ঢাকা , সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে

ক্যালসিয়ামের আঁধার ডেউয়া ফল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৪৮৮ টাইম ভিউ

হলুদ রঙা, এবড়োথেবড়ো আকারের কিছু ফল বিক্রি করতে দেখা যায়, রাস্তার ধারে বসা ফল বিক্রেতাদের। বুনো বলে ভদ্রস্থ ফলের দোকানে স্থান পায় না এই ফলটি। পথ চলতে থাকা পথচারী এই ফল দেখে হঠাত্‍ই থমকে দাঁড়ান, কৌতূহলের বশে কেউ কেউ কিনেও ফেলেন। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটির নাম ডেউয়া। অঞ্চলভেদে একে ঢেউয়া, ডেলোমাদার, ডেউফল, ঢেউফল ইত্যাদিও বলা হয়ে থাকে।

ডেউয়া ফলের ইংরেজি নাম monkey jackfruit এবং বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus lacucha বা Artocarpus lakoocha। ফলটি তেমন জনপ্রিয় না হলেও অসাধারণ ভেষজ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বৃষ্টির মৌসুমে ভর্তা করে খেতে খুবই সুস্বাদু এই ফল। ভিটামিন-সি ও ক্যালসিয়ামের আঁধার বলা হয় ডেউয়া ফলকে। এগুলো ছাড়াও ডেউয়া ফলে রয়েছে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য ডেউয়া ফলে রয়েছে- খনিজ- ০.৮ গ্রাম, খাদ্যশক্তি- ৬৬ কিলোক্যালরি, আমিষ- ০.৭ গ্রাম, শর্করা- ১৩.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ- ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১- ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২- ০.১৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি- ১৩৫ মিলিগ্রাম এবং পটাশিয়াম- ৩৪৮.৩৩ মিলিগ্রাম।

চলুন ডেউয়া ফলের ভেষজ গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিই-

কোনো কারণে বমি বমি ভাব অনুভব হলে তা খেলে দ্রুত সেরে যায়। অত্যধিক তৃষ্ণা নিবারণে কাজ করে টক জাতীয় ফল ডেউয়া।
ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়ে মসৃণ ভাব ফিরে আসে। অর্থাৎ শরীরের শুষ্কভাব দূর হয়।
এ ফল খেলে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। মরিচ, লবণ, চিনি দিয়ে ডেউয়ার ভর্তা খেলে সানস্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

যারা মেদভুঁড়ি কমাতে চান তারা ডেউয়া ফলের রস এক থেকে দেড় চামচ ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে রোজ একবার করে এক মাস খেলে উপকার পাবেন। তবে ১২ মাস তো এ ফল পাওয়া যায় না, এ জন্য যখন পাওয়া যাবে তখন কেটে রোদে শুকিয়ে রাখতে পারেন।
পেটে বায়ু জমলে পাকা ডেউয়ার রস দেড় চামচ আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে অল্প চিনি দিয়ে প্রতিদিন একবার এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।
যাদের অসুস্থতার কারণে মুখে রুচি নেই তারা দু-তিন চামচ ডেউয়ার রস ও সঙ্গে একটু লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দুপুরবেলা ভাত খাওয়ার আগে খেতে পারেন। এক সপ্তাহ খেলেই মুখে রুচি আসবে।
অনেকের বিভিন্ন খাবার খাওয়ার পর পেট পরিষ্কার হয় না। অস্বস্তিতে ভোগেন। তারা কাঁচা ডেউয়া কেটে ৮-১০ গ্রামের মতো বেটে গরম পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ওই পানি খেলে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। যা সকালে বাসি পেটে খেতে হবে।

যকৃতের নানা অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে ডেউয়া। কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের কারণে পেটব্যথা কমাতে সহায়তা করে ফলটি।
গাছের ছালের গুঁড়া ত্বকের রুক্ষতা দূর করে এবং ব্রণের দূষিত পুঁজ বের করে দেয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

