ঢাকা , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

নতুন ড্রেস নেই, তাই নতুন বইও পায়নি তারা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ১১৫২ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: সিলেটে নতুন ড্রেস পরে না আসায় বই উৎসবের দিন নতুন বই পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো শিশুরা। তাদের সহপাঠীরা যখন হাসিমুখে নতুন বইয়ের গন্ধ নিয়ে ঘরে ফিরেছে, তারা কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ফিরেছে। মঙ্গলবার নগরীর উমরশাহ তেররতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা খানম বলেছেন, নতুন ড্রেস পরে এসে বই নিয়ে যেতে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। তাই পুরাতন ড্রেস পরে আসলে বই দিচ্ছি না। তবে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বেলা দেড়টার দিকে শিশুদের অনেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরতে দেখা গেছে। এই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ আশপাশের বস্তিতে বসবাস করে; যাদের অভিভাবকদের সিংহভাগ দিনমজুর। স্থানীয় তেররতন বস্তির গোলাম মোস্তফা ও খাদিজা বই নিতে এসে খালি হাতে ফিরেছে নতুন ড্রেস না থাকায়। একই এলাকার নয়নের কলোনীর জহুরা বেগমের নাতি রিদান মাহমুদ ইমনকে নিয়ে বই নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যান। নগরীর সবুজবাগ কলোনীর সুমাইয়াও ফিরেছে চোখে জল নিয়ে।

উমরশাহ তেররতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা খানম বলেন, ফলাফল ঘোষণার দিনই অভিভাবকদের নতুন বছরের প্রথম দিন নতুন ড্রেস পরে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের অনেক পুরাতন ড্রেস করে আসায় নতুন বই দেওয়া হয়নি। এই স্কুলে ৬শয়ের উপরে শিক্ষার্থী রয়েছে; যাদের বড় একটি অংশ দিনমজুর পরিবারের সন্তান বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ক্রমান্বয়ে সবাইকে নতুন বই দেওয়া হবে। চাহিদার তুলনায় বেশি বই রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ড্রেসের সঙ্গে নতুন বইয়ের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা ড্রেসের বিষয়টি আস্তে আস্তে করছি। কিন্তু এখানে জোর করার তো কোন ব্যাপার নেই।

পোস্ট শেয়ার করুন

নতুন ড্রেস নেই, তাই নতুন বইও পায়নি তারা

আপডেটের সময় : ০৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: সিলেটে নতুন ড্রেস পরে না আসায় বই উৎসবের দিন নতুন বই পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো শিশুরা। তাদের সহপাঠীরা যখন হাসিমুখে নতুন বইয়ের গন্ধ নিয়ে ঘরে ফিরেছে, তারা কাঁদতে কাঁদতে ঘরে ফিরেছে। মঙ্গলবার নগরীর উমরশাহ তেররতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা খানম বলেছেন, নতুন ড্রেস পরে এসে বই নিয়ে যেতে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। তাই পুরাতন ড্রেস পরে আসলে বই দিচ্ছি না। তবে মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বেলা দেড়টার দিকে শিশুদের অনেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরতে দেখা গেছে। এই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ আশপাশের বস্তিতে বসবাস করে; যাদের অভিভাবকদের সিংহভাগ দিনমজুর। স্থানীয় তেররতন বস্তির গোলাম মোস্তফা ও খাদিজা বই নিতে এসে খালি হাতে ফিরেছে নতুন ড্রেস না থাকায়। একই এলাকার নয়নের কলোনীর জহুরা বেগমের নাতি রিদান মাহমুদ ইমনকে নিয়ে বই নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যান। নগরীর সবুজবাগ কলোনীর সুমাইয়াও ফিরেছে চোখে জল নিয়ে।

উমরশাহ তেররতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা খানম বলেন, ফলাফল ঘোষণার দিনই অভিভাবকদের নতুন বছরের প্রথম দিন নতুন ড্রেস পরে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের অনেক পুরাতন ড্রেস করে আসায় নতুন বই দেওয়া হয়নি। এই স্কুলে ৬শয়ের উপরে শিক্ষার্থী রয়েছে; যাদের বড় একটি অংশ দিনমজুর পরিবারের সন্তান বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ক্রমান্বয়ে সবাইকে নতুন বই দেওয়া হবে। চাহিদার তুলনায় বেশি বই রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ড্রেসের সঙ্গে নতুন বইয়ের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা ড্রেসের বিষয়টি আস্তে আস্তে করছি। কিন্তু এখানে জোর করার তো কোন ব্যাপার নেই।