ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

চোখের অশ্রুতে বাবু কে বিদায় জানালো বিএনপি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০
  • / ৪৮৫ টাইম ভিউ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাবেক এই ছাত্র নেতার জানাজায় অংশ নিয়ে পুরো বক্তৃতায় কাঁদলেন ফখরুল। এসময় তিনি এ শোক কাটিয়ে দলের সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, শফিউল বারী বাবুর জানাজায় আমি অংশ নেব কখনো কল্পনা করতে পারিনি। গতকাল থেকে ছেলেটা কিছুটা অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই আমরা ছুটে গিয়েছি হাসপাতালে। সবাই খোঁজখবর নিচ্ছি। তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছি। অনেক চেষ্টা করেছি বাবুকে বাঁচানোর জন্য।

পারলাম না।

তিনি বলেন, বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিল না। সে ছিল বিএনপির প্রাণ। দলের অসংখ্য নেতাকর্মী তার হাতে তৈরি হয়েছে। বিএনপিতে এমন বুদ্ধিমান, পড়াশোনা জানা, ত্যাগী নেতা খুব কমই আছে। বাবু চলে যাওয়ায় আমরা একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম। রাজনীতিতে বাবু কখনো পেছন ফিরে তাকাই নাই। সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, সে যে আমাদের কাছ থেকে এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবে সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। এমন একটা সময় চলে গেল যখন করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে আজ তছনছ হয়ে গেছে। তার মধ্যে এই ফ্যাসিবাদী যাঁতাকলে পড়ে বাংলাদেশের মানুষ আজ মুক্তির পথ খুঁজছে। এই মুক্তির সংগ্রামে অন্যতম নায়ক ছিল শফিউল বারী বাবু। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আর সবার প্রতি আমার একটাই অনুরোধ থাকবে সবাই আপনারা বাবুর পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখবেন। তার ছোট্ট ছোট্ট শিশুগুলো যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে সবাই এই দায়িত্বটা নিবেন। বাবু করোনায় মারা যায়নি। বাবু ফুসফুসের সমস্যার কারণে হঠাৎ করে চলে গেছে।

আজ সকাল দশটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শফিউল বারী বাবুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিএনপি মহাসচিব ছাড়া অংশ নেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, আজিজুল বারী হেলাল আমিনুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

পোস্ট শেয়ার করুন

চোখের অশ্রুতে বাবু কে বিদায় জানালো বিএনপি

আপডেটের সময় : ০৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাবেক এই ছাত্র নেতার জানাজায় অংশ নিয়ে পুরো বক্তৃতায় কাঁদলেন ফখরুল। এসময় তিনি এ শোক কাটিয়ে দলের সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, শফিউল বারী বাবুর জানাজায় আমি অংশ নেব কখনো কল্পনা করতে পারিনি। গতকাল থেকে ছেলেটা কিছুটা অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই আমরা ছুটে গিয়েছি হাসপাতালে। সবাই খোঁজখবর নিচ্ছি। তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছি। অনেক চেষ্টা করেছি বাবুকে বাঁচানোর জন্য।

পারলাম না।

তিনি বলেন, বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিল না। সে ছিল বিএনপির প্রাণ। দলের অসংখ্য নেতাকর্মী তার হাতে তৈরি হয়েছে। বিএনপিতে এমন বুদ্ধিমান, পড়াশোনা জানা, ত্যাগী নেতা খুব কমই আছে। বাবু চলে যাওয়ায় আমরা একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম। রাজনীতিতে বাবু কখনো পেছন ফিরে তাকাই নাই। সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, সে যে আমাদের কাছ থেকে এতো তাড়াতাড়ি চলে যাবে সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। এমন একটা সময় চলে গেল যখন করোনা ভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বে আজ তছনছ হয়ে গেছে। তার মধ্যে এই ফ্যাসিবাদী যাঁতাকলে পড়ে বাংলাদেশের মানুষ আজ মুক্তির পথ খুঁজছে। এই মুক্তির সংগ্রামে অন্যতম নায়ক ছিল শফিউল বারী বাবু। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আর সবার প্রতি আমার একটাই অনুরোধ থাকবে সবাই আপনারা বাবুর পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখবেন। তার ছোট্ট ছোট্ট শিশুগুলো যেন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে সবাই এই দায়িত্বটা নিবেন। বাবু করোনায় মারা যায়নি। বাবু ফুসফুসের সমস্যার কারণে হঠাৎ করে চলে গেছে।

আজ সকাল দশটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শফিউল বারী বাবুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিএনপি মহাসচিব ছাড়া অংশ নেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, আজিজুল বারী হেলাল আমিনুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।