কুলাউড়ায় মাদরাসার ছাত্রীকে প্রকাশ্যে দা দিয়ে কুপিয়েছে বখাটে
- আপডেটের সময় : ০৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০১৯
- / ১০০৪ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ কুলাউড়া উপজেলা টিলাগাঁও ইউনিয়নে মাদরাসায় যাওয়ার সময় হাজেরা বেগম (১৪) নামক মাদরাসা ছাত্রীকে প্রকাশ্যে দা দিয়ে কুপিয়েছে এক বখাটে। আহত হাজেরা বেগম সিলেট ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আর বখাটে রুহুল আমিনকে কুলাউড়া থানা পুলিশ আটক করে সোমবার ১ জুলাই মৌলভীবাজার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ৩০ জুন সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টায় টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সাইদুর রহমানের মেয়ে স্থানীয় চাউরউলি মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী হাজেরা বেগম মাদরাসায় যাওয়ার পথে একই গ্রামের আব্দুল মনাফের বখাটে পুত্র রুহুল আমিন (১৫) দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন হাজেরা বেগমের আর্তচিৎকারে এগিয়ে এসে তাকে প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাজেরা বেগমের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, বখাটে রুহুল আমিনের প্রেমেরে প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে হাজেরার উপর হামলা চালায়। অবশ্য পুলিশ বলছে, ছাগল নিয়ে উভয় পরিবারের বিরোধের জের ধরে এই হামালা চালিয়েছে রুহুল আমিন। খবর পেয়ে ৩০ জুন রাতেই অভিযান চালিযে পুলিশ বখাটে রুহুল আমিনকে আটক করেছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, মেয়ের বাবা বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত রুহুল আমিনকে আটক করা হয়েছে। সে স্বীকারোক্তিমুলক জাবানবন্দি দেয়ায় সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর দু’মাস আগে উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের ঘাটেরবাজার এলাকায় গত ২৭ এপ্রিল ছামিরা আক্তার (১৪) নামক অপর এক স্কুল ছাত্রীকে প্রকাশ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে জুয়েল (১৯) নামক বখাটে।