ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

ঢাবির সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই

দেশদিগন্ত ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
  • / ২৮৭ টাইম ভিউ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী,বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা ,এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শুক্রবার রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

শত নাগরিক জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব কবি আবদুল হাই শিকদার এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এমাজউদ্দীন আহমদ শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন।তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হঠাৎ পেটের অসুখ দেখা দিলে এমাজউদ্দীন আহমদকে দ্রুত ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বেশ বমি হচ্ছিল। সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মরদেহ রাজধানীর কাঁটাবন এলাকার বাসায় নেওয়া হয়েছে। তাঁর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এমাজউদ্দীন আহমদ মারা যান। বাদ আসর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।

এমাজউদ্দীন আহমদ ১৯৩৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বপালন করেন।

এমাজউদ্দীন আহমদ খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ এবং গবেষক-পর্যালোচক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। প্রায় ৩০ বছর ধরে তুলনামূলক রাজনীতি, প্রশাসনব্যবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক বাহিনী সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর শতাধিক গ্রন্থ লিখেছেন। দেশ-বিদেশের জার্নালে তাঁর প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যা শতাধিক। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান এবং সৃজনশীল লেখার জন্য তিনি দেশে ও বিদেশে সম্মানিত হন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদক পান।

এমাজউদ্দীন আহমদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ‘গোহাল বাড়ি’ এলাকায় পরিবারসহ দীর্ঘদিন বসবাস করেন। তিনি শিবগঞ্জের আদিনা সরকারি ফজলুল হক কলেজ ও রাজশাহী কলেজের ছাত্র। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেন। পরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য এবং উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু শোক জানিয়েছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী পৃথক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছেন।

বাদ জুমা এমাজউদ্দীন আহমদের বাসার পাশে কাটাবন ঢালের জামে মসজিদে প্রথম জানাজার নামাজ হবে। এরপর বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

ঢাবির সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই

আপডেটের সময় : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী,বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা ,এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ শুক্রবার রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

শত নাগরিক জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব কবি আবদুল হাই শিকদার এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এমাজউদ্দীন আহমদ শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন।তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হঠাৎ পেটের অসুখ দেখা দিলে এমাজউদ্দীন আহমদকে দ্রুত ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বেশ বমি হচ্ছিল। সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মরদেহ রাজধানীর কাঁটাবন এলাকার বাসায় নেওয়া হয়েছে। তাঁর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে এমাজউদ্দীন আহমদ মারা যান। বাদ আসর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।

এমাজউদ্দীন আহমদ ১৯৩৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বপালন করেন।

এমাজউদ্দীন আহমদ খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ এবং গবেষক-পর্যালোচক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। প্রায় ৩০ বছর ধরে তুলনামূলক রাজনীতি, প্রশাসনব্যবস্থা বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি, দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক বাহিনী সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর শতাধিক গ্রন্থ লিখেছেন। দেশ-বিদেশের জার্নালে তাঁর প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রবন্ধের সংখ্যা শতাধিক। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান এবং সৃজনশীল লেখার জন্য তিনি দেশে ও বিদেশে সম্মানিত হন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে তিনি একুশে পদক পান।

এমাজউদ্দীন আহমদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ‘গোহাল বাড়ি’ এলাকায় পরিবারসহ দীর্ঘদিন বসবাস করেন। তিনি শিবগঞ্জের আদিনা সরকারি ফজলুল হক কলেজ ও রাজশাহী কলেজের ছাত্র। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেন। পরে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য এবং উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

এমাজউদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু শোক জানিয়েছেন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী পৃথক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছেন।

বাদ জুমা এমাজউদ্দীন আহমদের বাসার পাশে কাটাবন ঢালের জামে মসজিদে প্রথম জানাজার নামাজ হবে। এরপর বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।