ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

কুলাউড়ার কাদিপুরে বাকীতে পণ্য না দেয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা : আটক ১

দেশদিগন্ত ডেক্স
  • আপডেটের সময় : ০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ১৮২৭ টাইম ভিউ

বাকীতে পণ্য না দেয়ায় এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় ওই ব্যবসায়ী রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের পেকুরবাজারে।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীর ভাই আব্দুল আহাদ বাদী হয়ে ৩ জনের নামোল্লেখ করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং-০৫) দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কাসেম মিয়া নামক একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পেকুর বাজার জননী ভেরাইটিজ ষ্টোরের অন্যতম সত্বাধিকারী কিয়াতলা গ্রামের মো. মাজাদ উদ্দিন প্রতিদিনের মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে কৌলারশি গ্রামের সেলিম মিয়া ওই প্রতিষ্ঠানে আসেন। কিছু সময় পর তিনি বাকীতে মালামাল নিতে চান। এসময় ব্যবসায়ী মাজাদ উদ্দিন আগের দেনা-পাওনা না মিঠিয়ে পুনরায় বাকীতে মালামাল দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বিষয়টি নিয়ে মাজাদ উদ্দিন ও সেলিম মিয়ার মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেলিম মিয়া উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে ব্যবসায়ী মাজাদের উপর হামলা চালান। তাৎক্ষনিক সেলিম মিয়া কেয়াতলা গ্রামের মো. কাসেম মিয়া ও কৌলারশী গ্রামের মো. বাবলু মিয়াকে মোবাইল ফোনে দ্রুত ডেকে এনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবারো হামলা করেন ব্যবসায়ী মাজাদের উপর। এতে ওই ব্যবসায়ী অজ্ঞান হয়ে দোকানের মেঝে লুটে পড়েন।

এদিকে তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থা প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় হামলাকারীরা দোকান থেকে নগদ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শামীম মূসা জানান, এজহারভুক্ত ১জন আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ার কাদিপুরে বাকীতে পণ্য না দেয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা : আটক ১

আপডেটের সময় : ০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০১৮

বাকীতে পণ্য না দেয়ায় এক ব্যবসায়ীর উপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় ওই ব্যবসায়ী রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের পেকুরবাজারে।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীর ভাই আব্দুল আহাদ বাদী হয়ে ৩ জনের নামোল্লেখ করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং-০৫) দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কাসেম মিয়া নামক একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পেকুর বাজার জননী ভেরাইটিজ ষ্টোরের অন্যতম সত্বাধিকারী কিয়াতলা গ্রামের মো. মাজাদ উদ্দিন প্রতিদিনের মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে কৌলারশি গ্রামের সেলিম মিয়া ওই প্রতিষ্ঠানে আসেন। কিছু সময় পর তিনি বাকীতে মালামাল নিতে চান। এসময় ব্যবসায়ী মাজাদ উদ্দিন আগের দেনা-পাওনা না মিঠিয়ে পুনরায় বাকীতে মালামাল দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বিষয়টি নিয়ে মাজাদ উদ্দিন ও সেলিম মিয়ার মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেলিম মিয়া উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে ব্যবসায়ী মাজাদের উপর হামলা চালান। তাৎক্ষনিক সেলিম মিয়া কেয়াতলা গ্রামের মো. কাসেম মিয়া ও কৌলারশী গ্রামের মো. বাবলু মিয়াকে মোবাইল ফোনে দ্রুত ডেকে এনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবারো হামলা করেন ব্যবসায়ী মাজাদের উপর। এতে ওই ব্যবসায়ী অজ্ঞান হয়ে দোকানের মেঝে লুটে পড়েন।

এদিকে তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থা প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় হামলাকারীরা দোকান থেকে নগদ লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শামীম মূসা জানান, এজহারভুক্ত ১জন আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।