আপডেট

x


জ্যোতিষ্মান অর্জনে ভূষিত হলেন রন্ধনশিল্পী কুলাউড়ার বধু দিপু

সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৭:৩৫ অপরাহ্ণ | 1258 বার

জ্যোতিষ্মান অর্জনে ভূষিত হলেন রন্ধনশিল্পী কুলাউড়ার বধু দিপু
পুরষ্কার হাতে রোহেনা সুলতানা দিপু

চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদ: ভোরের পাখির সাথে তাঁর সখিত্ব। তাদের ডাকেই প্রতিদিন তাঁর ঘুম ভাঙ্গে, ঘর-দোর, স্বামী-সংসার, শশুর-শাশুড়ী, পুত্র-কন্যাদের দেখবাল করেই পীচ রেখা বেয়েই তিনি স্কুলে যান। ইংরেজী স্কুলের শিশুদের পড়িয়ে ঘরে ফিরে একটু দম নিয়ে আবার লন্ডন ভিত্তিক একটি টিভির সংবাদ পড়া, আবার কখনো শিডিউল অনুযায়ী বাংলাদেশ বেতারে ঘোষিকা, এখানেই শেষ নয়। কবিতা আবৃত্তি, গান, মঞ্চনাটকসহ সব মাঠেই তার বিচরণ। হ্যাঁ তিনি রোহেনা সুলতানা দিপু রূপচাঁদা সুপার শেফ- ২০১৯ ৩য় স্থান অর্জন করেছেন। সারা দেশের অনেক অনেক রন্ধন শিল্পিরা ওই গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেছেন। পাক শিল্পের এ মজলিশে বড় এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। পুরো দেশের সেরা ২০ প্রতিযোগীদের মাঝে বিচারকদের রায়ে তিন জন লড়েছেন চুড়ান্ত পর্বে।
চ্যানেল আইতে দেখানো হয়েছে। সারা পৃথিবীর অনেক মানুষ দেখেছে ষষ্ঠ এ আসর। সহযোগিতায় ছিলো প্রথম আলো ডট কম। পুরষ্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন দুই লক্ষ টাকা ও সম্মাননা স্মারক। চুড়ান্ত পর্বে বিচারক ছিলেন খ্যাতিমান শেফ রঙ্গন নিয়োগী, অভিনেতা তারিক আনাম খান ও শেফ প্রশিক্ষক নাফিজা ইসলাম।
রোহেনা দিপু বলেন, দেশের নানা অঞ্চল থেকে হাজারেরও বেশী রন্ধন শিল্পি অংশ নেন রূপচাঁদা সুপার শেফ এর আয়োজনে। প্রথম দিন মনে হয়েছে রান্নার আসর এ যেনো আলাদা এক টপোগ্রাফী, ওখানে যুদ্ধ করে বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে। আমি পেরেছি, আমি খুশী এবং সুখী। দৃঢ় মন নিয়ে এগিয়ে চলছি, আগামী দিনে শ্রেষ্টত্ব আমার ঝুলিতেই স্থান পাবে ইনশাআল্লাহ্। আমার স্বপ্ন ওই ইন্ড্রাস্ট্রিতে আমি সফল উদ্যোক্তা হতে চাই। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন দেশের গৌরব অর্জন করবো। পৃথিবীতে খাবার একটি ইন্ড্রাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। সততা নিয়ে ফুড ফিল্ডে কাজ করলে স্বরস্বতী-লক্ষী দুই ই পাশে ঘুরবে। বেকার নারী সমাজরা নিজেকে সাবলম্বী করতে এমন চিন্তা করার সময় এখন। পরিশ্রমী, অ্যাম্বিশাস রোহেনা সুলতানা দিপু মুলত একজন শিক্ষিকা। সিলেটের একটি ইংরেজী স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এছাড়াও তিনি বাচিক শিল্পি ও সংবাদ পাঠিকা হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।
তাঁর স্বামী মাহফুজ চৌধুরী একটি নামকরা টেলিকম কোম্পানীর জেলার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লামিছা ও রিহাম নামের তাদের কন্যা ও পুত্র সন্তান রয়েছে। রোহেনা দিপুর পিতা মরহুম মোজাহিদ আলী একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। মা সালেহা বেগম আমেরিকায় বসবাস করছেন। দিপু কুলাউড়ার বধু। শ্বশুরবাড়ি কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের পুরশাই গ্রামে। রোহেনা দিপুর শ্বশুর সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মুজাহীদ আলী চৌধুরী এবং শাশুড়ী নূরজাহান চৌধুরী। দিপুর একমাত্র ভাসুর গ্রুপ ক্যাপ্টেন মাহবুব আহমদ চৌধুরী ডিজিএফআই এর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। একমাত্র দেবর মাহমুদ আহমদ চৌধুরী লন্ডনের কারি ইন্ড্রাস্ট্রির সফল ব্যবসায়ী।#



মন্তব্য করতে পারেন...

comments


deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত

design and development by : http://webnewsdesign.com