ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

কুলাউড়ায় যুবককে পিঠিয়ে গুরুতর জখম, থানায় মামলা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১২৫৩ টাইম ভিউ

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) কুলাউড়া প্র‌তি‌নি‌ধি::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাজিম খান (২০) নামে এক যুবককে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৮ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের উত্তর একরামনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত নাজিম মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবাসী কামাল খানের পরিবারের সাথে মৃত সুরুজ খাঁ’র পুত্র সাহেল খান ও সুমেল খানের পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধ থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। প্রায়শই সাহেল ও সুমেল এ বিরোধের জেরে কামাল খানের পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান করতো। ঘটনার দিন বুধবার রাতে কামাল খানের বড় ছেলে বাজার নিয়ে নাজিম খান বাড়ি ফেরার পথে উত্তর একরামনগরে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা সুমেল ও সাহেলসহ একাধিক লোক লাঠি এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। সাহেল ও তার সহযোগিরা একত্রে নাজিমকে বেধড়ক মারধর করে এবং তাঁর সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা লুটপাট করে। এতে নাজিমের মাথা ফেটে যায় ও হাত ভেঙে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় নাজিমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। নাজিমের অবস্থার আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরদিন তাঁকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ দিকে থানায় দেওয়া অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য নাজিম খানেনের মা-ভাইসহ পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান করছেন। বর্তমানে চরম আতঙ্কে রয়েছেন নাজিম খানের পরিবারের লোকজন।
নাজিম কানের মা রোসনা বেগম জানান, আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। সাহেল ও সুমেলরা আমাদের বাড়িতে এসে প্রায় সময় টাকা দাবি করতো। টাকা না দিলে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া ও মারধর করা হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই জেরে বাজার নিয়ে বাড়িতে আসার পথে আমার ছেলে নাজিমকে হত্যা করার উদ্দেশ্য হামলা চালায়। এতে আমার ছেলের মাথা ও হাত ফেটে যায়।
এ ব্যাপারে সাহেল খান তাঁর দোষ স্বীকার করে বলেন, প্রথমে প্রতিপক্ষরা আমার ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। পরে আমি নাজিমকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পরিবারের সাথে মৃত সুরুজ খাঁ’র পুত্র সাহেল খান ও সুমেল খানের পরিবারের মধ্যে পূর্ব বি

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ায় যুবককে পিঠিয়ে গুরুতর জখম, থানায় মামলা

আপডেটের সময় : ১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) কুলাউড়া প্র‌তি‌নি‌ধি::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নাজিম খান (২০) নামে এক যুবককে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৮ ডিসেম্বর বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের উত্তর একরামনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত নাজিম মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবাসী কামাল খানের পরিবারের সাথে মৃত সুরুজ খাঁ’র পুত্র সাহেল খান ও সুমেল খানের পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধ থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। প্রায়শই সাহেল ও সুমেল এ বিরোধের জেরে কামাল খানের পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান করতো। ঘটনার দিন বুধবার রাতে কামাল খানের বড় ছেলে বাজার নিয়ে নাজিম খান বাড়ি ফেরার পথে উত্তর একরামনগরে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা সুমেল ও সাহেলসহ একাধিক লোক লাঠি এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। সাহেল ও তার সহযোগিরা একত্রে নাজিমকে বেধড়ক মারধর করে এবং তাঁর সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা লুটপাট করে। এতে নাজিমের মাথা ফেটে যায় ও হাত ভেঙে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় নাজিমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। নাজিমের অবস্থার আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরদিন তাঁকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ দিকে থানায় দেওয়া অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য নাজিম খানেনের মা-ভাইসহ পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান করছেন। বর্তমানে চরম আতঙ্কে রয়েছেন নাজিম খানের পরিবারের লোকজন।
নাজিম কানের মা রোসনা বেগম জানান, আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন। সাহেল ও সুমেলরা আমাদের বাড়িতে এসে প্রায় সময় টাকা দাবি করতো। টাকা না দিলে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া ও মারধর করা হুমকি দিয়ে আসছিলো। এরই জেরে বাজার নিয়ে বাড়িতে আসার পথে আমার ছেলে নাজিমকে হত্যা করার উদ্দেশ্য হামলা চালায়। এতে আমার ছেলের মাথা ও হাত ফেটে যায়।
এ ব্যাপারে সাহেল খান তাঁর দোষ স্বীকার করে বলেন, প্রথমে প্রতিপক্ষরা আমার ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। পরে আমি নাজিমকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পরিবারের সাথে মৃত সুরুজ খাঁ’র পুত্র সাহেল খান ও সুমেল খানের পরিবারের মধ্যে পূর্ব বি