ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

খুলনা-কলকাতা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৯৬৪ টাইম ভিউ

বহু প্রতীক্ষিত খুলনা-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চলাচল শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। সকাল সোয়া ১০টায় ট্রেনটি কলকাতা স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করবে। ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটির যাত্রা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রথম দিন কলকাতার কয়েকজন যাত্রী ও রেল কর্মকর্তাদের নিয়েই যাওয়া-আসা করবে ট্রেনটি। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে এই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। প্রায় ৫২ বছর পর খুলনা-কলকাতা রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাওয়ায় দুই দেশের যাত্রীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

এছাড়া একই অনুষ্ঠানে কলকাতা স্টেশনে আন্তর্জাতিক রেল টার্মিনাল, অভিবাসন ও কাস্টমস পরিসেবা এবং বাংলাদেশের ভৈরব ও তিতাস রেলসেতুর উদ্বোধন করা হবে। কলকাতা স্টেশনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাংসদ ও ভারতীয় রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্থানীয় বিধায়ক মালা সাহাসহ ভারতীয় রেলের আধিকারিকরা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ‘বন্ধন এক্সপ্রেসের’ যাত্রীদের সকাল ১১টায় বেনাপোলে স্বাগত জানাবেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। এরপর ট্রেনটি খুলনায় আসবে। সেখানে বিশ্রাম নেয়ার পর দুপুর ২টায় ফের কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি।

রেলওয়ে সূত্রে আরও জানায়, ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ভারতীয়। আপাতত প্রতি বৃহস্পতিবার ট্রেনটি চলবে। ৮টি বগিতে আসন থাকবে ৪৫৬টি। এর মধ্যে এসি কেবিন ১৪৪টি ও এসি চেয়ার ৩১২টি। খুলনা থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার।

রেলের বিভাগীয় ম্যানেজার (পাকশি) অসিম কুমার তালুকদার জানান, এসি কেবিনের টিকিটের মূল্য ১৫ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় টিকিটের মূল্য দাঁড়াবে ১ হাজার ৩১১ টাকা। এর সঙ্গে ১৮৯ টাকা ভ্যাট ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স যুক্ত হয়ে মোট ভাড়া হবে দুই হাজার টাকা। আর এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ভাড়া ১০ ডলার বা ৮৭৪ টাকা, ১২৬ টাকা ভ্যাট ও ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০ টাকা। বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের কলকাতা আন্তর্জাতিক টার্মিনালে কাস্টমস ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে।

তিনি আরও জানান, আগামী ১৬ নভেম্বরের জন্য টিকিট বিক্রি শুরু হবে রোববার থেকে। খুলনা রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশেই আলাদা কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। ১৬ নভেম্বর থেকে নতুন শিডিউলে ট্রেন চলবে। কলকাতা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে আসবে। ৮টা ৫৫ মিনিটে পেট্রাপোল ও ৯টা ২০ মিনিটে বেনাপোল হয়ে বেলা ১২টায় খুলনায় পৌঁছাবে। দেড় ঘণ্টা বিশ্রাম শেষে ট্রেনটি দুপুর ১টা ২০ মিনিটে খুলনা থেকে ছেড়ে যাবে। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি কলকাতা পৌঁছাবে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচলরত ‘মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের সুবিধার জন্য গেদে সীমান্ত ও বাংলাদেশের দর্শনায় অভিবাসন ও কাস্টমস চেকিং তুলে নেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে তা যাত্রার শুরুতে কলকাতা স্টেশন ও যাত্রা শেষে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে করা হবে। এর ফলে এ ট্রেনটির চলাচলের সময় অন্তত ৩ ঘণ্টা কমে যাবে। মাত্র ৬ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কলকাতায় পৌঁছে যাবেন যাত্রীরা।

উল্লেখ্য, ৫২ বছর আগে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে খুলনা-কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতো। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত ৮ এপ্রিল খুলনা-কলকাতা রুটে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস-২’ ট্রেনটি পরীক্ষামূলক চলাচল করেছিল।

