সিলেট সিটি করপোরেশনের জননন্দিত সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। মানিকপীর টিলায় দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। দাফন শেষে মোনাজাতে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এর আগে মরদেহে ফুল দিয়ে নেতাকর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
বাদ জোহর ছড়ারপার জামে মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প সংখ্যক লোক জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। বদরউদ্দিন আহমদ কামরান এই মসজিদের মোতাওয়াল্লী ছিলেন। প্রথম জানাজার পর দ্বিতীয় জানাজার জন্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মরদেহ মানিকপীর গোরস্তানে নেওয়া হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১৪ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ঢাকায় কামরানের সঙ্গে থাকা তাঁর ছোট ভাই মাসুক উদ্দিনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ঘনিষ্টজন সিলেট সিটি করপোরেশনের উপ সহকারী প্রকৌশলী আবুল ফজল খোকন জানান, রবিবার রাত ১১টার দিকে তাঁর বুকের ব্যথা শুরু হয়। ক্রমে তা বাড়তে থাকে। রাত আড়াইটার দিকে মারা যান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সাবেক এ মেয়রের ফলাফল পজিটিভ আসে। এদিন থেকে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরদিন ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছিল না। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় গত ৭ জুন রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাঁকে।
আজ বেলা ১২টা ২৪ মিনিটে তাঁর মরদেহ ছড়ারপারের বাসভবনে এসে পৌঁছে। ভোর থেকেই সেখানে নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মরদেহের অপেক্ষায় ছিলেন।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com