ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

ছাতকে পুর্ব শত্রুতায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে, ফেঁসে গেছে যুবক

ছাতক প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : ০৪:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
  • / ৩৫৪ টাইম ভিউ

ছাতকে পুর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন এক যুবক। নিজেই ‘গুম নাটক’ সাজিয়ে আত্মগোপনে থাকার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন ছাতকের ভাতগাওঁ ইউনিয়নের ঝিগলী (খঞ্চনপুর) গ্রামের আব্দুল মালিক (২৮) নামের এ যুবক।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দিদার উল্লার নেতৃত্বে একটি ফোর্স থাকে আটক করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিগলী খঞ্চনপুর গ্রামের আবাব মিয়া পক্ষ ও আবুল হাসনাত, শাবাজ মিয়া, আব্দুল হাসিম ও এজু মিয়ার পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বৈরিতা চলে আসছে। এ নিয়ে গত ১২ জুন দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক ব্যাক্তি আহত হন। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে। এর জের ধরে গত বুধবার রাতে আবুল হাসনাত ও শাবাজ মিয়া পক্ষের আব্দুল মালিক ও আবাব মিয়া পক্ষের সায়মন মিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সায়মন মিয়া গুরুতর আহত হলে গা-ঢাকা দেন আব্দুল মালিক।
পরিকল্পনা মতো তাদের পক্ষের নেতাদের নির্দেশে পাশের ঘরে নিজেই আত্মগোপনে থেকে রাতের মধ্যেই তার স্বজনদের পাঠান পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে। তারা অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ছেলেকে গুম করে নিয়ে গেছে। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পৌছলে ঘর থেকে পালিয়ে যায় আব্দুল মালিক।
এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল মালিকের বাবা ওয়াছির আলী, মা আফতেরা বেগম, মনোয়ারা বেগম, ভাই কয়সর, আব্দুশ শহীদ ও হাসান আহমদকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা মতো নিজেরাই তাদের ছেলেকে গুম করার নাটক সাজিয়েছিলো। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে উপজেলার ধারন বাজার এলাকা থেকে আব্দুল মালিককে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে পুর্বের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়।
জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দিদার উল্লা জানান, যদিও পরিবারের লোকজন মৌখিকভাবে আব্দুল মালিককে গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলো। তবে লিখিতভাবে সে নিখোঁজ রয়েছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ১৫৪/০৯) করে। এর প্রেক্ষিতে তাকে উদ্ধার করা হয়। এবং পুর্বের মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

ছাতকে পুর্ব শত্রুতায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে, ফেঁসে গেছে যুবক

আপডেটের সময় : ০৪:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

ছাতকে পুর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন এক যুবক। নিজেই ‘গুম নাটক’ সাজিয়ে আত্মগোপনে থাকার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন ছাতকের ভাতগাওঁ ইউনিয়নের ঝিগলী (খঞ্চনপুর) গ্রামের আব্দুল মালিক (২৮) নামের এ যুবক।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দিদার উল্লার নেতৃত্বে একটি ফোর্স থাকে আটক করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিগলী খঞ্চনপুর গ্রামের আবাব মিয়া পক্ষ ও আবুল হাসনাত, শাবাজ মিয়া, আব্দুল হাসিম ও এজু মিয়ার পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বৈরিতা চলে আসছে। এ নিয়ে গত ১২ জুন দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক ব্যাক্তি আহত হন। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা চলছে। এর জের ধরে গত বুধবার রাতে আবুল হাসনাত ও শাবাজ মিয়া পক্ষের আব্দুল মালিক ও আবাব মিয়া পক্ষের সায়মন মিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সায়মন মিয়া গুরুতর আহত হলে গা-ঢাকা দেন আব্দুল মালিক।
পরিকল্পনা মতো তাদের পক্ষের নেতাদের নির্দেশে পাশের ঘরে নিজেই আত্মগোপনে থেকে রাতের মধ্যেই তার স্বজনদের পাঠান পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে। তারা অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ছেলেকে গুম করে নিয়ে গেছে। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পৌছলে ঘর থেকে পালিয়ে যায় আব্দুল মালিক।
এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল মালিকের বাবা ওয়াছির আলী, মা আফতেরা বেগম, মনোয়ারা বেগম, ভাই কয়সর, আব্দুশ শহীদ ও হাসান আহমদকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একপর্যায়ে তারা স্বীকার করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা মতো নিজেরাই তাদের ছেলেকে গুম করার নাটক সাজিয়েছিলো। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে উপজেলার ধারন বাজার এলাকা থেকে আব্দুল মালিককে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে পুর্বের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়।
জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দিদার উল্লা জানান, যদিও পরিবারের লোকজন মৌখিকভাবে আব্দুল মালিককে গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলো। তবে লিখিতভাবে সে নিখোঁজ রয়েছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ১৫৪/০৯) করে। এর প্রেক্ষিতে তাকে উদ্ধার করা হয়। এবং পুর্বের মামলায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।