ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

খালেদার আপলি শুনানি বৃহস্পতিবার, সিদ্ধান্ত নেবেন ৭ বিচারপতি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৪৩১ টাইম ভিউ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফের দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ । তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

পরে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আজ খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর শুনানির দিন নির্ধারণ ছিল। কিন্তু আপিল আদালত তাদের সব বিচারপতিকে (সাত সদস্যের) নিয়ে আবেদনটির ওপর শুনানি করবেন বলে পুনরায় বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারণ করেছেন।’

এর আগে চ্যারিটেবল মামলায় গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন।

এরপর গত ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।

এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

মোট ৩৬টি মামলার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৪টি মামলায় জামিন পেয়েছেন খালেদা জিয়া। সাজাপ্রাপ্ত দুটি মামলার মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলে অপরটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আপিল বিভাগ থেকে জামিন পেতে হবে। এ পরিস্থিতিতে মামলাটির ওপর নির্ভর করছে অপর মামলার ভবিষ্যৎ। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানি গ্রহণ করে আরও দু-একটি শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। দু-তিন শুনানি শেষে এ মামলায় জামিন পেলে আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে অপর মামলাটিরও শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। সাংবাবিধানিক ও আইনগত অধিকারে সার্বিক বিবেচনায় তাঁর মুক্তির পথে কোনো বাধা নেই। উচ্চ আদালতে শুনানিতে ন্যায়বিচার পেলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বলে তারা আশাবাদী।

অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আইন অনুযায়ী শুনানি হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা উচিত হবে না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, উচ্চ আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনিও এর বাইরে আর কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একইসঙ্গে জামিনের আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট গত ৩১ জুলাই জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। এই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৪ নভেম্বর আপিল করেন খালেদা জিয়া। এ আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত গত ১৭ নভেম্বর এক আদেশে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ২৫ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।

সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালত মিলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এখন ১৭টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ১৭ বছরের কারাদ হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল বিচারাধীন। ওই আপিলের সঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিন চাওয়া হয়েছে, যা এখনও আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন। অবশ্য এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। এই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হয়। ওই দুই মামলায় জামিন পেলেই মুক্তি পাবেন খালেদা জিয়া।

পোস্ট শেয়ার করুন

খালেদার আপলি শুনানি বৃহস্পতিবার, সিদ্ধান্ত নেবেন ৭ বিচারপতি

আপডেটের সময় : ০১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফের দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ । তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

পরে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আজ খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর শুনানির দিন নির্ধারণ ছিল। কিন্তু আপিল আদালত তাদের সব বিচারপতিকে (সাত সদস্যের) নিয়ে আবেদনটির ওপর শুনানি করবেন বলে পুনরায় বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারণ করেছেন।’

এর আগে চ্যারিটেবল মামলায় গত ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন।

এরপর গত ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেছিলেন।

এরপর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন।

মোট ৩৬টি মামলার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৪টি মামলায় জামিন পেয়েছেন খালেদা জিয়া। সাজাপ্রাপ্ত দুটি মামলার মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলে অপরটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আপিল বিভাগ থেকে জামিন পেতে হবে। এ পরিস্থিতিতে মামলাটির ওপর নির্ভর করছে অপর মামলার ভবিষ্যৎ। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার শুনানি গ্রহণ করে আরও দু-একটি শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। দু-তিন শুনানি শেষে এ মামলায় জামিন পেলে আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে অপর মামলাটিরও শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। সাংবাবিধানিক ও আইনগত অধিকারে সার্বিক বিবেচনায় তাঁর মুক্তির পথে কোনো বাধা নেই। উচ্চ আদালতে শুনানিতে ন্যায়বিচার পেলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বলে তারা আশাবাদী।

অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আইন অনুযায়ী শুনানি হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা উচিত হবে না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, উচ্চ আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনিও এর বাইরে আর কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একইসঙ্গে জামিনের আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট গত ৩১ জুলাই জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। এই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৪ নভেম্বর আপিল করেন খালেদা জিয়া। এ আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত গত ১৭ নভেম্বর এক আদেশে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ২৫ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।

সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালত মিলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এখন ১৭টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার ১৭ বছরের কারাদ হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল বিচারাধীন। ওই আপিলের সঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিন চাওয়া হয়েছে, যা এখনও আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন। অবশ্য এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। এই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হয়। ওই দুই মামলায় জামিন পেলেই মুক্তি পাবেন খালেদা জিয়া।