ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে সরস্বতী পূজা উদযাপিত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৬৬০ টাইম ভিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক: উৎসবমুখর পরিবেশে সদ্য জাতীয়করণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনকৃত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগেরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় বাণী অর্চনা, দেবীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, অঞ্জলি প্রদান, আর্তি, প্রসাদ বিতরণ, ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আর্তি প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছিল এবারের পূজা উৎসব। এসময় সরস্বতী দেবীর কাছে জ্ঞান প্রার্থনা করেন বিদ্যার্থীরা। কলেজের সনাতন সংঘ এ পূজার আয়োজন করে।“ধর্ম যার যার উৎসব সবার” এই বিশ্বাসে সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় কলেজ প্রাঙ্গণ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পূজাকে কেন্দ্র করে বর্ণিল আলোক সাজে সজ্জিত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জনাব ডাঃ রাশেদ শমশের কলেজ অডিটরিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। আগত দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীদের সরস্বতী পূজা ও মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ‘সব ধর্ম মানবতার কথা বলে, সুন্দরের কথা বলে, অখণ্ড মানবতাবাদী জীবন দর্শনের কথা বলে, সব মানুষ এক। তাই বিদ্যা দেবীর কাছে আমার প্রার্থনা আমাদের কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের উপর তিনি তার আশীর্বাদ বর্ষণ করবেন। পরে পূজা উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সুযোগ্য অধ্যক্ষ জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম ডাবলু বলেন, ‘দেবী সরস্বতীকে আমরা বিনাপানি মনে করি। বিদ্যা ও ললিতকলার দেবী সরস্বতী দেবীদের মধ্যে অন্যতম একজন। এই দেবী শিক্ষার প্রেরণা যোগান। জ্ঞান উদ্ভাবন ও সৃষ্টিশীলতা কখনও উপসংহারে পৌঁছায় না।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের সম্মানীত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মোঃ শফিকুল ইসলাম,সুমন শাহরিয়ার, বাংলা বিভাগের প্রভাষক গৌরাঙ্গ কুমার বিশ্বাস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক রবিউল ইসলাম, দর্শন বিভাগের প্রভাষক এম. এ মারুফসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও এলাকাবাসী। পূজা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও কলেজের প্রভাষক জনাব তরুন কুমার বিশ্বাস পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘এ পূজা ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির নিদর্শন।’অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলো পেতে অসংখ্য ভক্ত ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদ্যাদেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ ও পূজা অর্চনা করেন। তিনি আরো বলেন,কলেজের পূজা পরিচালনাতে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আমাকে সহযোগীতা করেছেন আমি তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।বিশেষ করে জনাব গৌরাজ্ঞ কুমার বিশ্বাস, গোকুল কুমার বিশ্বাস,প্রবীর কুমার পাল,বিশ্বনাথ পাল,অলোক দেবনাথ,বিদ্যুৎ কুমার,অজান্তা বিশ্বাস,অর্পনা পাল,স্বাগতম সরকার,স্বজল সরকার আজকের এই পূজা অনুষ্ঠানে আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করায় এত সুন্দর একটি আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। পূজা অর্চনা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে সরস্বতী পূজা উদযাপিত

আপডেটের সময় : ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: উৎসবমুখর পরিবেশে সদ্য জাতীয়করণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনকৃত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগেরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় বাণী অর্চনা, দেবীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, অঞ্জলি প্রদান, আর্তি, প্রসাদ বিতরণ, ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আর্তি প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছিল এবারের পূজা উৎসব। এসময় সরস্বতী দেবীর কাছে জ্ঞান প্রার্থনা করেন বিদ্যার্থীরা। কলেজের সনাতন সংঘ এ পূজার আয়োজন করে।“ধর্ম যার যার উৎসব সবার” এই বিশ্বাসে সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় কলেজ প্রাঙ্গণ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পূজাকে কেন্দ্র করে বর্ণিল আলোক সাজে সজ্জিত হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জনাব ডাঃ রাশেদ শমশের কলেজ অডিটরিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। আগত দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীদের সরস্বতী পূজা ও মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ‘সব ধর্ম মানবতার কথা বলে, সুন্দরের কথা বলে, অখণ্ড মানবতাবাদী জীবন দর্শনের কথা বলে, সব মানুষ এক। তাই বিদ্যা দেবীর কাছে আমার প্রার্থনা আমাদের কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের উপর তিনি তার আশীর্বাদ বর্ষণ করবেন। পরে পূজা উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সুযোগ্য অধ্যক্ষ জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম ডাবলু বলেন, ‘দেবী সরস্বতীকে আমরা বিনাপানি মনে করি। বিদ্যা ও ললিতকলার দেবী সরস্বতী দেবীদের মধ্যে অন্যতম একজন। এই দেবী শিক্ষার প্রেরণা যোগান। জ্ঞান উদ্ভাবন ও সৃষ্টিশীলতা কখনও উপসংহারে পৌঁছায় না।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের সম্মানীত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মোঃ শফিকুল ইসলাম,সুমন শাহরিয়ার, বাংলা বিভাগের প্রভাষক গৌরাঙ্গ কুমার বিশ্বাস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক রবিউল ইসলাম, দর্শন বিভাগের প্রভাষক এম. এ মারুফসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও এলাকাবাসী। পূজা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও কলেজের প্রভাষক জনাব তরুন কুমার বিশ্বাস পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘এ পূজা ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির নিদর্শন।’অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলো পেতে অসংখ্য ভক্ত ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদ্যাদেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ ও পূজা অর্চনা করেন। তিনি আরো বলেন,কলেজের পূজা পরিচালনাতে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আমাকে সহযোগীতা করেছেন আমি তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।বিশেষ করে জনাব গৌরাজ্ঞ কুমার বিশ্বাস, গোকুল কুমার বিশ্বাস,প্রবীর কুমার পাল,বিশ্বনাথ পাল,অলোক দেবনাথ,বিদ্যুৎ কুমার,অজান্তা বিশ্বাস,অর্পনা পাল,স্বাগতম সরকার,স্বজল সরকার আজকের এই পূজা অনুষ্ঠানে আমাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করায় এত সুন্দর একটি আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। পূজা অর্চনা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।