কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে টিআর কাবিখার ৫টি প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ
- আপডেটের সময় : ০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯
- / ৪৩১ টাইম ভিউ
বিশেষ প্রতিনিধি, কুলাউড়া: উপজেলার কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের টিআর ও কাবিখা ৫টি প্রকল্পের বিষয়ে একটি কুচক্রিমহল মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট বাসদের এক সময়ে প্রভাবশালী নেতা অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান।
সদর ইউনিয়নের সাবেক ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: শাহাজাহান বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় কাবিখা প্রকল্পে সদর ইউনিয়নের অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙিনায় মাটি ভরাট ও উন্নয়ন কাজের জন্য ১৪ মেট্রিক টন চাল, অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের উত্তর পাশের মাঠি ভরাটের কাজের জন্য ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ করা হয়। এই দুটি প্রকল্পের জুন মাসে অধিক বৃষ্টিপাতে কারণে বাস্তবায়িত কাজ অনেকাংশ নষ্ট হয়ে যায়। যদিও ওই মৌসুমে মাটিও পাওয়া দুষ্কর। ট্রাক যোগে চড়া দামে মাটি এনে কাজ করা হয়। এ প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান রয়েছে।
এছাড়া টিআর প্রকল্পের প্রকল্প চেয়ারম্যান বিভা রানী নাথ বলেছেন, বনগাঁও-২ হোসনা বেগমের বাড়ির পাশের রাস্তা মেরামতের ৫০ হাজার টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ঝিমাই থেকে ভালাইমা পুঞ্জির রাস্তার উন্নয়নে ৫০ হাজার টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে ও প্রতাবী ঝন্টুর বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত ইটসোলিং বাবদ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে কিš‘ বাস্তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। যে টাকা পাওয়া গেছে সে পরিমান কাজ করা হয়েছে।
সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শাহজাহান বলেন, সরকারি গমের পরিবর্তে নিম্নমানের চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়। বরাদ্ধকৃত চালের বাজার মুল্য কম। কিন্তুু সরকার নির্ধারিত মুল্য ৪৩ টাকা। কিন্তুু বাস্তবে গুদামজাকৃত চালের মুল্য ১৫ টাকা। ফলে এই অল্প টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন দুষ্কর হয়ে পড়ে। তাছাড়া একটন গমের পরিবর্তে চাল দেয়া হয় ৬৯০ কেজি।
কুলাউড়ার ইউএনও এবং পিআইও প্রকল্প দুটি পরিদর্শণ করে কাজের পরিমাণ একটু বাড়িয়ে কাজ সম্পাদনের জন্য বলেছেন।
সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শাহজাহান তিনি দীর্ঘদিন থেকে কুলাউড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিগত নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতিক না পাওয়ায় নির্বাচন না করলেও তাঁর স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিগত নির্বাচনের প্রতিপক্ষ ও আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইছুকরা উনার এবং উনার পরিবারের মান সম্মান নষ্ট করতে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এলাকাবাসীর পক্ষে বলা হলেও বিভিন্ন সময়ে রাজনীতি ও নির্বাচনে পরাজিত গুটি কয়েক মানুষের কাছে প্রতারনাকারী চক্র ক্যাসিনো গ্রুপের মতো গড়ে উঠা একটি অশুভ চক্র আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। যারা সদর ইউনিয়নে সরকারী বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর নামে জনগনের কাছ থেকে ওপেন চাঁদাবাজি করছে এবং মাইকে ঘোষনা দিয়ে জনগনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে এবং বর্তমান সরকারের বদনাম রটাচ্ছে। এসব অপরাধীচক্র সদর ইউনিয়নের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ করতে অপ্রচেষ্টা করছে। তবে ভ্যালু লেস এইসব অপরাধীচক্রের মুখোশ কিছুদিনের মধ্যে উম্মোচিত হবে। যা জনগন দেখতে পারবেন। অধ্যাপক মো: শাহাজাহান, অপরাধীদের অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত না হতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক মো: শাহাজাহানের স্ত্রী নার্গিস আক্তার বুবলি সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হওয়ায় স্ত্রীর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তিনি স্ত্রীকে সহযোগীতা করে থাকেন।