আপডেট

x


কুলাউড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার পিতার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৯ | ৮:৪০ অপরাহ্ণ | 1488 বার

কুলাউড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার পিতার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাঈদ খান শাওনের পিতা মুহিম খানের বিরুদ্ধে প্রতারনা করে ২০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রউফ আহমদ শিবলু ব্যবসায়ী। ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে কুলাউড়া পৌরসভার হলরুমে আয়োজতি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রউফ আহমদ শিবলু বলেন, মৌলভীবাজার জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন কুলাউড়া উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে ঠিকাদারী ব্যবসার সাথে তিনি জড়িত।

তাঁর প্রতিবেশী কুলাউড়া উপজেলার চাতলগাও গ্রামের বাসিন্দা মৃত মনোহর খানের ছেলে মোঃ মুহিম খান ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগে পার্টনারশিপে একটি ইটভাটার কাজ শুরু করার সময় ইট দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে নগদ ২২ লাখ টাকা ও তার বন্ধুদের কাছ থেকে আরো ৬ লাখ টাকা নেন। ইটের মেমো তৈরী না হওয়ায় তিনি ষ্টাম্পে এফিডেবিট করে একটি চুক্তিনামা তার সাথে সম্পাদন করেন। মেমো তৈরী হলে পরবর্তীতে তাকে মেমো দেয়ার কথা থাকলেও পরবর্তিতে তিনি তাকে মেমো কিংবা কোন ইট না দেয়ায় মুহিম খানের সাথে তার ঝগড়া বাধে।
মুহিম খান দক্ষিণভাগ থেকে ইটের ব্যবসা গুটিয়ে আসার পর টাকা নিয়ে শিবলু ও তার বন্ধুদের ঝগড়া চলতে থাকেলে সাড়ে ৫ লাখ টাকা মুহিম খান ফেরত দেন। আর কোন টাকা না দেয়ায় পরবর্তিতে এ নিয়ে দফায় দফায় শহওে বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠক গুলোতে কুলাউড়ার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে শিবলুর ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার রায় দিলেও মুহিম খান পরবর্তিতে কোন টাকা না দেয়ায় গত রমজানের ঈদের আগে কুলাউড়া শহরে পাওনা টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হলে ঈদের পরে টাকা দিবেন মুহিম খান শিবলুকে আশ^াস দেন।
ঈদের পরদিন বিকেল বেলা রাস্তায় পেয়ে মুহিম খান ও তার দুই ছেলে সাঈদ খান শাওন (কেন্দ্রীয় ছাত্রীগের সহ-সম্পাদক) ও নাঈদ খান নয়ন মোটর সাইকেল যোগে এসে শিবলুকে সাঈদ খান শাওন বলে আমার আব্বার সাথে টাকা নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করলে ৬৪ জেলায় তার নামে মামলা দিয়ে ঘরে থাকা হারাম করে দেবে। পুলিশ ও ছাত্রলীগ দিয়ে পিটিয়ে হাড় গুড়ো, গুম ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। ওই দিন রাতেই শিবলুর হার্টঅ্যাটাক হয়। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা করে শিবলু বাড়ীতে এসে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।
রউফ আহমদ শিবলু নিরুপায় হয়ে উত্তর চাতল গাও জামে মসজিদের পঞ্চায়েতের কাছে বিচার প্রার্থী হলে গত ৩০ আগষ্ট শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর পঞ্চায়েত প্রধান মোঃ ইসহাক আলীর বাড়ীতে এ নিয়ে এক বিচার অনুষ্টিত হয়। উক্ত বিচারে মুহিম খান ও তাঁর দুই ছেলে নয়ন ও শোভন উপস্থিত ছিলো। মুহিম খানের স্বীকারোক্তি মতো বিচারের সিদ্ধান্ত হয় শিবলুর পাওনা ২০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা অথবা উক্ত টাকার সমপরিমান ২০ শতক জমি শিবলুকে দেয়ার জন্য। মুহিম খান পঞ্চায়েতের কাছে একদিনের সময় চেয়ে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি আর পঞ্চায়েতের ডাকে সাড়া না দেয়ায় গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ তাহির মিয়ার বাড়িতে মসজিদের মোতাওয়াল্লী মোঃ ইসহাক আলীর সভাপতিত্বে পঞ্চায়েতের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চায়েতের ডাকে সাড়া না দেয়া ও পঞ্চয়েতের রায় না মানার কারণে উক্ত সভায় উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে মোঃ মুহিম খানকে পঞ্চায়েতের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। মুহিম খানের ছেলের মামলা হামলার হুমকিতে শিবলু ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে জানিয়ে তিনি
মুহিম খান এর কাছ থেকে আমার পাওনা টাকা আদায় করতে ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনসহ সমাজের সকল স্তরের বিবেকবান মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা শিবলু।



সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চায়েত প্রধান মোঃ ইসহাক আলী, প্রবীন মুরব্বি মোঃ আরজ খান. হাবিব খান, সাবেক ইউপি সদস্য আবু তাহের, পঞ্চায়েত সদস্য মোঃ খালিক মিয়া, লেবু মিয়া, মোবারক আলী উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করতে পারেন...

comments

deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত

design and development by : http://webnewsdesign.com