ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

ঘুরে আসুন বদলে যাওয়া সুন্দরবনে!

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭
  • / ২৭৬৬ টাইম ভিউ

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন বদলে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক এ বনের নতুন আকর্ষণ আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার।
সবুজে ঢাকা সুন্দরবন সংলগ্ন খোলাপেটুয়া নদীর পাড়ে ২৫০ বিঘা জমির ওপর এ ট্যুরিজম সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এটি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) গড়ে উঠেছে। ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় এটি। সুরঞ্জনা,/তোমার হৃদয় আজ ঘাস/বাতাসের ওপারে বাতাস/আকাশের ওপারে আকাশ। কবি জীবনানন্দ দাশের জনপ্রিয় কবিতা ‘আকাশলীনা’ এখন শুধু বইয়ের পাতায় নয়, ভর করেছে সুন্দরবনের নিবিড় প্রকৃতিতেও।

বন বিভাগ জানায়, দেশের ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের প্রতি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ রয়েছে। বছরজুড়েই ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা সুন্দরবন দেখতে আসেন। দর্শনার্থীদের ভ্রমণ আরও আনন্দময় করে তুলতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে এই ইকো ট্যুরিজম সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। এ পর্যটন কেন্দ্রের সামনেই রয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন-সুন্দরবন। এখানে রয়েছে ট্রেল, জেটি ও নদীতে নৌ-ভ্রমণের জন্য বোট। দূরের পর্যটকদের জন্য রয়েছে আবাসিক ব্যবস্থা।

পূর্ণিমার রাতে সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্যময় এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে লোভনীয়। অল্প সময়ে সুন্দরবন দেখতে এটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্র। এখানে একটি রেস্টুরেন্ট, পার্কিং স্থান, ছোট জাদুঘরসহ পর্যটকদের জন্য হরেক রকম সুবিধা রাখা হয়েছে। নামমাত্র প্রবেশ মূল্য দিয়ে ভিতরে ঢোকা যায়। পর্যটকরা ভিতরে ঢুকেই প্রথমে দেখতে পাবেন জীবনানন্দ দাশের কবিতা ‘আকাশলীনা’ বিল বোর্ডে লেখা। এ ছাড়া বাঁশের পাটাতনে তৈরি সড়ক পথে এগিয়ে যেতেই চোখে পড়বে গোলপাতার তৈরি ঘর।

কেওড়া গাছ ঘিরে আকর্ষণীয় গল্প ও আড্ডার স্থান। কেওড়া গাছে ঝুলে থাকা বানর। বাঁশের মাচায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা কৃত্রিম বাঘ। এ ছাড়াও হাতের ডানে রয়েছে ফিশ মিউজিয়াম। উপকূলীয় অঞ্চলের মত্স্য সম্পদ পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতেই এ মত্স্য জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে রয়েছে সামুদ্রিক প্রাণী অক্টোপাস, রুপালি, হরিণা চিংড়ি, কাঁকড়া, কাইন, ভাঙন মাছ থেকে শুরু করে উপকূলীয় অঞ্চলের শতাধিক মাছ ফরমালিনে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

হাতের বাম পাশেই রয়েছে বিলাসবহুল আবাসিক রুম। রুমগুলোর নামও প্রকৃতি থেকে নেওয়া— বন বিলাস, কেওড়া, সুন্দরী ও গোলপাতা রেস্ট হাউস। এখানে খুব আরামে রাত যাপন করতে পারবেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। ইকো ট্যুরিজম সেন্টারের সামনে রয়েছে খোলপেটুয়া নদীর ওপর বাঁশের পাটাতন দিয়ে তৈরি বেশ কিছু চমৎকার টংঘর।

টংঘরগুলোর নামও বেশ চমৎকার। কোনোটির নাম প্রাণ জুড়ানী, প্রকৃতি। আবার কোনোটির নাম মনজুড়ানী। যেখানে বসে দর্শনার্থীরা আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

ঘুরে আসুন বদলে যাওয়া সুন্দরবনে!

