ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

কুলাউড়ায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যর বিরুদ্ধে ইভটিজিং এর অভিযোগ

কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ
  • আপডেটের সময় : ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯
  • / ১১৫০ টাইম ভিউ

কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাজহারুল ইসলাম মামুনের বিরুদ্ধে ইভটিজিংএর  অভিযোগ পাওয়া গেছে

‌’তুই স্কুলে আমার নামে যে অভিযোগ দিয়েছিলি তা তুই তুলে নেআমি তোকে আমার খরচে মেট্রিক পাশ করাব তোর যা কিছু প্রয়োজন সবকিছু আমি তোকে দেব এভাবে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে

ঘটনায় মেয়েটির মা ১৬ জুলাই বিকেলে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করেন। 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাজহারুল ইসলাম মামুন কর্তৃক ওই স্কুলের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর নামে কুপ্রস্তাব দুটি মোবাইল নম্বরসহ একটি টুকন দেয়। এতে মেয়েটির মা মামুনকে তাদের বাড়ি আসতে নিষেধ করে বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবগত করেন।

এর জের ধরেই ১০ জুলাই বুধবার ওই মেয়েটি স্কুলে যাবার পথে মামুন তার পথরোধ করে নানাভাবে ইভটিজিং করে। মেয়েটি উক্ত বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে বিদ্যালয়ে গেলে মামুনও ওইদিন বিদ্যালয়ে যান। তখন মামুন মেয়েটিকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে শিক্ষকদের সামনে তার নামে নানা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপমান লাঞ্ছিত করেন।

এছাড়াও মেয়েকে স্কুল থেকে বের করে দিবেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করিয়ে রাখবেন, উপবৃত্তির নাম কেটে দিবেন এরকম নানা ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন। পরদিন ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে মামুন আবারও তার গতিরোধ করে এবং হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘তুই স্কুলে আমার নামে যে অভিযোগ দিয়েছিলি তা তুই তুলে নেআমি তোকে আমার খরচে মেট্রিক পাশ করাব। তোর যা কিছু প্রয়োজন সব কিছু আমি তোকে দেব।

এভাবে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে ইভটিজিং করে। এসব ঘটনায় মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে মেয়ের বাবামা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অবগত করলে প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম মামুনের বিচার করতে পারবেন না, তাঁর কিছু করার নেই বলে অনীহা প্রকাশ করেন।

এরপর বিষয়টি বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের অবগত করলে তারাও একই জবাব দেন। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা-মা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের দাবি যেকোনো সময় মামুন মেয়েটির ক্ষতিসাধন করতে পারে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাজহারুল ইসলাম মামুন বলেন, আমি শরীফপর যুবলীগের সভাপতি আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে বিদ্যালয়ের ৮ম ও ১০ম শ্রেণীর দুই ছাত্রী বাইরের একটি ছেলেকে নিয়ে ঝগড়া করলে আমি তাদেরকে স্কুলে ডেকে এনে একটু শাঁসিয়েছি মাত্র। স্কুলের ভেতর সুন্দর পরিবেশ রক্ষার্থে শাসন করাই কি আমার অপরাধ?

কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজল উদ্দিন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্কুলছাত্রীর মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে তা বিদ্যালয়ে মিমাংসা করে দিয়েছি। স্কুলের বাইরে কিছু ঘটে থাকলে তা আমার জানা নেই।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য লোকামান আহমদ চৌধুরী বলেন স্কুলের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক হয়নি মাজহারুল ইসলাম মামুন নিজেই ভুল স্বিকার করেছেন, আমারা তা মিমাংশা করে দিয়েছি। স্কুলের বাহিরে যে ঘটনা আমাদের করার কিছু নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য ও স্কুল ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, মাজহারুল ইসলাম প্রাইভেট পড়ানোর নামে অবৈধ সর্ম্পক গড়েতোলে ২য় বিবাহ করেন, এরপর আপন শালিকার সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে ধরা পড়ে ৩য় বিয়ে করেছেন, পারিবারিক ইতিহাস বলে তিনি একই রকম ঘটনা করতেই পারেন, স্কুলের অভিভাবকরা ভোট দিয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন ইভটিজিং করার জন্য নয়, তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবী করছি।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল লাইছ বলেন, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যর বিরুদ্ধে ইভটিজিং এর অভিযোগ

