নতুন বই আমরা স্বপ্নেও দেখিনি- আজিজুর রহমান
- আপডেটের সময় : ১০:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
- / ৯০১ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আজিজুর রহমান বলেছেন- আমাদের শৈশব কাল ছিলো খুবই কষ্টের। শিক্ষাজীবনে স্কুলে যাবার সময় পায়ে কোনো জুতা ছিলো না, গায়ের পোশাক ছিলো একটি। কিন্তুু বর্তমান জীবনব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থা আগের মতো নেই। সেইসব মন্দা ও মহাদূর্ভিক্ষ কাটিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সবকিছুর পরে এসব যুগান্তকারী কাজের পেছনে মূল কাজটি করেছে আমাদের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর চেতনা। আর এই কাজের নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী মহীয়সী নারী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, নতুন বই আমরা কখনো স্বপ্নেও দেখিনি, কিন্তুু বর্তমান সরকারের শিক্ষা খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়নের কারণে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা অনেক উৎসাহিত হচ্ছে। মানুষের মুক্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তি কায়েমের জন্য আমরা দিনরাত অবধি কাজ করে যাচ্ছি। দূর্নীতির বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনা জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করেছেন। সাবেক এ হুইপ বলেন, যতদিন ভাষা আন্দোলন ও ২১ শে ফেব্র“য়ারি থাকবে, ততদিন শেখ হাসিনার নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
অনুষ্ঠানে আক্তারুন নেছা প্রাথমিক মেধাবৃত্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি এ এফ এম ফৌজি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট সংগঠক শহীদুল ইসলাম তনয়ের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ আব্দুল মানিক ও শিরিন আক্তার চৌধুরী মুন্নি, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী সিতাব, জুড়ী তৈয়বুনন্নেছা খানম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ ফরহাদ আহমদ, এম এ গণি আদর্শ কলেজের প্রভাষক সাবিনা ইয়াছমিন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুহিব আলী, রাবেয়া আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছালাম, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিল, সাপ্তাহিক কুলাউড়ার সংলাপ পত্রিকার রিপোর্টার সুমন আহমদ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেধাবৃত্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ফারহান আহমদ। পরে মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত ৮৬জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এবং সেরা ৫জন গর্বিত পিতা-মাতাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, মোট ৪৮৩জন শিক্ষার্থী মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়।