পোস্ট শেয়ার করুন

খুলনা-কলকাতা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

আপডেটের সময় : ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৭

বহু প্রতীক্ষিত খুলনা-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চলাচল শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। সকাল সোয়া ১০টায় ট্রেনটি কলকাতা স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করবে। ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটির যাত্রা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রথম দিন কলকাতার কয়েকজন যাত্রী ও রেল কর্মকর্তাদের নিয়েই যাওয়া-আসা করবে ট্রেনটি। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে এই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। প্রায় ৫২ বছর পর খুলনা-কলকাতা রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাওয়ায় দুই দেশের যাত্রীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

এছাড়া একই অনুষ্ঠানে কলকাতা স্টেশনে আন্তর্জাতিক রেল টার্মিনাল, অভিবাসন ও কাস্টমস পরিসেবা এবং বাংলাদেশের ভৈরব ও তিতাস রেলসেতুর উদ্বোধন করা হবে। কলকাতা স্টেশনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাংসদ ও ভারতীয় রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্থানীয় বিধায়ক মালা সাহাসহ ভারতীয় রেলের আধিকারিকরা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ‘বন্ধন এক্সপ্রেসের’ যাত্রীদের সকাল ১১টায় বেনাপোলে স্বাগত জানাবেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। এরপর ট্রেনটি খুলনায় আসবে। সেখানে বিশ্রাম নেয়ার পর দুপুর ২টায় ফের কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি।

রেলওয়ে সূত্রে আরও জানায়, ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ভারতীয়। আপাতত প্রতি বৃহস্পতিবার ট্রেনটি চলবে। ৮টি বগিতে আসন থাকবে ৪৫৬টি। এর মধ্যে এসি কেবিন ১৪৪টি ও এসি চেয়ার ৩১২টি। খুলনা থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার।

রেলের বিভাগীয় ম্যানেজার (পাকশি) অসিম কুমার তালুকদার জানান, এসি কেবিনের টিকিটের মূল্য ১৫ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় টিকিটের মূল্য দাঁড়াবে ১ হাজার ৩১১ টাকা। এর সঙ্গে ১৮৯ টাকা ভ্যাট ও ৫০০ টাকা ট্রাভেল ট্যাক্স যুক্ত হয়ে মোট ভাড়া হবে দুই হাজার টাকা। আর এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ভাড়া ১০ ডলার বা ৮৭৪ টাকা, ১২৬ টাকা ভ্যাট ও ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০ টাকা। বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের কলকাতা আন্তর্জাতিক টার্মিনালে কাস্টমস ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে।

তিনি আরও জানান, আগামী ১৬ নভেম্বরের জন্য টিকিট বিক্রি শুরু হবে রোববার থেকে। খুলনা রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশেই আলাদা কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। ১৬ নভেম্বর থেকে নতুন শিডিউলে ট্রেন চলবে। কলকাতা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে আসবে। ৮টা ৫৫ মিনিটে পেট্রাপোল ও ৯টা ২০ মিনিটে বেনাপোল হয়ে বেলা ১২টায় খুলনায় পৌঁছাবে। দেড় ঘণ্টা বিশ্রাম শেষে ট্রেনটি দুপুর ১টা ২০ মিনিটে খুলনা থেকে ছেড়ে যাবে। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি কলকাতা পৌঁছাবে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে চলাচলরত ‘মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের সুবিধার জন্য গেদে সীমান্ত ও বাংলাদেশের দর্শনায় অভিবাসন ও কাস্টমস চেকিং তুলে নেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে তা যাত্রার শুরুতে কলকাতা স্টেশন ও যাত্রা শেষে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে করা হবে। এর ফলে এ ট্রেনটির চলাচলের সময় অন্তত ৩ ঘণ্টা কমে যাবে। মাত্র ৬ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কলকাতায় পৌঁছে যাবেন যাত্রীরা।

উল্লেখ্য, ৫২ বছর আগে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে খুলনা-কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করতো। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত ৮ এপ্রিল খুলনা-কলকাতা রুটে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস-২’ ট্রেনটি পরীক্ষামূলক চলাচল করেছিল।