আপডেটের সময় : ০২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন বদলে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক এ বনের নতুন আকর্ষণ আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার।
সবুজে ঢাকা সুন্দরবন সংলগ্ন খোলাপেটুয়া নদীর পাড়ে ২৫০ বিঘা জমির ওপর এ ট্যুরিজম সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এটি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) গড়ে উঠেছে। ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় এটি। সুরঞ্জনা,/তোমার হৃদয় আজ ঘাস/বাতাসের ওপারে বাতাস/আকাশের ওপারে আকাশ। কবি জীবনানন্দ দাশের জনপ্রিয় কবিতা ‘আকাশলীনা’ এখন শুধু বইয়ের পাতায় নয়, ভর করেছে সুন্দরবনের নিবিড় প্রকৃতিতেও।

বন বিভাগ জানায়, দেশের ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের প্রতি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ রয়েছে। বছরজুড়েই ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা সুন্দরবন দেখতে আসেন। দর্শনার্থীদের ভ্রমণ আরও আনন্দময় করে তুলতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে এই ইকো ট্যুরিজম সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। এ পর্যটন কেন্দ্রের সামনেই রয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন-সুন্দরবন। এখানে রয়েছে ট্রেল, জেটি ও নদীতে নৌ-ভ্রমণের জন্য বোট। দূরের পর্যটকদের জন্য রয়েছে আবাসিক ব্যবস্থা।

পূর্ণিমার রাতে সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্যময় এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে লোভনীয়। অল্প সময়ে সুন্দরবন দেখতে এটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্র। এখানে একটি রেস্টুরেন্ট, পার্কিং স্থান, ছোট জাদুঘরসহ পর্যটকদের জন্য হরেক রকম সুবিধা রাখা হয়েছে। নামমাত্র প্রবেশ মূল্য দিয়ে ভিতরে ঢোকা যায়। পর্যটকরা ভিতরে ঢুকেই প্রথমে দেখতে পাবেন জীবনানন্দ দাশের কবিতা ‘আকাশলীনা’ বিল বোর্ডে লেখা। এ ছাড়া বাঁশের পাটাতনে তৈরি সড়ক পথে এগিয়ে যেতেই চোখে পড়বে গোলপাতার তৈরি ঘর।

কেওড়া গাছ ঘিরে আকর্ষণীয় গল্প ও আড্ডার স্থান। কেওড়া গাছে ঝুলে থাকা বানর। বাঁশের মাচায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা কৃত্রিম বাঘ। এ ছাড়াও হাতের ডানে রয়েছে ফিশ মিউজিয়াম। উপকূলীয় অঞ্চলের মত্স্য সম্পদ পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতেই এ মত্স্য জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে রয়েছে সামুদ্রিক প্রাণী অক্টোপাস, রুপালি, হরিণা চিংড়ি, কাঁকড়া, কাইন, ভাঙন মাছ থেকে শুরু করে উপকূলীয় অঞ্চলের শতাধিক মাছ ফরমালিনে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

হাতের বাম পাশেই রয়েছে বিলাসবহুল আবাসিক রুম। রুমগুলোর নামও প্রকৃতি থেকে নেওয়া— বন বিলাস, কেওড়া, সুন্দরী ও গোলপাতা রেস্ট হাউস। এখানে খুব আরামে রাত যাপন করতে পারবেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। ইকো ট্যুরিজম সেন্টারের সামনে রয়েছে খোলপেটুয়া নদীর ওপর বাঁশের পাটাতন দিয়ে তৈরি বেশ কিছু চমৎকার টংঘর।

টংঘরগুলোর নামও বেশ চমৎকার। কোনোটির নাম প্রাণ জুড়ানী, প্রকৃতি। আবার কোনোটির নাম মনজুড়ানী। যেখানে বসে দর্শনার্থীরা আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।