দেশদিগন্ত ডেস্ক : [২] ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর শফিউল বারী বাবুকে সভাপতি ও আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে সংগঠনের ৭ সদস্যের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি পদে মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরাজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ইয়াসিন আলীকে মনোনীত করা হয়। এই সাত নেতাকে সুপার সেভেন হিসেবে অভিহিত করা হয়।
[৩] ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সারাদেশে সকল পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করার কথা ছিলো। কিন্তু প্রায় চার বছর হতে চললেও পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করতে পারেনি ‘সুপার সেভেন’ খ্যাত আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি। কাউন্সিলও করতে পারেনি।
[৪] বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা গেছে, তারেক রহমান একাধিকবার তাগিদ দিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার। কিন্তু কাজ হয়নি।
[৫] সূত্রমতে, বর্তমানে কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর দুই দফা পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির খসড়া তালিকা জমা দিয়েছেন দলীয় ফোরামে। সেই তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাত নেতার আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটির দুই শীর্ষনেতার অনুসারীদেরই কমিটিতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তারেক রহমানের কানেও যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি খসড়া কমিটি ফিরিয়ে দেন।
[৬] সবশেষ গত ১৯ মার্চ সুপার সেভেন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ৩৩১ সদস্যের একটি কমিটি জমা দেয়া হয়। এই তালিকাতেও দুই শীর্ষনেতার পছন্দের লোকদের পদা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর তারেক রহমান একান্তই নিজস্ব সোর্সে ৩৩১ জনের প্রত্যেকের ব্যাপারে খবর নিতে শুরু করেছেন।
[৭]গত মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক দলের সুপার সেভেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করেছেন তারেক রহমান। তিনি জমা দেয়া কমিটির প্রত্যেকের ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের কাছে। এরপর বৃহস্পতিবারও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন তিনি।
[৮] জানা গেছে, এবারও যদি তারেক রহমান মনে করেন যে, দুই বা ততোধিক শীর্ষনেতা পকেট কমিটি জমা দিয়েছেন, তাহলে সুপার সেভেনকে পাশ কাটিয়ে ভিন্ন পন্থায় নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com