সু-প্রভাত বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র নিহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবরোধে বিমানবন্দর থেকে বাড্ডা হয়ে রামপুরা-গুলিস্তান রুটের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রাধানীর কুড়িল মোড়ে বিমানবন্দর থেকে বাড্ডা হয়ে রামপুরা-গুলিস্তান রুটের যান অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। আবার নতুন বাজার মোড় থেকে গুলিস্তান থেকে ছেড়া আসা যান অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল আহাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। বাসচাপায় এক ছাত্রের নিহতের ঘটনায় ছাত্ররা বিক্ষোভ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।’
নিহতের ঘটনায় ১২ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক গেট এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের কাছে যান ঢাকা সিটি উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া যত দ্রুত সম্ভব মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। সেইসঙ্গে লিখিতভাবে দাবিগুলো উত্থাপনের অনুরোধ জানান।
মেয়রের অনুরোধে বিইউপি শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে
১) ১০ দিনের মধ্যে সুপ্রভাত বাসের চালক, হেলপার ও মালিকের ফাঁসি
২) সু-প্রভাত ও জাবালে নূরসহ যেসব বাস আজ ও এর আগে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেসব বাসের রুট পারমিট বাতিল
৩) চালক-হেলপারের ডোপ টেস্ট
৪) বাস-সহ গণপরিবহনের চালক-হেলপারের আইডি কার্ড ভিজিবল করা
৫) বসুন্ধরা আবাসিক/যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে জেব্রা ক্রসিংসহ নিহত আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজ করতে হবে দুই মাসের মধ্যে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা গেট এলাকায় সু-প্রভাত বাসের চাপায় মারা যান আবরার আহমেদ চৌধুরী। তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আরাফাত আহমেদ চৌধুরীর বড় ছেলে।
উল্লেখ্য, সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীতে গত রোববার (১৭ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চমবারের মতো ট্রাফিক সপ্তাহ। এরই মধ্যে বাসচাপায় একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলো।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com