবে সকলের মুখে।
প্রিয় জননী,প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর গত বছরের ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩৭টি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে সরকার। কিন্তু ওই তালিকায় বেশ কয়েকটি অযোগ্য প্রতিষ্ঠানের নাম আসায় নানা মহলে শুরু হয় সমালোচনা। এরপরই এসব প্রতিষ্ঠান যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু দিন আসে দিন যাই,দিন শেষে মাসও অতিক্রম করে এতটা মাস পার হলেও এখনো প্রকাশ করা হয়নি গেজেট। ফলে হতাশ শিক্ষরা এবং জুনের আগে শিক্ষক এমপিওভুক্ত নিয়ে এক প্রকার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে সেই কাজ বন্ধ হয়ে আছে। ফলে ২ হাজার ৭৩৭টি প্রতিষ্ঠানের ৩০ হাজার পরিবারে খেয়ে না খেয়েই কোনও রকমে বেঁচে থাকার লড়াই চলছে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।শুধু একটি আদেশ জারি না হওয়ায় করোনা সংকটে এদের জীবন আজ প্রায় বিপন্ন।অর্থ বরাদ্দ থাকার পরও মোট ২ হাজার ৭৩৭টি প্রতিষ্ঠানের ৩০ হাজার পরিবারে কান্না চলছে করোনা সংকটের সময়। মানবেতর জীবনযাপন করছেন সবাই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত আদেশটি জারি করলেই শিক্ষক-কর্মচারীরা করোনার সময় বাঁচার নিশ্চয়তা পাবেন।
শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবার করোনাভাইরাসের এই সময় মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারা হাত পেতে সাহায্যও নিতে পারছেন না। আবার সংসারও চালাতে পারছেন না। খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের জীবন। ফলে টাকা বরাদ্দ থাকার পরও ৩০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবারের সদস্যদের মানবেতর জীবনযাপন চলছে।’মৃত্যু ভয় এবং পেটের ক্ষুধা দুটির যন্ত্রণা বড়ই বেদনাদায়ক। নন-এমপিও শিক্ষক কাকে ঘরে অভ্যর্থনা জানাবে আর কাকেই বা ঘর থেকে বিদায় করবে। উভয় সংকটে পড়ে নন-এমপিও শিক্ষক আজ হতাশায় নিমজ্জিত। পেটের ক্ষুধা নিবারণ করবে না করোনা ভাইরাসকে ঘরের দুয়ার খুলে ভেতরে নিয়ে আসবে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে পরাজয় বরণ করবে,না করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঘরে বসে শক্তি সঞ্চয় করবে। সবকিছুতেই যে মহাবিপদ সংকেত। মহাবিপদ সংকেত উপেক্ষা করা যে কঠিন ব্যাপার..!
মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে যতটুকু জেনেছি, বর্তমানে দেশে অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে পাঁচ হাজার ২৪২টি। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে নতুন এমপিও পেয়েছে ২ হাজার ৭৩৭টি। এছাড়া এ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির বাইরে রয়েছে আরও ২ হাজারেরও বেশি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেসরকারি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে এক লাখের বেশি।
প্রিয় মানবতার মা,আপনি শিক্ষানুরাগী মাতৃতুল্য শিক্ষাবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।তাই আপনার কাছে নিবেদন- দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন, মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ইত্যাদি সম্ভব হয়েছে আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বে। অথচ নন-এমপিও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে, যা মোটেই কাম্য নয়। প্রশ্ন হল, এমপিওভুক্তিতে আপনার দিকনির্দেশনা এবং আশ্বাস থাকা সত্ত্বেও তাহলে বিষয়টি নিয়ে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্র হচ্ছে? সামান্য এ বিষয়টি কেন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আপনার পর্বতপ্রমাণ সাফল্যকে। এমপিওভুক্তির বিষয়টি সুরাহার জন্য আপনারকাছে তাই বিনীত অনুরোধ করছি,যার মধ্যদিয়ে শিক্ষকরা অন্তত্ত দু-বেলা দু-মুঠো খেয়ে পরে শিক্ষার মান উন্নয়নসহ দেশের সার্বিক কল্যানে ভুমিকা রাখতে পারবে।
কেননা,আমরা সবাই জানি; হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার শাসনামলে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় একসঙ্গে সরকারিকরণ করে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।আবার তারই যোগ্য উত্তরসূরি জনগণের মানসকন্যা, দেশরত্ন, চারবারের নির্বাচিত সফল প্রধানমন্ত্রী আপনি দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় একসঙ্গে সরকারিকরণ করে আবারও এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। দেশবাসী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তরসূরি হিসেবে আপনার কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
বাংলাদেশের মাটিতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আপনি বিশ্বের বুকে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং এই মহানুভবতার কারণে বিশ্ববাসী আপনাকে জানে ‘মানবতার মা’ হিসাবে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। গতদিনও বলেছেন প্রণোদনা থেকে কোনো খাত বাদ যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই সবার পেটের ক্ষুধা বুঝতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মুখপানে চেয়ে রয়েছে ২৭৩৭ টি প্রতিষ্ঠান।
আমরা তাই আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, “শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করলেই আদেশ জারি করতে পারে। তাতে নতুন এমপিও পাওয়া প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষকের পরিবার করোনা সংকটের সময় জীবন বাঁচাতে পারে। একটি আদেশেই পারে এসব পরিবারের কান্না থামাতে” বিষয়টি মমতাময়ী দৃষ্টিকোন হতে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ব্যবস্থা নেওয়ার আশা রেখে;আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।ভাল থাকবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী………………………….
লেখকঃ এম.এ মারুফ(সোহেল), প্রভাষক(দর্শন),জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ। কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ।