ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

ট্রেনের নিচে স্বামীর ঝাঁপ দেয়ার শব্দ শুনলেন মোবাইল ফোন কলে থাকা স্ত্রী

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৮৯৬ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র ২ মিনিট পরে আমি চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছি। তুমি সুখে থাকিও। বলেই মোবাইল ফোনকলে স্ত্রীকে রেখে স্বামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। ২-৪ মিনিটের ব্যবধানে স্ত্রী আবার ফোন করে স্বামীর মোবাইলে। জানতে চান তার স্বামী কোথায়? ততক্ষণে স্বামীর দেহের উপর দিয়ে চলে গেছে দ্রুতগামী ট্রেন। রেললাইনের ভেতর বাইরে পড়ে ছিলো খন্ডবিখন্ড দেহ। স্বামীর এই নির্মম পরিণতি শুনে মোবাইলের অপরপ্রান্তে থাকা স্ত্রী ঝুমা রানী দাসও মুর্চা যান।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া রেলওয়ে থানা সুত্রে জানা যায়, ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে কুলাউড়া উপজেলার পৌর এলাকার বিহালা গ্রামের কাছে ট্রেন লাইনে। ভুলন দাস (৩২) নামক যুবক সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।

মোবাইল নাম্বারের সুত্র ধরে রেলওয়ে পুলিশ পরিবারের লোকজনের কাছে খবর দেয়। রাত ৮টায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে। ২১ ডিসেম্বর সকালে নিহত ভুলনের স্ত্রী জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে আসলে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করে রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মালেক জানান, পারিবারিক কলেহরে জের ধরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ট্রেন লম্বা হুইছেল বাজালেও ভুলন দাস রেললাইন থেকে সরেননি। লাইনের পাশে চাদরের উপরে নিজের মোবাইল ও সাথে থাকা টাকা আলগা করে রাখা ছিলো বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের  মেওয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত খোকন দাসের পুত্র ভুলন দাস। তিনি পেশায় একজন পল্লীচিকিৎসক। বর্তমানে বিয়ানী বাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের দুবাগ বাজারে ডর্ক্টস চেম্বার নামে তার একটি নিজস্ব ফার্মেসী রয়েছে। যেখানে বসে তিনি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। বিয়ে করেছেন বছর দুয়েক আগে। স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষিকা।

স্থানীয় সুতে জানা যায়, ভুলন দাস ৪-৫ বছর আগে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজারে আহমদ ফার্মেসী ও কুলাউড়া উপজেলার সুরমা ফার্মেসীতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

ট্রেনের নিচে স্বামীর ঝাঁপ দেয়ার শব্দ শুনলেন মোবাইল ফোন কলে থাকা স্ত্রী

আপডেটের সময় : ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র ২ মিনিট পরে আমি চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছি। তুমি সুখে থাকিও। বলেই মোবাইল ফোনকলে স্ত্রীকে রেখে স্বামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। ২-৪ মিনিটের ব্যবধানে স্ত্রী আবার ফোন করে স্বামীর মোবাইলে। জানতে চান তার স্বামী কোথায়? ততক্ষণে স্বামীর দেহের উপর দিয়ে চলে গেছে দ্রুতগামী ট্রেন। রেললাইনের ভেতর বাইরে পড়ে ছিলো খন্ডবিখন্ড দেহ। স্বামীর এই নির্মম পরিণতি শুনে মোবাইলের অপরপ্রান্তে থাকা স্ত্রী ঝুমা রানী দাসও মুর্চা যান।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া রেলওয়ে থানা সুত্রে জানা যায়, ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে কুলাউড়া উপজেলার পৌর এলাকার বিহালা গ্রামের কাছে ট্রেন লাইনে। ভুলন দাস (৩২) নামক যুবক সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।

মোবাইল নাম্বারের সুত্র ধরে রেলওয়ে পুলিশ পরিবারের লোকজনের কাছে খবর দেয়। রাত ৮টায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে। ২১ ডিসেম্বর সকালে নিহত ভুলনের স্ত্রী জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে আসলে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করে রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মালেক জানান, পারিবারিক কলেহরে জের ধরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ট্রেন লম্বা হুইছেল বাজালেও ভুলন দাস রেললাইন থেকে সরেননি। লাইনের পাশে চাদরের উপরে নিজের মোবাইল ও সাথে থাকা টাকা আলগা করে রাখা ছিলো বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের  মেওয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত খোকন দাসের পুত্র ভুলন দাস। তিনি পেশায় একজন পল্লীচিকিৎসক। বর্তমানে বিয়ানী বাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের দুবাগ বাজারে ডর্ক্টস চেম্বার নামে তার একটি নিজস্ব ফার্মেসী রয়েছে। যেখানে বসে তিনি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। বিয়ে করেছেন বছর দুয়েক আগে। স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষিকা।

স্থানীয় সুতে জানা যায়, ভুলন দাস ৪-৫ বছর আগে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজারে আহমদ ফার্মেসী ও কুলাউড়া উপজেলার সুরমা ফার্মেসীতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন।