ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে টিআর কাবিখা প্রকল্প কাজ না করে প্রকল্পের পুরো টাকা সাবেক চেয়ারম্যানের পেটে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯
  • / ৫৮৩ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিআর কাবিখার ৫টি প্রকল্পের কোনো কাজ না করিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের বাসিন্দারা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ২টি কাবিখার ২টি প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)।

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফুর রহমান চৌধুরী, মো. আজাদ মিয়া, মো. শামীমুল ইসলাম, তৈমুল ইসলাম, মো. আজিজ, শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, লোবান আহমদ, মো. জুনাব আহমদ, কবির আহমদ, জুবের আহমদ জেবলু, হেলাল আহমদ, আব্দুল বাকিসহ এলাবাসীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় কাবিখা প্রকল্পে সদর ইউনিয়নের অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙিনায় মাটি ভরাট ও উন্নয়ন কাজের জন্য ১৩ মেট্রিক টন চাল, অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের উত্তর পাশের মাঠি ভরাটের কাজের জন্য ৮ মেট্রিক টন চাল এবং টিআর প্রকল্পের আওতায় বনগাঁও ২ হোসনা বেগমের বাড়ির পাশের রাস্তা মেরামত ৫০ হাজার টাকা, ঝিমাই হতে ভালাইমা পুঞ্জির সিড়ি নির্মাণ ৫০ হাজার টাকা ও প্রতাবী ঝন্টুর বাড়ি হতে মসজিদ পর্যন্ত ইটসোলিং ৫০ হাজার টাকা। এই ৫টি প্রকল্পের মোট প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা চলতি বছরের জুন মাসে বিল উত্তোলন করা হয়। কিন্তু বিল উত্তোলনের প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও প্রকল্পগুলোর কোনো কাজই শুরু হয়নি।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার বুবলির স্বামী ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান নীতিমালা লঙ্ঘন করে নিজে প্রকল্পগুলোর চেয়ারম্যান হয়ে সবকটি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের পর টনক নড়ে সাবেক চেয়ারম্যানের। তিনি তড়িঘড়ি করে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, সময়মতো মাটি না পাওয়ায় কাজ করানো সম্ভব হয়নি। তবে তিনি কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সঠিক নয়। বিদ্যালয়ের মাটি ভরাট ও উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বিদ্যালয় মাঠের পাশে একটি পাঠাগারে কিছু কাজ করানো হয়েছে।

কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার বুবলি বলেন, প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে। বিরোধী পক্ষের লোকজন এসব অভিযোগ করছে। তবে জনপ্রতিনিধি (মেম্বার) ছাড়া প্রকল্পের চেয়ারম্যান কিভাবে হলেন? প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, উনি তো ঘরের মানুষ।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, এলাকার মানুষের লিখিত অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন ২টি প্রকল্পস্থান পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। আগামী রবিবারের মধ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ শেষ করবেন বলে প্রকল্প সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কাজ বাস্তবায়ন না করলে ও বাকি প্রকল্পগুলো তদন্তক্রমে অনিয়ম ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়া সদর ইউনিয়নে টিআর কাবিখা প্রকল্প কাজ না করে প্রকল্পের পুরো টাকা সাবেক চেয়ারম্যানের পেটে

আপডেটের সময় : ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিআর কাবিখার ৫টি প্রকল্পের কোনো কাজ না করিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের বাসিন্দারা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ২টি কাবিখার ২টি প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)।

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফুর রহমান চৌধুরী, মো. আজাদ মিয়া, মো. শামীমুল ইসলাম, তৈমুল ইসলাম, মো. আজিজ, শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, লোবান আহমদ, মো. জুনাব আহমদ, কবির আহমদ, জুবের আহমদ জেবলু, হেলাল আহমদ, আব্দুল বাকিসহ এলাবাসীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় কাবিখা প্রকল্পে সদর ইউনিয়নের অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙিনায় মাটি ভরাট ও উন্নয়ন কাজের জন্য ১৩ মেট্রিক টন চাল, অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের উত্তর পাশের মাঠি ভরাটের কাজের জন্য ৮ মেট্রিক টন চাল এবং টিআর প্রকল্পের আওতায় বনগাঁও ২ হোসনা বেগমের বাড়ির পাশের রাস্তা মেরামত ৫০ হাজার টাকা, ঝিমাই হতে ভালাইমা পুঞ্জির সিড়ি নির্মাণ ৫০ হাজার টাকা ও প্রতাবী ঝন্টুর বাড়ি হতে মসজিদ পর্যন্ত ইটসোলিং ৫০ হাজার টাকা। এই ৫টি প্রকল্পের মোট প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা চলতি বছরের জুন মাসে বিল উত্তোলন করা হয়। কিন্তু বিল উত্তোলনের প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও প্রকল্পগুলোর কোনো কাজই শুরু হয়নি।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার বুবলির স্বামী ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান নীতিমালা লঙ্ঘন করে নিজে প্রকল্পগুলোর চেয়ারম্যান হয়ে সবকটি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের পর টনক নড়ে সাবেক চেয়ারম্যানের। তিনি তড়িঘড়ি করে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, সময়মতো মাটি না পাওয়ায় কাজ করানো সম্ভব হয়নি। তবে তিনি কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সঠিক নয়। বিদ্যালয়ের মাটি ভরাট ও উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বিদ্যালয় মাঠের পাশে একটি পাঠাগারে কিছু কাজ করানো হয়েছে।

কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার বুবলি বলেন, প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে। বিরোধী পক্ষের লোকজন এসব অভিযোগ করছে। তবে জনপ্রতিনিধি (মেম্বার) ছাড়া প্রকল্পের চেয়ারম্যান কিভাবে হলেন? প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, উনি তো ঘরের মানুষ।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, এলাকার মানুষের লিখিত অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন ২টি প্রকল্পস্থান পরিদর্শন করে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। আগামী রবিবারের মধ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ শেষ করবেন বলে প্রকল্প সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কাজ বাস্তবায়ন না করলে ও বাকি প্রকল্পগুলো তদন্তক্রমে অনিয়ম ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।