আপডেটের সময় : ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯

কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাজহারুল ইসলাম মামুনের বিরুদ্ধে ইভটিজিংএর  অভিযোগ পাওয়া গেছে

‌’তুই স্কুলে আমার নামে যে অভিযোগ দিয়েছিলি তা তুই তুলে নেআমি তোকে আমার খরচে মেট্রিক পাশ করাব তোর যা কিছু প্রয়োজন সবকিছু আমি তোকে দেব এভাবে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে

ঘটনায় মেয়েটির মা ১৬ জুলাই বিকেলে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করেন। 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাজহারুল ইসলাম মামুন কর্তৃক ওই স্কুলের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর নামে কুপ্রস্তাব দুটি মোবাইল নম্বরসহ একটি টুকন দেয়। এতে মেয়েটির মা মামুনকে তাদের বাড়ি আসতে নিষেধ করে বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবগত করেন।

এর জের ধরেই ১০ জুলাই বুধবার ওই মেয়েটি স্কুলে যাবার পথে মামুন তার পথরোধ করে নানাভাবে ইভটিজিং করে। মেয়েটি উক্ত বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে বিদ্যালয়ে গেলে মামুনও ওইদিন বিদ্যালয়ে যান। তখন মামুন মেয়েটিকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে শিক্ষকদের সামনে তার নামে নানা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপমান লাঞ্ছিত করেন।

এছাড়াও মেয়েকে স্কুল থেকে বের করে দিবেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করিয়ে রাখবেন, উপবৃত্তির নাম কেটে দিবেন এরকম নানা ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন। পরদিন ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে মামুন আবারও তার গতিরোধ করে এবং হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘তুই স্কুলে আমার নামে যে অভিযোগ দিয়েছিলি তা তুই তুলে নেআমি তোকে আমার খরচে মেট্রিক পাশ করাব। তোর যা কিছু প্রয়োজন সব কিছু আমি তোকে দেব।

এভাবে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটিকে ইভটিজিং করে। এসব ঘটনায় মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি করে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে মেয়ের বাবামা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অবগত করলে প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম মামুনের বিচার করতে পারবেন না, তাঁর কিছু করার নেই বলে অনীহা প্রকাশ করেন।

এরপর বিষয়টি বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের অবগত করলে তারাও একই জবাব দেন। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা-মা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের দাবি যেকোনো সময় মামুন মেয়েটির ক্ষতিসাধন করতে পারে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাজহারুল ইসলাম মামুন বলেন, আমি শরীফপর যুবলীগের সভাপতি আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে বিদ্যালয়ের ৮ম ও ১০ম শ্রেণীর দুই ছাত্রী বাইরের একটি ছেলেকে নিয়ে ঝগড়া করলে আমি তাদেরকে স্কুলে ডেকে এনে একটু শাঁসিয়েছি মাত্র। স্কুলের ভেতর সুন্দর পরিবেশ রক্ষার্থে শাসন করাই কি আমার অপরাধ?

কানিহাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজল উদ্দিন বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্কুলছাত্রীর মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে তা বিদ্যালয়ে মিমাংসা করে দিয়েছি। স্কুলের বাইরে কিছু ঘটে থাকলে তা আমার জানা নেই।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য লোকামান আহমদ চৌধুরী বলেন স্কুলের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক হয়নি মাজহারুল ইসলাম মামুন নিজেই ভুল স্বিকার করেছেন, আমারা তা মিমাংশা করে দিয়েছি। স্কুলের বাহিরে যে ঘটনা আমাদের করার কিছু নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য ও স্কুল ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, মাজহারুল ইসলাম প্রাইভেট পড়ানোর নামে অবৈধ সর্ম্পক গড়েতোলে ২য় বিবাহ করেন, এরপর আপন শালিকার সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে ধরা পড়ে ৩য় বিয়ে করেছেন, পারিবারিক ইতিহাস বলে তিনি একই রকম ঘটনা করতেই পারেন, স্কুলের অভিভাবকরা ভোট দিয়ে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন ইভটিজিং করার জন্য নয়, তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবী করছি।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবুল লাইছ বলেন, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।