ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

জবানবন্দিতে পুলিশের শেখানো কথা বলেছি, বাবাকে আয়শা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯
  • / ৫০১ টাইম ভিউ

রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ যা বলতে বলেছে, আদালতে তা–ই বলেছেন আয়শা সিদ্দিকা। না বললে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন বরগুনা জেলা কারাগারের ফটকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল আরও বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কী বলেছে, তা মেয়ের কাছে জানতে চেয়েছি। জবাবে সে বলেছে, পুলিশ যেভাবে বলতে বলেছে, জবানবন্দিতে সেভাবেই এদিকে রিফাত হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি রিফাত ফরাজী গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দফা রিমান্ড শেষে বরগুনা বিচারিক হাকিমের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার পর রিফাতই এ মামলার প্রধান আসামি। এ নিয়ে ১৫ আসামির ১৪ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হলো।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী তাঁকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছেন। ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ হন তাঁরা। এর ছয় দিন পর ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ওই দিন রাতেই রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত ফরাজী বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। তাঁর ছোট ভাই রিশান ফরাজীও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রিফাত ফরাজীকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর কক্ষে নেওয়া হয়। জবানবন্দি দেওয়া শেষে পৌনে আটটায় তাঁকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমাযুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে রিফাত ফরাজী জবানবন্দি দিয়েছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

জবানবন্দিতে পুলিশের শেখানো কথা বলেছি, বাবাকে আয়শা

আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯

রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ যা বলতে বলেছে, আদালতে তা–ই বলেছেন আয়শা সিদ্দিকা। না বললে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন বরগুনা জেলা কারাগারের ফটকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল আরও বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কী বলেছে, তা মেয়ের কাছে জানতে চেয়েছি। জবাবে সে বলেছে, পুলিশ যেভাবে বলতে বলেছে, জবানবন্দিতে সেভাবেই এদিকে রিফাত হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি রিফাত ফরাজী গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দফা রিমান্ড শেষে বরগুনা বিচারিক হাকিমের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার পর রিফাতই এ মামলার প্রধান আসামি। এ নিয়ে ১৫ আসামির ১৪ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হলো।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী তাঁকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছেন। ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ হন তাঁরা। এর ছয় দিন পর ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ওই দিন রাতেই রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত ফরাজী বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। তাঁর ছোট ভাই রিশান ফরাজীও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রিফাত ফরাজীকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর কক্ষে নেওয়া হয়। জবানবন্দি দেওয়া শেষে পৌনে আটটায় তাঁকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমাযুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে রিফাত ফরাজী জবানবন্দি দিয়েছেন।