কুলাউড়ায় ব্যাটারী চালিত ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, ভাংচুর (ভিডিওসহ)
- আপডেটের সময় : ১০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ নভেম্বর ২০২০
- / ৪৫২ টাইম ভিউ
কুলাউড়ায় ব্যাটারী চালিত ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে বুধবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ কুলাউড়া থানার সম্মুখ হতে নবীনচন্দ্র উচচ বিদ্যালয় চৌমুহনী পর্যন্ত ৩ কি:মি: পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে কমপক্ষে ৩০ জন শ্রমিক আহত হন এবং ৫০টির অধিক ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা ও ২০ টি সিএনজি অটো রিকশা ভাংগচুরের ঘটনা ঘটেছে। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক হিমশিম খেতে হয় কুলাউড়া থানা পুলিশকে। কুলাউড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম দস্তগীর , ওসি ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে কুলাউড়া থানা পুলিশের পাশাপাশি মৌলভীবাজার থেকে অতিরিক্ত ধাঙ্গা পুলিশ ৪ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
জানা যায়, শহরে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবীতে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা। এ নিয়ে সিএনজি চালিত অটো রিকশা শ্রমিক ও অটো রিকশার শ্রমিকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষে লাঠি সোঠা নিয়ে হামলা ভাংগচুরে জড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষের হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ৫০ টি অটোরিকশা ও ২০ সিএনজি গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটে এবং এতে উভয়পক্ষে ৩০ জন শ্রমিক আহত হন। আহতদের মধ্যে ব্যাটারীচালিত অটো রিকশা চালক লুৎফুর রহমান(৫০) কে সিলেট উসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অপর আহতরা হলেন ব্যাটারীচালিত অটো রিকশা চালক মহরম,সিএনজি চালক নওশাদ,ফখরুল,জব্বর,বদরুল,ফয়ছল রয়েছেন প্রমুখ।
এব্যাপারে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা সমিতি কুলাউড়া উপজেলা শাখার সভাপতি আকাশ আহমদ জানান, সিএনজি চালকরা আমাদের কার্যালয় ভাংগচুর করে সকল আসবাবপত্র ভাংচুর করে তছনছ করেছে। শতাধিক অটোরিকশা ভাংচুর এবং ২০/২২ জন রিকশা শ্রমিককে মারধর করে রক্তাত্ত করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আগামী রবিবার পর্যন্ত সকলকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়ার পরও রাস্তায় রাস্তায় রিকশা শ্রমিকদের মারধর এবং অটোরিকশা ভাংচুর করেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশার শ্রমিকরা। বিভিন্ন স্থানে ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ভাংচুর চালাচ্ছে তারা।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ইউনিয়নের কুলাউড়া উপজেলা ( রেজিনং চট্র ২৩৫৯) সাধারন সম্পাদক সোহাগ মিয়া জানান, আমরা শান্তিপূর্নভাবে মানব বন্ধন শেষে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্যোগ নেই। কিন্তু রবিরবাজার থেকে একটি মিছিল আসার পথে অটোরিকশার শ্রমিকরা সিএনজি শ্রমিকের উপর হামলা করে এবং সিএনজি ভাংচর চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জন শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তিসহ ১২ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। ২ জনকে মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৩০ টি সিএনজি গাড়ী ভাংচুর করে তারা।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েম করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে আগামী রবিবার পর্যন্ত শান্ত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। #