কুলাউড়ায় কাউকাপন বাজারে মনু নদী বাঁধ ধসে সড়কে যান চলাচল বন্ধ,
- আপডেটের সময় : ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯
- / ৪৪৮ টাইম ভিউ
ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কাউকাপন বাজারে মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার দুই দিনে ধসে গেছে। এ অবস্থায় বাজারটির মাঝামাঝি অবস্থিত বাঁধের ওপর যাওয়া উপজেলার কুনিমোড়া- তারাপাশা সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাঁধ ধসে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বাঁধ ভেঙে গেলে নদীর পানি ঢুকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
এদিকে বাঁধ ধসে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। স্থানীয়দের দুরবস্থা দেখতে সেখানে যান মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক এমপি ও ঠিকানা ফাউণ্ডেশনের চেয়ারম্যান এম.এম. শাহীন। এবিষয়ে তিনি সরকারের ওপরের মহলের সাথে আলোচনা করে বাঁধ মেরামতে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়ে মানুষকে শান্তনা দেন।
এলাকাবাসী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, কাউকাপন বাজারটি অনেক পুরনো। ঐতিহ্যবাহী এই বাজার এলাকায় বাঁধের দুই পাশে বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য দোকান রয়েছে। কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এই এলাকায় মনু নদীর ভাঙন চলছে। বাজারের বেশ কয়টি দোকান নদীতে তলিয়ে গেছে। সম্প্রতি বাজার এলাকায় প্রায় ১৮০ মিটারে ভাঙন চলছে। পরে পাউবো সেখানে মেরামতকাজ শুরু করে। এঅবস্থায় গত বুধবার (৩১ জুলাই) বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাঙনকবলিত স্থানের প্রায় ৫০ মিটার জায়গা নদীতে ধসে যায়।
এবিষয়ে হাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, বাঁধ ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ কুনিমোড়া-তারাপাশা সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সড়কের তিন ভাগের দুই ভাগ নদীতে ধসে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। বাঁধ ভেঙে গেলে হাজীপুরসহ পাশের রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে। মানুষ খুব আতঙ্কে বসবাস করছেন।
কাউকাপন বাজারে বাঁধ মেরামতকাজ তদারকীর দায়িত্বে থাকা পাউবোর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, ক্রমাগত সেখানে বাঁধ ধসে যাচ্ছে। গত দুই দিনে ভাঙনকবলিত ১৮০ মিটারের মধ্যে ৬০ মিটার ধসে গেছে। ভাঙন দেখা যাওয়ার পর সেখানে ২ হাজার ৩ শ’ টি বালুভর্তি বস্তা ফেলা হয়েছিলো। কিন্তু তাতেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।