ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

দুই নেতার পকেটে বন্দি স্বেচ্ছাসেবক দল, ক্ষুব্ধ তারেক রহমান

দেশদিগন্ত ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০
  • / ৩৮৬ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত ডেস্ক : [২] ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর শফিউল বারী বাবুকে সভাপতি ও আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে সংগঠনের ৭ সদস্যের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি পদে মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরাজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ইয়াসিন আলীকে মনোনীত করা হয়। এই সাত নেতাকে সুপার সেভেন হিসেবে অভিহিত করা হয়।

[৩] ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সারাদেশে সকল পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করার কথা ছিলো। কিন্তু প্রায় চার বছর হতে চললেও পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করতে পারেনি ‘সুপার সেভেন’ খ্যাত আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি। কাউন্সিলও করতে পারেনি।

[৪] বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা গেছে, তারেক রহমান একাধিকবার তাগিদ দিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার। কিন্তু কাজ হয়নি।

[৫] সূত্রমতে, বর্তমানে কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর দুই দফা পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির খসড়া তালিকা জমা দিয়েছেন দলীয় ফোরামে। সেই তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাত নেতার আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটির দুই শীর্ষনেতার অনুসারীদেরই কমিটিতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তারেক রহমানের কানেও যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি খসড়া কমিটি ফিরিয়ে দেন।

[৬] সবশেষ গত ১৯ মার্চ সুপার সেভেন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ৩৩১ সদস্যের একটি কমিটি জমা দেয়া হয়। এই তালিকাতেও দুই শীর্ষনেতার পছন্দের লোকদের পদা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর তারেক রহমান একান্তই নিজস্ব সোর্সে ৩৩১ জনের প্রত্যেকের ব্যাপারে খবর নিতে শুরু করেছেন।

[৭]গত মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক দলের সুপার সেভেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করেছেন তারেক রহমান। তিনি জমা দেয়া কমিটির প্রত্যেকের ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের কাছে। এরপর বৃহস্পতিবারও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন তিনি।

[৮] জানা গেছে, এবারও যদি তারেক রহমান মনে করেন যে, দুই বা ততোধিক শীর্ষনেতা পকেট কমিটি জমা দিয়েছেন, তাহলে সুপার সেভেনকে পাশ কাটিয়ে ভিন্ন পন্থায় নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

দুই নেতার পকেটে বন্দি স্বেচ্ছাসেবক দল, ক্ষুব্ধ তারেক রহমান

আপডেটের সময় : ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০

দেশদিগন্ত ডেস্ক : [২] ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর শফিউল বারী বাবুকে সভাপতি ও আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে সংগঠনের ৭ সদস্যের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি পদে মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরাজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ইয়াসিন আলীকে মনোনীত করা হয়। এই সাত নেতাকে সুপার সেভেন হিসেবে অভিহিত করা হয়।

[৩] ২০১৯ সালের অক্টোবরের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সারাদেশে সকল পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করার কথা ছিলো। কিন্তু প্রায় চার বছর হতে চললেও পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করতে পারেনি ‘সুপার সেভেন’ খ্যাত আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি। কাউন্সিলও করতে পারেনি।

[৪] বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা গেছে, তারেক রহমান একাধিকবার তাগিদ দিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার। কিন্তু কাজ হয়নি।

[৫] সূত্রমতে, বর্তমানে কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর দুই দফা পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির খসড়া তালিকা জমা দিয়েছেন দলীয় ফোরামে। সেই তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সাত নেতার আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটির দুই শীর্ষনেতার অনুসারীদেরই কমিটিতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি তারেক রহমানের কানেও যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি খসড়া কমিটি ফিরিয়ে দেন।

[৬] সবশেষ গত ১৯ মার্চ সুপার সেভেন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ৩৩১ সদস্যের একটি কমিটি জমা দেয়া হয়। এই তালিকাতেও দুই শীর্ষনেতার পছন্দের লোকদের পদা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর তারেক রহমান একান্তই নিজস্ব সোর্সে ৩৩১ জনের প্রত্যেকের ব্যাপারে খবর নিতে শুরু করেছেন।

[৭]গত মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক দলের সুপার সেভেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করেছেন তারেক রহমান। তিনি জমা দেয়া কমিটির প্রত্যেকের ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের কাছে। এরপর বৃহস্পতিবারও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন তিনি।

[৮] জানা গেছে, এবারও যদি তারেক রহমান মনে করেন যে, দুই বা ততোধিক শীর্ষনেতা পকেট কমিটি জমা দিয়েছেন, তাহলে সুপার সেভেনকে পাশ কাটিয়ে ভিন্ন পন্থায় নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে।