ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কুলাউড়া উপজেলা আ.লীগের সম্মেলনে নতুনরাও পদ পেতে দৌড়ঝাপ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৭৪২ টাইম ভিউ

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পদ পদবী পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবার দলের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে থাকা নেতারা। দেড় দশক পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে তারা তাদের চাকুরী,ব্যবসা ও ব্যক্তিগত কাজকে পেছনে ফেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের পদে আসতে স্থানীয় ও জেলার সভাপতি-সম্পাদকের নজর কাড়তে এমনকি তাদের মন জয় করতে সময় পার করছেন এই পদ প্রত্যাশী আ’লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, এই আ’লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা যদিও এখন পযন্ত কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি তার পরও তারা বড় বড় পদ পেতে তাদের অনুসারীদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ সরাসরি সাধারণ সম্পাদক কেউ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,কেউ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারনা চালাচ্ছেন।

এদিকে সম্মেলনের ঠিক আগ মুহুর্তে তাদের এই সরব প্রচারনার পর থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির সম্পাদকীয় পদে থাকা কয়েকজন সিনিয়র নেতারা অনেকটাই বেকায়দায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বর্তমান উপজেলা আ’লীগের কমিটিতে থাকা একাধিক নেতারা বলেন তারা সদস্য পদে না থেকেও যদি বড় পদ পদবী পেয়ে যান তাহলে আমাদের স্থান কোথায় থাকবে ? নাকি আমরা সহযোগি সংগঠনের জুনিয়ার নতুনদের নেতৃত্বে রাজনীতি করে যাবো কি?

পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে লন্ডন মহানগর আ’লীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কামাল হাসান উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ন পদ পাবেন বলে আশাবাদি। তিনিও এখন পর্যন্ত উপজেলা কমিটির সদস্য নন। তথ্যমতে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সিলেট জেলা শাখার একসময়কার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আ’লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।

তার সমর্থকরা ফেসবুকে সাধারণ সম্পাদক চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন যদি জেলা নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দিলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো।মোঃ বদরুল ইসলাম বদর আ’লীগের সম্মেলন ঘোষনার পর তিনি নিজেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা দেন। যদিও উপজেলা আ’লীগের সদস্য নন কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন আ’লীগের সহযোগী সংগঠন হয়ে।

পদ প্রত্যাশী বদরুল ইসলাম ১৯৮৪ সালে নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পর ১৯৮৭ সালে কুলাউড়া ডিগ্রী কলেজ সাধারণ সম্পাদক,১৯৯০-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া থানা সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,১৯৯৩-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৮-২০০৩ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,২০০৩-২০০৬ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলার আহবায়ক,২০০৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী-যুবলীগের সিনিয়র সদস্য পদে দায়িত্বরত রয়েছেন।

এদিকে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের পর থেকেই হঠাৎ করে সাবেক শ্রমিকলীগ নেতা সিপার উদ্দিন আহমদের শুভাকাঙ্খীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চেয়ে প্রচার প্রচরনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তথ্য নিয়ে জানা যায়,আ’লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা সিপার উদ্দিনের ভাগ্যে এখনও পর্যন্ত জোটেনি উপজেলা আ’লীগের সদস্য পদ।

তবে আ’লীগের কোন পদে না থেকেও সহযোগী সংগঠন শ্রমিকলীগের হয়ে আ’লীগের বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ডে কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি ১৯৯৭-২০০১ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া থানা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি,২০০২-২০০৪ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক,২০১০ সাল থেকে জাতীয় শ্রমিকলীগ মৌলভীবাজার জেলা শাখার একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুলাউড়া উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

নতুন পদ প্রত্যাশী প্রভাষক মমদুদ হোসেন এখন পর্যন্ত উপজেলা আ’লীগের কমিটিতে কোন পদে নেই বলে জানা গেছে। পদ না থাকলেও পূর্বে তিনি ১৯৮৭ সালে কুলাউড়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদ মতিন-তোফায়েল পরিষদের নির্বাচনে তৎকালীন কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। পরে ১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সদস্য পদ পান।

এরপর ২০০৪ সালে ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের কাউন্সিলে তিনি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হন। সাধারন সম্পাদক ইলিয়াছ মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দীর্ঘদিন ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে নৌকা প্রতিক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের কাউন্সিলে সদস্য মনোনীত হোন।

আগামী ১০ নভেম্বর কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলিগের কাউন্সিলে সমর্থকরা যুগ্ন সম্পাদক অথবা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে ফেসবুকে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন,দল তার কার্যক্রম বিবেচনা করে যে দলীয় সাংগঠনিক পদ দিলে দলের প্রতি আস্তা রেখে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

আরেক পদ প্রত্যাশী মোঃ আব্দুল মতলিব এবারের আওয়ামীলীগের সম্মেলনে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে দাবী করছেন। তিনিও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন ১৯৯০-৯১ সাল পর্যন্ত কুলাউড়ার জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহবায়ক,১৯৯৩-৯৭ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া থানা ছাত্রলীগের সমাজ সেবা সম্পাদক, ১৯৯৭-২০০২সাল পর্যন্ত প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,

২০০২-২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রথম যুগ্ম আহবায়ক,২০০৪-২০১৫ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।তিনি মনে করেন জেলা ও উপজেলা আ’লীগ পূর্বের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে তাকে উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দিবেন বলে আশাবাদী।

অপরদিকে বিআরডিবির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম ১৯৯৪-২০০০ সাল পর্যন্ত হাজিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। পরর্তীতে ২০০৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, আসন্ন উপজেলা সম্মেলনে দল আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দিয়ে কাজ করার সুযোগ দিবেন বলে আশাবাদি ।

সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন আ’লীগের সম্মেলনকে সফল করতে উপজেলা কমিটির সকল আ’লীগ নেতার সমন্বয়ে সকল প্রস্তুতি অনকেটাই সম্পন্ন। পাশাপাশি সম্মেলনের প্রচার প্রচারনা পুরো উপজেলায় মাইকিং এর মাধ্যমে হচ্ছে। ১০ নভেম্বরের সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা ও কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ।

মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য নেছার আহমদ জানান, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে আ’লীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি। যে কোন জেলা উপজেলায় সম্মেলনের পূর্বেই সব জায়গায় পদ পেতে সক্রিয় হয়ে উঠেন আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেটি আমাদের জানা আছে। দলকে সুসংগঠিতের জন্য ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়া উপজেলা আ.লীগের সম্মেলনে নতুনরাও পদ পেতে দৌড়ঝাপ

আপডেটের সময় : ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে পদ পদবী পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবার দলের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে থাকা নেতারা। দেড় দশক পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে তারা তাদের চাকুরী,ব্যবসা ও ব্যক্তিগত কাজকে পেছনে ফেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের পদে আসতে স্থানীয় ও জেলার সভাপতি-সম্পাদকের নজর কাড়তে এমনকি তাদের মন জয় করতে সময় পার করছেন এই পদ প্রত্যাশী আ’লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, এই আ’লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা যদিও এখন পযন্ত কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি তার পরও তারা বড় বড় পদ পেতে তাদের অনুসারীদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ সরাসরি সাধারণ সম্পাদক কেউ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,কেউ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারনা চালাচ্ছেন।

এদিকে সম্মেলনের ঠিক আগ মুহুর্তে তাদের এই সরব প্রচারনার পর থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির সম্পাদকীয় পদে থাকা কয়েকজন সিনিয়র নেতারা অনেকটাই বেকায়দায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বর্তমান উপজেলা আ’লীগের কমিটিতে থাকা একাধিক নেতারা বলেন তারা সদস্য পদে না থেকেও যদি বড় পদ পদবী পেয়ে যান তাহলে আমাদের স্থান কোথায় থাকবে ? নাকি আমরা সহযোগি সংগঠনের জুনিয়ার নতুনদের নেতৃত্বে রাজনীতি করে যাবো কি?

পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে লন্ডন মহানগর আ’লীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কামাল হাসান উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ন পদ পাবেন বলে আশাবাদি। তিনিও এখন পর্যন্ত উপজেলা কমিটির সদস্য নন। তথ্যমতে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সিলেট জেলা শাখার একসময়কার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে আ’লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।

তার সমর্থকরা ফেসবুকে সাধারণ সম্পাদক চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন যদি জেলা নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দিলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবো।মোঃ বদরুল ইসলাম বদর আ’লীগের সম্মেলন ঘোষনার পর তিনি নিজেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ঘোষণা দেন। যদিও উপজেলা আ’লীগের সদস্য নন কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন আ’লীগের সহযোগী সংগঠন হয়ে।

পদ প্রত্যাশী বদরুল ইসলাম ১৯৮৪ সালে নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পর ১৯৮৭ সালে কুলাউড়া ডিগ্রী কলেজ সাধারণ সম্পাদক,১৯৯০-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া থানা সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক,১৯৯৩-১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৮-২০০৩ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,২০০৩-২০০৬ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলার আহবায়ক,২০০৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী-যুবলীগের সিনিয়র সদস্য পদে দায়িত্বরত রয়েছেন।

এদিকে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের পর থেকেই হঠাৎ করে সাবেক শ্রমিকলীগ নেতা সিপার উদ্দিন আহমদের শুভাকাঙ্খীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাঁকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চেয়ে প্রচার প্রচরনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তথ্য নিয়ে জানা যায়,আ’লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা সিপার উদ্দিনের ভাগ্যে এখনও পর্যন্ত জোটেনি উপজেলা আ’লীগের সদস্য পদ।

তবে আ’লীগের কোন পদে না থেকেও সহযোগী সংগঠন শ্রমিকলীগের হয়ে আ’লীগের বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ডে কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি ১৯৯৭-২০০১ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া থানা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি,২০০২-২০০৪ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক,২০১০ সাল থেকে জাতীয় শ্রমিকলীগ মৌলভীবাজার জেলা শাখার একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুলাউড়া উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

নতুন পদ প্রত্যাশী প্রভাষক মমদুদ হোসেন এখন পর্যন্ত উপজেলা আ’লীগের কমিটিতে কোন পদে নেই বলে জানা গেছে। পদ না থাকলেও পূর্বে তিনি ১৯৮৭ সালে কুলাউড়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদ মতিন-তোফায়েল পরিষদের নির্বাচনে তৎকালীন কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। পরে ১৯৯৭ সালে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের সদস্য পদ পান।

এরপর ২০০৪ সালে ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের কাউন্সিলে তিনি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হন। সাধারন সম্পাদক ইলিয়াছ মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দীর্ঘদিন ইউনিয়ন আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে নৌকা প্রতিক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলিগের কাউন্সিলে সদস্য মনোনীত হোন।

আগামী ১০ নভেম্বর কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলিগের কাউন্সিলে সমর্থকরা যুগ্ন সম্পাদক অথবা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে ফেসবুকে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন,দল তার কার্যক্রম বিবেচনা করে যে দলীয় সাংগঠনিক পদ দিলে দলের প্রতি আস্তা রেখে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

আরেক পদ প্রত্যাশী মোঃ আব্দুল মতলিব এবারের আওয়ামীলীগের সম্মেলনে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে দাবী করছেন। তিনিও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালীন ১৯৯০-৯১ সাল পর্যন্ত কুলাউড়ার জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহবায়ক,১৯৯৩-৯৭ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া থানা ছাত্রলীগের সমাজ সেবা সম্পাদক, ১৯৯৭-২০০২সাল পর্যন্ত প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,

২০০২-২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রথম যুগ্ম আহবায়ক,২০০৪-২০১৫ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।তিনি মনে করেন জেলা ও উপজেলা আ’লীগ পূর্বের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে তাকে উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দিবেন বলে আশাবাদী।

অপরদিকে বিআরডিবির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম ১৯৯৪-২০০০ সাল পর্যন্ত হাজিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৮-২০০১ সাল পর্যন্ত কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। পরর্তীতে ২০০৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, আসন্ন উপজেলা সম্মেলনে দল আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দিয়ে কাজ করার সুযোগ দিবেন বলে আশাবাদি ।

সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন আ’লীগের সম্মেলনকে সফল করতে উপজেলা কমিটির সকল আ’লীগ নেতার সমন্বয়ে সকল প্রস্তুতি অনকেটাই সম্পন্ন। পাশাপাশি সম্মেলনের প্রচার প্রচারনা পুরো উপজেলায় মাইকিং এর মাধ্যমে হচ্ছে। ১০ নভেম্বরের সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা ও কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ।

মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য নেছার আহমদ জানান, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে আ’লীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি। যে কোন জেলা উপজেলায় সম্মেলনের পূর্বেই সব জায়গায় পদ পেতে সক্রিয় হয়ে উঠেন আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেটি আমাদের জানা আছে। দলকে সুসংগঠিতের জন্য ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।