দীর্ঘ তিন মাসেরও বেশী সময় পর ইংল্যান্ডে শিথিল হলো লক ডাউন। পাব, রেস্টুরেন্ট , মসজিদ, উপাসনালয় , সেলুনসহ খুলে দেওয়া হলো বন্ধ সব দোকান। দীর্ঘ দিন পর পাব বার খুলা পেয়ে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে পাবের সামনে। হাজার হাজার মানুষের আগমনে প্রাণ ফিরে পায় ইংল্যান্ডের। আনন্দে ভুলে গিয়েছে করোনাভাইরস মহামারির কথা। নেই কোন সামাজিক দূরুত্বের বালাই।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশবাসীকে বলেছেন, ৪ জুলাই লক ডাউন প্রায় তুলে নেওয়া হচ্ছে সবাইকে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। সেই সাথে নিরাপদে সামার উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরা বলেছেন, করোনা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। তবে প্রদত্ত গাইড লাইন না মানলে সরকার পুনরায় লকডাউন আরোপ বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলেও দেশবাসীকে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ডের চীফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ক্রিস উইটি, তিনি বলেন, লকডাউন শিথিল হলেও কেউই করোনা ঝুঁকিমুক্ত নয়। তাই সবাইকে সতর্ক হয়ে চলতে হবে।
মহাআনন্দের সময় ভুলে গেছেন প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক দূরুত্বের ঘোষনা, সাইনটিস্টদের সতর্ক বানী, হেল্থ ইসুকে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। তিন মাসের বেশী সময় পর আজ বাইরে বের হয়েছেন। ড্রিংকস করছেন বন্ধু বান্ধবীদের সাথে আনন্দ করছেন এখানে আবার কিসের সোসাল ডিস্টেন্স ।কিসের করোনাভাইরস এখানে শুধুই আনন্দ আর আনন্দ। এই আনন্দই যে হতে পারে মরনের ফাঁদ সেটা কে কাকে বুঝাবে?
পুলিশ বারবার চেস্টা করে ব্যার্থ হয়ে কয়েকটি বার ও পাব কে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বন্ধ করতে বাধ্য করে। পুলিশ পাবে আসা আনন্দমুখর হাজার হাজির লোকদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ করা আরো দূস্বাধ্য । তারপরও সাধ্যমত চেস্টা পুলিশের। পুলিশের সাথেও মাঝেমধ্য উত্তেজনা। সোসাল ডিস্টেন্স কেউ মানতে রাজি না । দীর্ঘ দিন ঘরে বন্ধি থাকার পর আজ মুক্ত , স্বাধীন কেন মানবে পুলিশের বারন।
প্রায় তিনমাস পর শনিবার এই সুযোগ পাওয়ায় একে সুপার স্যাটারডে বলছেন। কিন্তু সুপার স্যাটারডের পাগলামির কারনে করোনার বিস্তার ঘটবে বলে আশঙ্কা করছেন।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com