দীর্ঘ ২৩ বছর পর কুলাউড়ার শ্রীপুর মাদ্রাসার সৃষ্ট জটিলতার অবসান
- আপডেটের সময় : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৮
- / ১৫১০ টাইম ভিউ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শ্রীপুর জালালিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে প্রায় ২ যুগ ধরে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। সেই সাথে দীর্ঘ ২৩ বছর ভারপরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িদ্ব পালনকারী মাওলানা শামসুল হক পেলেন অধ্যক্ষ হিসেবে পুর্নাঙ্গ দায়িত্ব।
জানা যায়, উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শ্রীপুর মাদ্রাসা। প্রয়াত সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের জাল সার্টিফিকেট প্রমানিত হওয়ায় ১৯৯৪ সালে তাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা (নং ১৩০/৯৪) দায়ের করেন। সেই থেকে শুরু হয় জটিলতার। মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল হক ভারপ্রাপÍ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শণ ও নিরীক্ষা অধিদফতরের সুপারিশের প্রেক্ষিতে জনবল কাঠামো/৯৫ এর আলোকে তৎকালীন কুলাউড়ার ইউএনও (২০০২সালের ২৯এপ্রিল) উপাধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল হককে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন। কিন্তু বহিষ্কৃত সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড স্থিতাবস্থার নির্দেশ দেয়। ২০০৬ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি সাবেক অধ্যক্ষের সার্টিফিকেট জাল প্রমানিত হওয়ায় মামলা খারিজ করেন আদালত। তিনি উচ্চ আদালতে আবারো তা আপিল করেন।
এদিকে ইসলামী বিশ^দ্যিালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২০০৯ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অধ্যক্ষের বকেয়া বেতনভাতা প্রদানের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরে সুপারিশ করেন। একই সালে সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর পর তাঁর আপিল মামলা (৫১/০৬) বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এরপর আর কোন জটিলতা না থাকায় ২০১৭ সালে ১৫ নভেম্বর পরিচালনা কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উপাধ্যক্ষ মাওলানা শামসুল হককে ২০০২ সালের নিয়োগ চুড়ান্ত করে অধ্যক্ষ পদের বাড়তি সুযোগ প্রদানের সুপারিশ করা হয়। ২৬ নভেম্বর সেই সুপারিশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরে জমা হয়।
শ্রীপুর জালালিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি (২৬ডিসেম্বর-১৭তে যার মেয়াদ পূর্তি হয়) অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম মাদ্রাসার দীর্ঘ জটিলতার অবসানের কথা স্বীকার করে জানান, অধ্যক্ষ নিয়োগে সাবেক বহিষ্কৃত সুপারের আপিল মামলা বাতিল হওয়ার পর অধ্যক্ষ পদে মাওলানা শামসুল হকের নিয়োগ লাভ চুড়ান্ত এবং তাঁর বেতন ভাতা প্রাপ্তিতে কোন সমস্যা নেই।#