ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

কুলাউড়ার কর্মধায় স্কুল ঘর দেখিয়ে জায়গা দখলের পায়তারা

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০
  • / ৩১৬ টাইম ভিউ

স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়ার কর্মধায় স্কুল ঘর দেখিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করছে একদল ভূমিখেকো। তারা কৌশলে অন্যার মালিকানাদিন জায়গায় রুপনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকশত গাছ ও কেটে ফেলেছে।

এঘটনায় প্রতিকার ছেয়ে মৌলভীবাজার আদালতে ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে জায়গার মালিক।

স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায় উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব ফটিগুলি গ্রামের মৃত নিয়ামত আলীর মালিকানাধিন ২৪ শতক জায়গা যার দাগ নং ৮৪, খতিয়ান নং ১৯১, জেল নং ১২০,মৌজা আচগরাবাদ, উপর ২০০২ সালের দিকে এলাকার ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক পাঠদানের লক্ষ্যে স্থানীয়দের অনুরোধে ওই জায়গার উপর একটি ব্যাক স্কুল নির্মাণ করেন। তখন ব্রাক কর্তৃপক্ষ ৫ বছরের জন্য মাসিক ভাড়া নির্ধারন করে একটি চুক্তি করে। সেই সময় ব্রাক থেকে যে ভাড়া আসতো তখন সেই টাকা গুলো জমির প্রকৃত মালিক নিয়ামত আলীকে না দিয়ে তার পাশ্ববর্তী বাড়ির ভাতিজা হারিছ আলী সেই টাকা গুলো হাতিয়ে নিয়েছিলো। শুধু তাই নয় ওই ব্রাক স্কুল দেখিয়ে তৎকালীন এমপির কাছ থেকে টিন ও টিবওয়েল বরাদ্ধ এনে তা তার নিজ বাড়িতে নিয়ে লাগিয়েছিলো।

পরে ৫ বছর পর ব্রাক স্কুলের চুক্তি শেষ হয়ে গেলে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এর পর পরিত্যক্ত হয়ে পরে সেই স্কুল ঘরটি। জায়গার মালিক নিয়ামত আলী মারা যাওয়ার পর তার ছেলে হাসান আলী ও জহুর আলী স্কুলের পাশের জায়গা গুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রুপন করেন। গাছ গুলো ধিরে ধিরে বড় হয়ে উঠলে ও প্রায় সময় হারিছ আলী ও একই গ্রামের সুরুজ আলী (গংরা) কেটে ফেলার চেষ্টা চালায়।

এক পর্যায়ে গত ৩০ ডিসেম্বর হারিছ গংরা দলবল ও লাঠিশটা নিয়ে রুপনকৃত গাছগুলো কেটে ফেলে। এসময় জায়গার মালিক পক্ষরা বাঁধা দিতে এলে তাদের উপর অর্তকৃত হামলা চালায়।

এ ঘটনায় নিয়ামত আলীর ছেলে হাসান আলী গত ১ জানুয়ারী মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট এর ৫ নং আমল আদালতে এডভোকেট হেলাল আহমেদ খানের মাধ্যমে সুরুজ আলী ও হারিছ আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা( নং-০৪) দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুলাউড়া থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

জায়গার মালিক মৃত নিয়ামত আলীর পুত্র প্রবাসী জহুর আলী জানান, একই এলাকার হারিছ আলী ও সুরজ আলী তারা ভূমিখেকো হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তারা আমাদের জায়গাটি দখল করার জন্য একটি পুরাতন জরাক্ষীর্ন ব্যাক স্কুল ঘরকে স্কুলের জায়গা দেখিয়ে দখলের চেষ্টা করছে। ইতি মধ্যে তারা ওই জায়গাটি ফটিগুলী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে মর্মে নাম দেখিয়ে বিগত স্যাটেলমেন্ট জরিপে বিপিতে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। কিন্তু বাস্তবে সেখানে ওই নামে কোন স্কুলের অস্থিত নেই। আমরা প্রশাসনের তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রতারক ও ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অনুরোধ করছি।