ক্যালসিয়ামের আঁধার ডেউয়া ফল

আপডেটের সময় : ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২০

হলুদ রঙা, এবড়োথেবড়ো আকারের কিছু ফল বিক্রি করতে দেখা যায়, রাস্তার ধারে বসা ফল বিক্রেতাদের। বুনো বলে ভদ্রস্থ ফলের দোকানে স্থান পায় না এই ফলটি। পথ চলতে থাকা পথচারী এই ফল দেখে হঠাত্‍ই থমকে দাঁড়ান, কৌতূহলের বশে কেউ কেউ কিনেও ফেলেন। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটির নাম ডেউয়া। অঞ্চলভেদে একে ঢেউয়া, ডেলোমাদার, ডেউফল, ঢেউফল ইত্যাদিও বলা হয়ে থাকে।

ডেউয়া ফলের ইংরেজি নাম monkey jackfruit এবং বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus lacucha বা Artocarpus lakoocha। ফলটি তেমন জনপ্রিয় না হলেও অসাধারণ ভেষজ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বৃষ্টির মৌসুমে ভর্তা করে খেতে খুবই সুস্বাদু এই ফল। ভিটামিন-সি ও ক্যালসিয়ামের আঁধার বলা হয় ডেউয়া ফলকে। এগুলো ছাড়াও ডেউয়া ফলে রয়েছে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য ডেউয়া ফলে রয়েছে- খনিজ- ০.৮ গ্রাম, খাদ্যশক্তি- ৬৬ কিলোক্যালরি, আমিষ- ০.৭ গ্রাম, শর্করা- ১৩.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ- ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১- ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২- ০.১৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি- ১৩৫ মিলিগ্রাম এবং পটাশিয়াম- ৩৪৮.৩৩ মিলিগ্রাম।

চলুন ডেউয়া ফলের ভেষজ গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিই-

কোনো কারণে বমি বমি ভাব অনুভব হলে তা খেলে দ্রুত সেরে যায়। অত্যধিক তৃষ্ণা নিবারণে কাজ করে টক জাতীয় ফল ডেউয়া।
ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়ে মসৃণ ভাব ফিরে আসে। অর্থাৎ শরীরের শুষ্কভাব দূর হয়।
এ ফল খেলে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে। মরিচ, লবণ, চিনি দিয়ে ডেউয়ার ভর্তা খেলে সানস্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

যারা মেদভুঁড়ি কমাতে চান তারা ডেউয়া ফলের রস এক থেকে দেড় চামচ ঠাণ্ডা পানিতে মিশিয়ে রোজ একবার করে এক মাস খেলে উপকার পাবেন। তবে ১২ মাস তো এ ফল পাওয়া যায় না, এ জন্য যখন পাওয়া যাবে তখন কেটে রোদে শুকিয়ে রাখতে পারেন।
পেটে বায়ু জমলে পাকা ডেউয়ার রস দেড় চামচ আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে অল্প চিনি দিয়ে প্রতিদিন একবার এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।
যাদের অসুস্থতার কারণে মুখে রুচি নেই তারা দু-তিন চামচ ডেউয়ার রস ও সঙ্গে একটু লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে দুপুরবেলা ভাত খাওয়ার আগে খেতে পারেন। এক সপ্তাহ খেলেই মুখে রুচি আসবে।
অনেকের বিভিন্ন খাবার খাওয়ার পর পেট পরিষ্কার হয় না। অস্বস্তিতে ভোগেন। তারা কাঁচা ডেউয়া কেটে ৮-১০ গ্রামের মতো বেটে গরম পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ওই পানি খেলে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। যা সকালে বাসি পেটে খেতে হবে।

যকৃতের নানা অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে ডেউয়া। কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের কারণে পেটব্যথা কমাতে সহায়তা করে ফলটি।
গাছের ছালের গুঁড়া ত্বকের রুক্ষতা দূর করে এবং ব্রণের দূষিত পুঁজ বের করে দেয়।