জেলায় অষ্টম- এসএসসিতে সাফল্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখেছে নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- আপডেটের সময় : ০৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
- / ৮৮৯ টাইম ভিউ
স্টাফ রিপোর্টারঃ এসএসসিতে মৌলভীবাজার জেলার সেরা ১০ প্রতিষ্টানের মধ্যে স্হান করে নিয়েছে ঐতিহ্যবাহি কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। ৩৭টি জিপিএ-৫ লাভ করে জেলায় অষ্টম স্হানে রয়েছে প্রতিষ্টানটি। এসএসসিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করে আসছে এ প্রতিষ্টানটি। ক্রমান্বয়ে জিপিএ-৫ বৃদ্ধি ও পাশের হার বেড়েছে। গত বছর ১৭টি (ভোকেশনাল ২টিসহ) জিপিএ-৫ পেলেও এবার তা বেড়ে ৩৭টি। গড় পাশের হারও এবার বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। গত বছর ছিলো ৭০.১০ শতাংশ। এবার ৮৮.৯৭ শতাংশ। এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৬৩ জন। পাশ করেছে ২৩৪ জন। কুলাউড়া উপজেলায় সেরাদের মধ্যে এবার দ্বিতীয় অবস্হানে (জিপিএ-৫ এর ভিত্তিতে নির্ধারিত) রয়েছে প্রতিষ্টানটি। আর জেলায় অষ্টম। সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত জেলায় সেরা ১০টি প্রতিষ্টানের তালিকা প্রকাশিত হয়। তন্মধ্যে ৮২টি জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষে কমলগন্জ উপজেলার শমসেরনগরস্হ বি এ এফ শাহীন কলেজ। দ্বিতীয় স্হানে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্টানটি জিপিএ-৫ পায় ৭৪টি। ৫২টি জিপিএ-৫ পেয়ে তৃতীয় স্হানে রাজনগর আইডিয়েল হাইস্কুল। শ্রীমঙ্গলের দি বার্ডস রেসিঃ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ৪৭টি জিপিএ-৫ লাভ করে চতুর্থ স্হানে রয়েছে। ৪২টি জিপিএ-৫ পেয়ে পঞ্চম স্হানে মৌলভীবাজার সদরের আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ষষ্ট অবস্হানে রয়েছে কুলাউড়া উপজেলায় নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ৩৯টি জিপিএ-৫ লাভ করে প্রতিষ্টানটি। ৩৭টি জিপিএ-৫ লাভ করে ৭ম স্হানে বড়লেখার আর কে লাইসিয়াম উচ্চ বিদ্যালয়। ৩৭টি জিপিএ-৫ লাভ করলেও গড় পাশে সামান্য পেছনে থাকায় ৮ম স্হানে রয়েছে কুলাউড়ার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্টান নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। ৩৬টি জিপিএ-৫ পেয়ে নবম স্হানে মৌলভীবাজার সদরের দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাইস্কুল। দশম স্হানে রয়েছে শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্টানটি জিপিএ-৫ পায় ৩৩টি। ৩১ মে রোববার প্রকাশিত হয় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল। কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেন বলেন, এ সাফল্য সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল। আমরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে চাই। আশাবাদী আগামীতেও প্রতিষ্টানটির অতীত ঐতিহ্য ও সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে আমরা সবাই কাজ করবো। তিনি আরও জানান, এবার ৩৭ জন জিপিএ-৫, ৭৯ জন এ গ্রেড, ৩২ জন এ মাইনাস গ্রেড, ৫০ জন বি গ্রেড, ৩৬ জন সি গ্রেড পায়। অপরদিকে এসএসসি ভোকেশনালের ফলও সার্বিক বিবেচনায় গত বারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। ১০৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮৭ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ৮২.০৮ শতাংশ। ৮০ জন এ গ্রেড ও ৭ জন এ মাইনাস গ্রেড পেয়েছে। গত বছর পাশের হার ছিলো ৫৫.৮১ শতাংশ। • তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্টানের ধারাবাহিক উন্নতি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। আমরা শিক্ষক – শিক্ষিকারা একটি টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেছি। অভিভাবকরাও যতেষ্ট অান্তরিক ছিলেন। এ সাফল্যের পেছনে প্রতিষ্টানের সকল শিক্ষক – শিক্ষিকারা নিরলস কাজ করে গেছেন। তিনি শিক্ষক – শিক্ষিকাবৃন্দ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে উপজেলা ও জেলায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনের এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন।#