খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে বিএনপি এক দফা আন্দোলনে যাবে
- আপডেটের সময় : ১০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
- / ৩৫০ টাইম ভিউ
আগামী ৫ ডিসেম্বর দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে বিএনপি এক দফা আন্দোলনে যাবে বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকাস্থ ভোলা মনপুরা চরফ্যাশন জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবৈধ সাজা বাতিলের দাবি’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডাকসুর সাবেক নেতা নাজিম উদ্দিন আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা যদি দেখি ৫ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্ত হন নাই। তাহলে বুঝতে হবে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী। তার সরাসরি হস্তক্ষেপে বেগম জিয়া মুক্ত নাও হতে পারেন। আর সেটা হলে, আমি বলতে চাই- ৫ ডিসেম্বরের পরে এদেশে শুধু এক দফার আন্দোলন হবে। তা হবে, শেখ হাসিনা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের আন্দোলন।
বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যে বোর্ড তৈরী করা হয়েছে, সেই মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট চেয়েছেন। আমরা জানি, বিএসএমএমইউ’র প্রশাসন ও চিকিৎসকরাও স্বাধীন নন। তারা সরকারের রক্তচক্ষু…। এরপরও মনে করি, তাদের পেশার প্রতি সুবিচার করে বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা যা, আমি বিশ্বাস করি- যদি আপনাদের এখন পর্যন্ত নীতিবোধ ও পেশাগত সততা থেকে থাকে তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার সঠিক রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে দেবেন। আর সেই রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আসবে। আর সঠিক রিপোর্ট দিলে আমার বিশ্বাস, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে আপিল বিভাগের অন্য কোন বিকল্প নাই।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের উচ্চ আদালত, আপিল বিভাগ ও বিএসএমএমইউ যদি সুবিচার না পাই, তাহলে এই সরকারের পতন ঘটনা ছাড়া আমাদের কোন বিকল্প নাই। আর এই পতন ঘটিয়েই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। সেজন্য আজকে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে সরকার এদেশের জনগণের স্বার্থে কোনো কিছু করছে না বলেও মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ।