ঢাকা , শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

ক্রাইস্টচার্চে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন সিলেটের হুসনে আরা পারভীন

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ
  • আপডেটের সময় : ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯
  • / ১১৩২ টাইম ভিউ

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ   নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় অর্ধশত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন সিলেটের হুসনে আরা পারভীন (৪২)। ঘটনার সময় তিনি মসজিদে জুমার নামাজে যাওয়া স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদের খোঁজে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

নিহত হুসনে আরা পারভীন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটা গ্রামের মৃত আব্দুন নূরের মেয়ে। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত হুসনে আরা পারভীনের চাচাতো ভাই সিলেট মহানগর কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ আর শাকিল জানান, স্বামী, একমাত্র মেয়ে ও দুই ভাইবোনের সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চে থাকতেন হুসনে আরা পারভীন। তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার চকগ্রামে। তিনি প্যারালাইজড হওয়ায় হুইল চেয়ারে চলাচল করেন।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার জন্য স্বামীকে নিয়ে ক্রাইস্টচার্চে একটি মসজিদে যান হুসনে আরা । সেখানে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথকভাবে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা আছে। স্বামীকে পুরুষদের মসজিদে দিয়ে নারীদের জন্য পৃথক জায়গায় নামাজ আদায়ে যান তিনি। কিছু সময় পর গোলাগুলির শব্দ শুনে পুরুষদের মসজিদে স্বামীকে খুঁজতে যান হুসনে আরা। ওই সময় বন্দুকধারী সন্ত্রাসী তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

এদিকে স্ত্রী পারভীন নিহত হলেও অন্যান্য মুসল্লিরা তার স্বামী ফরিদ উদ্দিনকে মসজিদ থেকে বের করে নেয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে ফরিদ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে হুসনে আরা পারভীনের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর তারা নিউজিল্যান্ডে যান। সর্বশেষ ২০০৯ সালে দেশে তারা এসেছিলেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

ক্রাইস্টচার্চে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন সিলেটের হুসনে আরা পারভীন

আপডেটের সময় : ০৭:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মার্চ ২০১৯

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ   নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় অর্ধশত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন সিলেটের হুসনে আরা পারভীন (৪২)। ঘটনার সময় তিনি মসজিদে জুমার নামাজে যাওয়া স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদের খোঁজে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

নিহত হুসনে আরা পারভীন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটা গ্রামের মৃত আব্দুন নূরের মেয়ে। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত হুসনে আরা পারভীনের চাচাতো ভাই সিলেট মহানগর কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ আর শাকিল জানান, স্বামী, একমাত্র মেয়ে ও দুই ভাইবোনের সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চে থাকতেন হুসনে আরা পারভীন। তার স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদের বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার চকগ্রামে। তিনি প্যারালাইজড হওয়ায় হুইল চেয়ারে চলাচল করেন।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার জন্য স্বামীকে নিয়ে ক্রাইস্টচার্চে একটি মসজিদে যান হুসনে আরা । সেখানে পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথকভাবে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা আছে। স্বামীকে পুরুষদের মসজিদে দিয়ে নারীদের জন্য পৃথক জায়গায় নামাজ আদায়ে যান তিনি। কিছু সময় পর গোলাগুলির শব্দ শুনে পুরুষদের মসজিদে স্বামীকে খুঁজতে যান হুসনে আরা। ওই সময় বন্দুকধারী সন্ত্রাসী তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

এদিকে স্ত্রী পারভীন নিহত হলেও অন্যান্য মুসল্লিরা তার স্বামী ফরিদ উদ্দিনকে মসজিদ থেকে বের করে নেয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে ফরিদ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে হুসনে আরা পারভীনের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর তারা নিউজিল্যান্ডে যান। সর্বশেষ ২০০৯ সালে দেশে তারা এসেছিলেন।