ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

ট্রেনের নিচে স্বামীর ঝাঁপ দেয়ার শব্দ শুনলেন মোবাইল ফোন কলে থাকা স্ত্রী

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৯৩৮ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র ২ মিনিট পরে আমি চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছি। তুমি সুখে থাকিও। বলেই মোবাইল ফোনকলে স্ত্রীকে রেখে স্বামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। ২-৪ মিনিটের ব্যবধানে স্ত্রী আবার ফোন করে স্বামীর মোবাইলে। জানতে চান তার স্বামী কোথায়? ততক্ষণে স্বামীর দেহের উপর দিয়ে চলে গেছে দ্রুতগামী ট্রেন। রেললাইনের ভেতর বাইরে পড়ে ছিলো খন্ডবিখন্ড দেহ। স্বামীর এই নির্মম পরিণতি শুনে মোবাইলের অপরপ্রান্তে থাকা স্ত্রী ঝুমা রানী দাসও মুর্চা যান।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া রেলওয়ে থানা সুত্রে জানা যায়, ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে কুলাউড়া উপজেলার পৌর এলাকার বিহালা গ্রামের কাছে ট্রেন লাইনে। ভুলন দাস (৩২) নামক যুবক সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।

মোবাইল নাম্বারের সুত্র ধরে রেলওয়ে পুলিশ পরিবারের লোকজনের কাছে খবর দেয়। রাত ৮টায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে। ২১ ডিসেম্বর সকালে নিহত ভুলনের স্ত্রী জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে আসলে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করে রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মালেক জানান, পারিবারিক কলেহরে জের ধরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ট্রেন লম্বা হুইছেল বাজালেও ভুলন দাস রেললাইন থেকে সরেননি। লাইনের পাশে চাদরের উপরে নিজের মোবাইল ও সাথে থাকা টাকা আলগা করে রাখা ছিলো বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের  মেওয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত খোকন দাসের পুত্র ভুলন দাস। তিনি পেশায় একজন পল্লীচিকিৎসক। বর্তমানে বিয়ানী বাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের দুবাগ বাজারে ডর্ক্টস চেম্বার নামে তার একটি নিজস্ব ফার্মেসী রয়েছে। যেখানে বসে তিনি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। বিয়ে করেছেন বছর দুয়েক আগে। স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষিকা।

স্থানীয় সুতে জানা যায়, ভুলন দাস ৪-৫ বছর আগে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজারে আহমদ ফার্মেসী ও কুলাউড়া উপজেলার সুরমা ফার্মেসীতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

ট্রেনের নিচে স্বামীর ঝাঁপ দেয়ার শব্দ শুনলেন মোবাইল ফোন কলে থাকা স্ত্রী

আপডেটের সময় : ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র ২ মিনিট পরে আমি চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছি। তুমি সুখে থাকিও। বলেই মোবাইল ফোনকলে স্ত্রীকে রেখে স্বামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। ২-৪ মিনিটের ব্যবধানে স্ত্রী আবার ফোন করে স্বামীর মোবাইলে। জানতে চান তার স্বামী কোথায়? ততক্ষণে স্বামীর দেহের উপর দিয়ে চলে গেছে দ্রুতগামী ট্রেন। রেললাইনের ভেতর বাইরে পড়ে ছিলো খন্ডবিখন্ড দেহ। স্বামীর এই নির্মম পরিণতি শুনে মোবাইলের অপরপ্রান্তে থাকা স্ত্রী ঝুমা রানী দাসও মুর্চা যান।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া রেলওয়ে থানা সুত্রে জানা যায়, ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে কুলাউড়া উপজেলার পৌর এলাকার বিহালা গ্রামের কাছে ট্রেন লাইনে। ভুলন দাস (৩২) নামক যুবক সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।

মোবাইল নাম্বারের সুত্র ধরে রেলওয়ে পুলিশ পরিবারের লোকজনের কাছে খবর দেয়। রাত ৮টায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে। ২১ ডিসেম্বর সকালে নিহত ভুলনের স্ত্রী জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে আসলে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করে রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মালেক জানান, পারিবারিক কলেহরে জের ধরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ট্রেন লম্বা হুইছেল বাজালেও ভুলন দাস রেললাইন থেকে সরেননি। লাইনের পাশে চাদরের উপরে নিজের মোবাইল ও সাথে থাকা টাকা আলগা করে রাখা ছিলো বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের  মেওয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত খোকন দাসের পুত্র ভুলন দাস। তিনি পেশায় একজন পল্লীচিকিৎসক। বর্তমানে বিয়ানী বাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের দুবাগ বাজারে ডর্ক্টস চেম্বার নামে তার একটি নিজস্ব ফার্মেসী রয়েছে। যেখানে বসে তিনি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। বিয়ে করেছেন বছর দুয়েক আগে। স্ত্রী একজন স্কুল শিক্ষিকা।

স্থানীয় সুতে জানা যায়, ভুলন দাস ৪-৫ বছর আগে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজারে আহমদ ফার্মেসী ও কুলাউড়া উপজেলার সুরমা ফার্মেসীতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন।