ঢাকা , মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

দাম বাড়ে উন্নয়নের স্বার্থে, দাম কমে মানুষের দূর্ভাগ্যে——— মোস্তফা ফিরোজ হেড অব নিউজ বাংলাভিশন

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৯
  • / ১১৩১ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ দাম বাড়ে উন্নয়নের স্বার্থে, দাম কমে মানুষের দূর্ভাগ্যে। মোস্তফা ফিরোজ হেড অব নিউজ বাংলাভিশন এক লাখ একটি গরুর দাম। কিন্তু সেই গরুর চামড়ার দাম ৫০ টাকা। সেটাও পাওয়া যাবে কিনা নিশ্চিত না। এটাই নাকি স্বাভাবিক। সরকারের কিছু করার নেই। প্রতিবছর কাঁচা চামড়ার কমছেই। কাঁচা চামড়ার ক্রেতা সিন্ডিকেটরা কাদের আশ্রয় প্রচ্ছায় পায় সেটা সবাই জানে। কিন্তু তাদের কেউ চটায় না। এবার হুট করে কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমতি দিয়ে সরকার একটি দায় সারলো। এটাই যখন সিদ্ধান্ত হবে তাহলে আগে থেকে সেটা কেন ঘোষণা করা হলো না? তাহলে হয়তো চামড়ার দাম এভাবে পড়ে যেতো না। রফতানির একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করতেও সময় লাগে। কি হুট করে সিদ্ধান্ত। কেমন যেনো সব অপরিকল্পিত কাজ কারবার। ক্ষতি হলো চামড়া বিক্রেতাদের। গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিলো কিছু দিন আগে। এটা নিয়ে প্রতিবাদ হলো। তখন বলা হলো উন্নয়ন চাইলে জনগণকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। জনগণ সাথে সাথে সেটা মেনে নিলো। প্রতিবাদ শেষ। বিদ্যুতে দাম বাড়বে। মধ্যবিত্তদের অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের দাম কমবে। সবই জনগণের জন্য। উন্নয়নের লক্ষ্যে। কি উন্নয়ন যে দেশের সামনে অপেক্ষা করছে সেটাই আল্লাহ পাকই ভালো করে জানেন। ধানের দাম না পাওয়ায় কৃষকরা যখন ক্ষেতে আগুন দিলো তখন সরকারের এক মন্ত্রী বললেন, এটা স্বাভাবিক। ইউরোপ আমেরিকায় কৃষকরা বেশি ফলন হলে নাকি এভাবেই ফসল পুড়িয়ে দেয়। অথচ সেখানকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাদের ফসলের ন্যায্য দাম নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু এখানে ধানের দাম না পেয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো ক্ষেত। গ্যাস,বিদ্যুত, তেল সহ নিত্যেপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যখন বাড়ানো হয় তখন উন্নয়নের দোহাই দেয়া হয়। কিন্তু মানুষ কষ্ট করে যা উৎপাদন করে তার কোন মূল্য থাকে না। কিন্তু মধ্যস্বত্ত্বভোগী ধনিক বনিক গোষ্ঠী ঠিকই সাধারণ মানুষের উৎপাদিত পণ্য চড়া দামে বাজারে বিক্রি করছে। কৃষক ধানের দাম পায় না, তার মানে এই নয় যে চাল কম দামে বাজার থেকে কেনা যায়। চামড়ার দাম পড়ে যাওয়া মানে এই নয় যে মার্কেটে জুতা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। অবস্থা দাঁড়িয়েছে এমন যে, কোন পন্যের দাম বাড়ানো হলে বলা হয় উন্নয়ন। আর কোন পণ্যের দাম কমে গেলে বলা হচ্ছে এটা স্বাভাবিক বাজার অর্থনীতি। সরকারের কিছু করনীয় নেই। এভাবেই চলবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

দাম বাড়ে উন্নয়নের স্বার্থে, দাম কমে মানুষের দূর্ভাগ্যে——— মোস্তফা ফিরোজ হেড অব নিউজ বাংলাভিশন

আপডেটের সময় : ১০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ দাম বাড়ে উন্নয়নের স্বার্থে, দাম কমে মানুষের দূর্ভাগ্যে। মোস্তফা ফিরোজ হেড অব নিউজ বাংলাভিশন এক লাখ একটি গরুর দাম। কিন্তু সেই গরুর চামড়ার দাম ৫০ টাকা। সেটাও পাওয়া যাবে কিনা নিশ্চিত না। এটাই নাকি স্বাভাবিক। সরকারের কিছু করার নেই। প্রতিবছর কাঁচা চামড়ার কমছেই। কাঁচা চামড়ার ক্রেতা সিন্ডিকেটরা কাদের আশ্রয় প্রচ্ছায় পায় সেটা সবাই জানে। কিন্তু তাদের কেউ চটায় না। এবার হুট করে কাঁচা চামড়া রফতানির অনুমতি দিয়ে সরকার একটি দায় সারলো। এটাই যখন সিদ্ধান্ত হবে তাহলে আগে থেকে সেটা কেন ঘোষণা করা হলো না? তাহলে হয়তো চামড়ার দাম এভাবে পড়ে যেতো না। রফতানির একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করতেও সময় লাগে। কি হুট করে সিদ্ধান্ত। কেমন যেনো সব অপরিকল্পিত কাজ কারবার। ক্ষতি হলো চামড়া বিক্রেতাদের। গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিলো কিছু দিন আগে। এটা নিয়ে প্রতিবাদ হলো। তখন বলা হলো উন্নয়ন চাইলে জনগণকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। জনগণ সাথে সাথে সেটা মেনে নিলো। প্রতিবাদ শেষ। বিদ্যুতে দাম বাড়বে। মধ্যবিত্তদের অবলম্বন সঞ্চয়পত্রের দাম কমবে। সবই জনগণের জন্য। উন্নয়নের লক্ষ্যে। কি উন্নয়ন যে দেশের সামনে অপেক্ষা করছে সেটাই আল্লাহ পাকই ভালো করে জানেন। ধানের দাম না পাওয়ায় কৃষকরা যখন ক্ষেতে আগুন দিলো তখন সরকারের এক মন্ত্রী বললেন, এটা স্বাভাবিক। ইউরোপ আমেরিকায় কৃষকরা বেশি ফলন হলে নাকি এভাবেই ফসল পুড়িয়ে দেয়। অথচ সেখানকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাদের ফসলের ন্যায্য দাম নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু এখানে ধানের দাম না পেয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিলো ক্ষেত। গ্যাস,বিদ্যুত, তেল সহ নিত্যেপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যখন বাড়ানো হয় তখন উন্নয়নের দোহাই দেয়া হয়। কিন্তু মানুষ কষ্ট করে যা উৎপাদন করে তার কোন মূল্য থাকে না। কিন্তু মধ্যস্বত্ত্বভোগী ধনিক বনিক গোষ্ঠী ঠিকই সাধারণ মানুষের উৎপাদিত পণ্য চড়া দামে বাজারে বিক্রি করছে। কৃষক ধানের দাম পায় না, তার মানে এই নয় যে চাল কম দামে বাজার থেকে কেনা যায়। চামড়ার দাম পড়ে যাওয়া মানে এই নয় যে মার্কেটে জুতা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। অবস্থা দাঁড়িয়েছে এমন যে, কোন পন্যের দাম বাড়ানো হলে বলা হয় উন্নয়ন। আর কোন পণ্যের দাম কমে গেলে বলা হচ্ছে এটা স্বাভাবিক বাজার অর্থনীতি। সরকারের কিছু করনীয় নেই। এভাবেই চলবে।