আপডেট

x


খালেদা জিয়া ১৮ অক্টোবর দেশে ফিরছেন

সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭ | ২:৫২ অপরাহ্ণ | 810 বার

খালেদা জিয়া ১৮ অক্টোবর দেশে ফিরছেন

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আইনগত ও রাজনৈতিক এই দুই কারণে খুব দ্রুত দেশে ফিরছেন। জানা গেছে, ১৮ অক্টোবর বিকেলে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দলের সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে তিনি ঢাকা এসে পৌঁছাবেন।

নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, চেয়ারপারসন চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরবেন এটিই স্বাভাবিক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এর আগেও বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে হয়েছে। এ নিয়ে তিনি চিন্তিত নন।



মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চেয়ারপারসন দুই-চার দিনের মধ্যেই দেশে ফিরে আসবেন। ফিরবেন না বলে অনেকে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ষড়যন্ত্রের কথাও বলেছে। কিন্তু খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্রে নয়, সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। জানা যায়, দুই কারণে খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন।

আইনগত কারণ হলো—খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে চান। আগামী ১৯ অক্টোবর জিয়া ট্রাস্টের দুটি মামলায় শুনানির কথা রয়েছে। ওই দিনই উপস্থিত হয়ে আদালত থেকে তাঁর জামিনের আবেদন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে।

আর রাজনৈতিক কারণ হলো—প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার কথিত অসুস্থতা এবং তার ছুটিতে যাওয়ার ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে দেশে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে বলে মনে করে দলটি। এ কারণে দেশজুড়ে নানা গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতিতে বিএনপি মনে করে খালেদা জিয়ার এই পরিস্থিতিতে দেশে ফেরা উচিত।

জানা গেছে, গত ১২ অক্টোবর হঠাৎ করেই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার দলের আইনজীবী ও সিনিয়র নেতারা গুলশান কার্যালয়ে করণীয় নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন।

ওই বৈঠকে আইনজীবী নেতারা মত দেন, যেহেতু চেয়ারপারসনের পায়ের চিকিৎসা প্রায় শেষ পর্যায়ে, ফলে দেশে ফিরে আদালতে হাজির হয়ে তার জামিন নেওয়াই ভালো।

তারা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার গতি ও আইনগত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু চেয়ারপারসন দেশে ফিরবেন কি না এ প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তাঁরা দলটির স্থায়ী কমিটির ওপর ছেড়ে দেন। ফলে করণীয় নিয়ে স্থায়ী কমিটির নেতারা বৈঠকে বসেন পরের দিন শুক্রবার।

সূত্র মতে, বৈঠকে উপস্থিত নেতারা প্রায় সবাই একবাক্যে মত দেন যে মামলার হাজিরার চেয়েও রাজনৈতিক কারণে চেয়ারপারসনের এই মুহূর্তে দেশে ফেরা উচিত।

তারা বলেন, নির্বাচনের সময় প্রায় কাছাকাছি। তা ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা, প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা ও গুঞ্জনের মূহূর্তে তার দেশে থাকা উচিত।

সূত্র মতে, বৈঠক থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এ বিষয়ে লন্ডনে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে মতামত জানিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।

এরপর শুক্রবার রাতেই লন্ডনে যোগাযোগ করা হলে খালেদা জিয়া জানান, তিনি ফিরে আসবেন। দলের ক্ষুদ্র একটি অংশ এমন মতামতও দিয়েছিল যে দেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। কিন্তু খালেদা জিয়া এ ধরনের মতামতকে গুরুত্ব দেননি।

মন্তব্য করতে পারেন...

comments


deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত

design and development by : http://webnewsdesign.com