ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অনশন করেই রিজভীর মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৪৫৭ টাইম ভিউ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনশন করতে করতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই মারা গেলেন রিজভী হাওলাদার নামে একজন। এমন তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে অনশনরত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রিজভীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। তার বাবার নাম আজহার হাওলাদার। খালেদা-পাগল রিজভী থাকতেন বিএনপি কার্যালয়েই। বাড়িঘর আত্মীয়-স্বজন সব ফেলে সারাক্ষণ খালেদা জিয়ার জন্য কেঁদে সময় কাটাতেন তিনি।

পটুয়াখালীর বাউফলের ছোট্টকান্দা গ্রামে রিজভীর জন্ম। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুরে বসবাস করতেন। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে নিয়মিত নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনি দলীয় কার্যালয়ে আসতেন শুধু দল ও জিয়া পরিবারকে ভালোবেসে। রাত দেড়টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, এরআগে প্রতিবেদক শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কার্যালয়ে গেলে সেখানে জলটা দেখে এগিয়ে গেলে জানতে পারেন রিজভী গুরুতর অসুস্থ। তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে সেখানে গেলে জানতে পারেন ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে রিজভী মারা গেছে।

মৃত রিজভীর পাশে সোহেল
এদিকে রিজভী হাওলাদারের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাতেই ছুটে আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির (দক্ষিণ) সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে তার লাশের পাশে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আটকের পর তার জন্য পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে ফল নিয়ে গিয়ে আলোচনায় আসেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রিজভী হাওলাদার।

পোস্ট শেয়ার করুন

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অনশন করেই রিজভীর মৃত্যু

আপডেটের সময় : ০১:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনশন করতে করতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই মারা গেলেন রিজভী হাওলাদার নামে একজন। এমন তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে অনশনরত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রিজভীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। তার বাবার নাম আজহার হাওলাদার। খালেদা-পাগল রিজভী থাকতেন বিএনপি কার্যালয়েই। বাড়িঘর আত্মীয়-স্বজন সব ফেলে সারাক্ষণ খালেদা জিয়ার জন্য কেঁদে সময় কাটাতেন তিনি।

পটুয়াখালীর বাউফলের ছোট্টকান্দা গ্রামে রিজভীর জন্ম। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুরে বসবাস করতেন। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে নিয়মিত নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনি দলীয় কার্যালয়ে আসতেন শুধু দল ও জিয়া পরিবারকে ভালোবেসে। রাত দেড়টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, এরআগে প্রতিবেদক শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কার্যালয়ে গেলে সেখানে জলটা দেখে এগিয়ে গেলে জানতে পারেন রিজভী গুরুতর অসুস্থ। তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে সেখানে গেলে জানতে পারেন ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে রিজভী মারা গেছে।

মৃত রিজভীর পাশে সোহেল
এদিকে রিজভী হাওলাদারের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাতেই ছুটে আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির (দক্ষিণ) সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে তার লাশের পাশে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আটকের পর তার জন্য পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে ফল নিয়ে গিয়ে আলোচনায় আসেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রিজভী হাওলাদার।