ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

জবানবন্দিতে পুলিশের শেখানো কথা বলেছি, বাবাকে আয়শা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯
  • / ৪৬৫ টাইম ভিউ

রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ যা বলতে বলেছে, আদালতে তা–ই বলেছেন আয়শা সিদ্দিকা। না বললে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন বরগুনা জেলা কারাগারের ফটকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল আরও বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কী বলেছে, তা মেয়ের কাছে জানতে চেয়েছি। জবাবে সে বলেছে, পুলিশ যেভাবে বলতে বলেছে, জবানবন্দিতে সেভাবেই এদিকে রিফাত হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি রিফাত ফরাজী গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দফা রিমান্ড শেষে বরগুনা বিচারিক হাকিমের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার পর রিফাতই এ মামলার প্রধান আসামি। এ নিয়ে ১৫ আসামির ১৪ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হলো।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী তাঁকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছেন। ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ হন তাঁরা। এর ছয় দিন পর ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ওই দিন রাতেই রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত ফরাজী বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। তাঁর ছোট ভাই রিশান ফরাজীও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রিফাত ফরাজীকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর কক্ষে নেওয়া হয়। জবানবন্দি দেওয়া শেষে পৌনে আটটায় তাঁকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমাযুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে রিফাত ফরাজী জবানবন্দি দিয়েছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

জবানবন্দিতে পুলিশের শেখানো কথা বলেছি, বাবাকে আয়শা

আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯

রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ যা বলতে বলেছে, আদালতে তা–ই বলেছেন আয়শা সিদ্দিকা। না বললে আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেন পুলিশ কর্মকর্তারা। গতকাল শনিবার আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন বরগুনা জেলা কারাগারের ফটকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল আরও বলেন, ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কী বলেছে, তা মেয়ের কাছে জানতে চেয়েছি। জবাবে সে বলেছে, পুলিশ যেভাবে বলতে বলেছে, জবানবন্দিতে সেভাবেই এদিকে রিফাত হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি রিফাত ফরাজী গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দফা রিমান্ড শেষে বরগুনা বিচারিক হাকিমের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার পর রিফাতই এ মামলার প্রধান আসামি। এ নিয়ে ১৫ আসামির ১৪ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হলো।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী তাঁকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছেন। ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ হন তাঁরা। এর ছয় দিন পর ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ওই দিন রাতেই রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত ফরাজী বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে। তাঁর ছোট ভাই রিশান ফরাজীও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রিফাত ফরাজীকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর কক্ষে নেওয়া হয়। জবানবন্দি দেওয়া শেষে পৌনে আটটায় তাঁকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমাযুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে রিফাত ফরাজী জবানবন্দি দিয়েছেন।