ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা

কুশিয়ারায় চুক্তি ভঙ্গ করে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করছে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০
  • / ৩৭১ টাইম ভিউ

মৌলভীবাজার থেকে : ভারত থেকে আসা কুশিয়ারা নদীর প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় লিজের নামে অবৈধ পথে বালু বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় করছে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দেশের সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে এ নদীটি। নদী পাড়ের ঘর-বাড়ি ভাঙ্গন ও জেলে সম্প্রদায়ের মৎস্য আহরণে বাঁধা সৃষ্টি করায় সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে রাজনগর উপরজেলার ফতেপুর ইউপির জাহিদপুর গ্রামে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। নদীতে পাতানো জাল ছিড়ে ফেলায় কয়েক দফা ট্রলার ভর্তি বালুসহ ট্রলার শ্রমকিদের আটকে রাখেন জেলেরা। এতে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ এসে সরজমিন তদন্ত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত¡াধিকারীকে ১৭ জুন ২০১৭ ইং তারিখে কুশিয়ারা নদীর জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন মোতাবেক নদীর এলাইনমেন্টসহ নদীপাড়ের যাতে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি না হয় তা অনুসরনপূর্বক খনন কাজ করতে চুক্তি করে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। চুক্তিতে বলা হয়, খননকৃত বালু শুধুমাত্র মৌলভীবাজার সদর উপজেলাধীন শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোনের ভূমি উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হবে। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক চুক্তিটিকে বুড়ি আঙ্গুল দেখিয়ে কুশিয়ারার জাহিদপুর থেকে দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ বালু তুলে উজানে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন ৮/১০টি করে ট্রলার বোঝাই বালু উঠিয়ে উজানে বিক্রি করেন চড়া দামে। বালু ক্রেতারা জানিয়েছেন, এক ট্রলার বালু ৬০ হাজার টাকা হলে ১০ ট্রলারের দাম পড়ে ৬ লাখ টাকা। এভাবে অবৈধ পথে প্রতি মাসে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়।

ওই ঠিকাদারী প্রদিষ্ঠানের মালিক আশরাফ উদ্দিন বলেন, তিনি শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোন ছাড়া কোথাও বালু বিক্রি করছেন না। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তী জানান, কুশিয়ারায় অবৈধ পথে বালু বিক্রির অভিযোগ এখনো পাইনি। শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোন ছাড়া অন্য কোথাও বালু বিক্রি করা হলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুশিয়ারায় চুক্তি ভঙ্গ করে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করছে

আপডেটের সময় : ১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০

মৌলভীবাজার থেকে : ভারত থেকে আসা কুশিয়ারা নদীর প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় লিজের নামে অবৈধ পথে বালু বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় করছে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দেশের সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে এ নদীটি। নদী পাড়ের ঘর-বাড়ি ভাঙ্গন ও জেলে সম্প্রদায়ের মৎস্য আহরণে বাঁধা সৃষ্টি করায় সম্প্রতি কয়েকদিন ধরে রাজনগর উপরজেলার ফতেপুর ইউপির জাহিদপুর গ্রামে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। নদীতে পাতানো জাল ছিড়ে ফেলায় কয়েক দফা ট্রলার ভর্তি বালুসহ ট্রলার শ্রমকিদের আটকে রাখেন জেলেরা। এতে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ এসে সরজমিন তদন্ত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত¡াধিকারীকে ১৭ জুন ২০১৭ ইং তারিখে কুশিয়ারা নদীর জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজাইন মোতাবেক নদীর এলাইনমেন্টসহ নদীপাড়ের যাতে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি না হয় তা অনুসরনপূর্বক খনন কাজ করতে চুক্তি করে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। চুক্তিতে বলা হয়, খননকৃত বালু শুধুমাত্র মৌলভীবাজার সদর উপজেলাধীন শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোনের ভূমি উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হবে। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক চুক্তিটিকে বুড়ি আঙ্গুল দেখিয়ে কুশিয়ারার জাহিদপুর থেকে দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ বালু তুলে উজানে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন ৮/১০টি করে ট্রলার বোঝাই বালু উঠিয়ে উজানে বিক্রি করেন চড়া দামে। বালু ক্রেতারা জানিয়েছেন, এক ট্রলার বালু ৬০ হাজার টাকা হলে ১০ ট্রলারের দাম পড়ে ৬ লাখ টাকা। এভাবে অবৈধ পথে প্রতি মাসে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়।

ওই ঠিকাদারী প্রদিষ্ঠানের মালিক আশরাফ উদ্দিন বলেন, তিনি শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোন ছাড়া কোথাও বালু বিক্রি করছেন না। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তী জানান, কুশিয়ারায় অবৈধ পথে বালু বিক্রির অভিযোগ এখনো পাইনি। শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক জোন ছাড়া অন্য কোথাও বালু বিক্রি করা হলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।