জিয়ার প্রশংসা সিইসির কৌশল হতে পারে: কাদের
- আপডেটের সময় : ০১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭
- / ১২১১ টাইম ভিউ
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার বক্তব্য কৌশল হতে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলেছেন, তিনি এটি ভেতরে বলেছেন, তিনি কোনো প্রেস ব্রিফিং করেননি। এটি আমাদের কনফার্ম হতে হবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসির সংলাপে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদেরও সংলাপ আছে, কাজেই আমাদের যা কিছু জানার, এ বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হব, তিনি আসলে কী বলেছেন। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ আছে। তবে সিইসি যদি ওই বক্তব্য দিয়ে থাকেন তাহলে এটি বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার কৌশলও হতে পারে। বিএনপিও খুব আশাবাদী, মির্জা ফখরুলের বিষণ্ন মুখে খুব খুশি খুশি ভাব দেখলাম, এই আশাবাদী ভাবটা যেন আগামী নির্বাচন পর্যন্ত থাকে, এটি আশা করি। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইসি নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করুক, এটা আওয়ামী লীগ চায় না। গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠান হলেও সিইসির বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চেয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে চিরকুট দেয়া হলে ওবায়দুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। মূল অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি স্বীকার করব এবং স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশে একটি কোয়াইট রেভুলেশন হয়েছে কৃষি সেক্টরে, নিঃশব্দ বিল্পব হয়ে গেছে। এই বিপ্লবের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রূপকার মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীও তার ওপর গভীর আস্থা রাখেন। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ২০১০ সালের পর দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিল। বাংলাদেশ খাদ্য রপ্তানিও করেছিল, শ্রীলঙ্কাকে খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছিল। কিন্তু সামপ্রতিক দুই দফা বন্যা হয়েছে, এর ওপর রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন, সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, ড. আব্দুল মান্নান, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ভাগ্য রানী বণিক বক্তব্য রাখেন। অভিবাসনের ভবিষ্যৎ ‘বদলে দাও খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও’ স্লোগান সামনে রেখে এবার বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে।