ঢাকা , সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম

জুন মাসেই ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০
  • / ৩৭৪ টাইম ভিউ

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদের প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, গত জুন মাসে দেশে ১০১ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়। উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে লিখিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বুধবার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু স্বাক্ষরিত উক্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধর্ষণের শিকার ১০১ জনের মধ্যে ৬৯ জন ধর্ষণ ও ২৫ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ সময় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে সাত জনকে। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫ জনকে। উক্ত এক মাসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে তিন জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছয় জন। একই সময় অ্যাসিড আক্রান্তের শিকার হয়েছে এক জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে চার জন। অপহরণের শিকার হয়েছে মোট ১৪ জন। এ সময় পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় এক জনকে। একই সময় বিভিন্ন কারণে ৬২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে পাঁচ জনকে।
প্রতিবেদন মতে, এ সময় গৃহপরিচারিকা হত্যা করা হয়েছে দুই জন এবং এক জন গৃহপরিচারিকা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। গত মাসে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে সাত নারীকে। একই সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৯ জন নারী ও কন্যাশিশু এবং উত্ত্যক্ত করা হয় পাঁচ জনকে। গত এক মাসে বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৭ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৪ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ফতোয়ার শিকার হয়েছে এক জন। বাল্যবিবাহ হয়েছে এক কন্যাশিশুর।

এছাড়া নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই জন নারী ও শিশু। মহিলা পরিষদ মনে করে, করোনাকালে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। কিন্তু সব তথ্য গণমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছায় না। নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ দ্রুত গ্রেফতার এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানায়। এ ধরনের প্রতিরোধে আশু কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার, প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

পোস্ট শেয়ার করুন

জুন মাসেই ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার

আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদের প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, গত জুন মাসে দেশে ১০১ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়। উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে লিখিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বুধবার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু স্বাক্ষরিত উক্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ধর্ষণের শিকার ১০১ জনের মধ্যে ৬৯ জন ধর্ষণ ও ২৫ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ সময় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে সাত জনকে। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৫ জনকে। উক্ত এক মাসে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে তিন জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ছয় জন। একই সময় অ্যাসিড আক্রান্তের শিকার হয়েছে এক জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে চার জন। অপহরণের শিকার হয়েছে মোট ১৪ জন। এ সময় পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় এক জনকে। একই সময় বিভিন্ন কারণে ৬২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে পাঁচ জনকে।
প্রতিবেদন মতে, এ সময় গৃহপরিচারিকা হত্যা করা হয়েছে দুই জন এবং এক জন গৃহপরিচারিকা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। গত মাসে যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে সাত নারীকে। একই সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৯ জন নারী ও কন্যাশিশু এবং উত্ত্যক্ত করা হয় পাঁচ জনকে। গত এক মাসে বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৭ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৪ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ফতোয়ার শিকার হয়েছে এক জন। বাল্যবিবাহ হয়েছে এক কন্যাশিশুর।

এছাড়া নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই জন নারী ও শিশু। মহিলা পরিষদ মনে করে, করোনাকালে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। কিন্তু সব তথ্য গণমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছায় না। নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ দ্রুত গ্রেফতার এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানায়। এ ধরনের প্রতিরোধে আশু কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার, প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।