ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

তিল ধারনের ঠাঁই নেই ট্রেনে, প্রচণ্ড ভোগান্তিতে ঘরমুখী মুসল্লিরা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৪৪৩ টাইম ভিউ

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয় মুসল্লিরা টঙ্গীর দিকে গণন্তব্যে ফিরছেন লাখো মানুষ। তবে টঙ্গীতে ‘টাউন সার্ভিস’নেই কোন বাস। পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছে ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবীণ ও ছোটরা।

মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। এবার বাড়ি ফেরার পালা। তবে ঘরমুখী লাখো মানুষের ফেরার জন্য নেই কোন সহজ পথ। ট্রেনে টঙ্গী ও জয়দেবপুর এবং এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মানুষের প্রচণ্ড ভীড়। পুরো টঙ্গীর কোথাও বাস নেই। রিকশা সহ ছোট যানবাহনগুলো যাত্রী পরিবহন করছে কয়েক গুন ভাড়ায়। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় তাই বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে মুসল্লিরা গন্তব্যে ফিরছেন।

যানজট এড়াতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার (১২ জানুয়ারি) ভোর থেকেই বিশ্বরোডে গাড়ি চলাচল করতে দেয়নি ট্রাফিক পুলিশ। ফলে টঙ্গীর দিকে যেতে পারেনি কোন ‘টাউন সার্ভিস’ বাস। তাই পায়ে হেটেই রওনা হয়েছে ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা।

এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবীণ ও ছোটরা। তুরাগ পাড় থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত হেঁটে আসায় অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।

এদিকে পরিবহন ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকার বাইরে থেকে আসা হাজার হাজার মুসল্লিরা। আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে যাওয়ার পরিবহনও তারা পাননি। ১০ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বরিশাল থেকে এসেছেন মো. মুনতাজ আলী। তিনি বলেন, ইজতেমার সব ব্যবস্থাই মোটামুটি ভালো। তবে গাড়ি নাই, এতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

টাউন সার্ভিস না থাকলেও কোনো কোনো জায়গায় লেগুনা দেখা গেছে। আর এই গাড়িতে উঠতে ইজতেমা ফেরত লোকজনের মধ্যে যেন লড়াই শুরু হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. রমিজ মোল্লা বলেন, রাস্তায় তো কোনো গাড়িই নেই। যেটা পেয়েছি উঠতে পারিনি। তাই পায়ে হেঁটেই ফিরছি।

টঙ্গী রেলস্টেশনেও উপচেপড়া ভিড়। ময়মনসিংহ, উত্তরবঙ্গ, সিলেট, চট্টগ্রামের মুসল্লিরাও ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এতো মুসল্লি যে ট্রেনেও জায়গা হবে না।

টঙ্গী রেলস্টেশনে এক মুসল্লি বলেন, প্রচণ্ড কষ্টে ইজতেমার সব আনন্দ ফেরার পথেই ম্লান হয়ে যায়।

পোস্ট শেয়ার করুন

তিল ধারনের ঠাঁই নেই ট্রেনে, প্রচণ্ড ভোগান্তিতে ঘরমুখী মুসল্লিরা

আপডেটের সময় : ০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয় মুসল্লিরা টঙ্গীর দিকে গণন্তব্যে ফিরছেন লাখো মানুষ। তবে টঙ্গীতে ‘টাউন সার্ভিস’নেই কোন বাস। পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছে ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবীণ ও ছোটরা।

মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। এবার বাড়ি ফেরার পালা। তবে ঘরমুখী লাখো মানুষের ফেরার জন্য নেই কোন সহজ পথ। ট্রেনে টঙ্গী ও জয়দেবপুর এবং এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মানুষের প্রচণ্ড ভীড়। পুরো টঙ্গীর কোথাও বাস নেই। রিকশা সহ ছোট যানবাহনগুলো যাত্রী পরিবহন করছে কয়েক গুন ভাড়ায়। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় তাই বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে মুসল্লিরা গন্তব্যে ফিরছেন।

যানজট এড়াতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার (১২ জানুয়ারি) ভোর থেকেই বিশ্বরোডে গাড়ি চলাচল করতে দেয়নি ট্রাফিক পুলিশ। ফলে টঙ্গীর দিকে যেতে পারেনি কোন ‘টাউন সার্ভিস’ বাস। তাই পায়ে হেটেই রওনা হয়েছে ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা।

এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবীণ ও ছোটরা। তুরাগ পাড় থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত হেঁটে আসায় অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।

এদিকে পরিবহন ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকার বাইরে থেকে আসা হাজার হাজার মুসল্লিরা। আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে যাওয়ার পরিবহনও তারা পাননি। ১০ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে বরিশাল থেকে এসেছেন মো. মুনতাজ আলী। তিনি বলেন, ইজতেমার সব ব্যবস্থাই মোটামুটি ভালো। তবে গাড়ি নাই, এতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

টাউন সার্ভিস না থাকলেও কোনো কোনো জায়গায় লেগুনা দেখা গেছে। আর এই গাড়িতে উঠতে ইজতেমা ফেরত লোকজনের মধ্যে যেন লড়াই শুরু হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. রমিজ মোল্লা বলেন, রাস্তায় তো কোনো গাড়িই নেই। যেটা পেয়েছি উঠতে পারিনি। তাই পায়ে হেঁটেই ফিরছি।

টঙ্গী রেলস্টেশনেও উপচেপড়া ভিড়। ময়মনসিংহ, উত্তরবঙ্গ, সিলেট, চট্টগ্রামের মুসল্লিরাও ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এতো মুসল্লি যে ট্রেনেও জায়গা হবে না।

টঙ্গী রেলস্টেশনে এক মুসল্লি বলেন, প্রচণ্ড কষ্টে ইজতেমার সব আনন্দ ফেরার পথেই ম্লান হয়ে যায়।