এব্যাপারে কুলাউড়া প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মামুনুর রহমান জানান,ফটিগুলী বেসরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় নামে আমাদের কোন স্কুল নেই। এছাড়া উপজেলায় এই নামে অফিসিয়ালী কোন রেকর্ড নেই। তবে ফটিগুলি (রেজি:) একটি স্কুল রয়েছে যা বর্তমানে সরকারী হয়েে গেছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়ার কর্মধায় স্কুল ঘর দেখিয়ে জায়গা দখলের পায়তারা

আপডেটের সময় : ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়ার কর্মধায় স্কুল ঘর দেখিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করছে একদল ভূমিখেকো। তারা কৌশলে অন্যার মালিকানাদিন জায়গায় রুপনকৃত বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকশত গাছ ও কেটে ফেলেছে।

এঘটনায় প্রতিকার ছেয়ে মৌলভীবাজার আদালতে ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে জায়গার মালিক।

স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায় উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব ফটিগুলি গ্রামের মৃত নিয়ামত আলীর মালিকানাধিন ২৪ শতক জায়গা যার দাগ নং ৮৪, খতিয়ান নং ১৯১, জেল নং ১২০,মৌজা আচগরাবাদ, উপর ২০০২ সালের দিকে এলাকার ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক পাঠদানের লক্ষ্যে স্থানীয়দের অনুরোধে ওই জায়গার উপর একটি ব্যাক স্কুল নির্মাণ করেন। তখন ব্রাক কর্তৃপক্ষ ৫ বছরের জন্য মাসিক ভাড়া নির্ধারন করে একটি চুক্তি করে। সেই সময় ব্রাক থেকে যে ভাড়া আসতো তখন সেই টাকা গুলো জমির প্রকৃত মালিক নিয়ামত আলীকে না দিয়ে তার পাশ্ববর্তী বাড়ির ভাতিজা হারিছ আলী সেই টাকা গুলো হাতিয়ে নিয়েছিলো। শুধু তাই নয় ওই ব্রাক স্কুল দেখিয়ে তৎকালীন এমপির কাছ থেকে টিন ও টিবওয়েল বরাদ্ধ এনে তা তার নিজ বাড়িতে নিয়ে লাগিয়েছিলো।

পরে ৫ বছর পর ব্রাক স্কুলের চুক্তি শেষ হয়ে গেলে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এর পর পরিত্যক্ত হয়ে পরে সেই স্কুল ঘরটি। জায়গার মালিক নিয়ামত আলী মারা যাওয়ার পর তার ছেলে হাসান আলী ও জহুর আলী স্কুলের পাশের জায়গা গুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রুপন করেন। গাছ গুলো ধিরে ধিরে বড় হয়ে উঠলে ও প্রায় সময় হারিছ আলী ও একই গ্রামের সুরুজ আলী (গংরা) কেটে ফেলার চেষ্টা চালায়।

এক পর্যায়ে গত ৩০ ডিসেম্বর হারিছ গংরা দলবল ও লাঠিশটা নিয়ে রুপনকৃত গাছগুলো কেটে ফেলে। এসময় জায়গার মালিক পক্ষরা বাঁধা দিতে এলে তাদের উপর অর্তকৃত হামলা চালায়।

এ ঘটনায় নিয়ামত আলীর ছেলে হাসান আলী গত ১ জানুয়ারী মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট এর ৫ নং আমল আদালতে এডভোকেট হেলাল আহমেদ খানের মাধ্যমে সুরুজ আলী ও হারিছ আলীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা( নং-০৪) দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কুলাউড়া থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

জায়গার মালিক মৃত নিয়ামত আলীর পুত্র প্রবাসী জহুর আলী জানান, একই এলাকার হারিছ আলী ও সুরজ আলী তারা ভূমিখেকো হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তারা আমাদের জায়গাটি দখল করার জন্য একটি পুরাতন জরাক্ষীর্ন ব্যাক স্কুল ঘরকে স্কুলের জায়গা দেখিয়ে দখলের চেষ্টা করছে। ইতি মধ্যে তারা ওই জায়গাটি ফটিগুলী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে মর্মে নাম দেখিয়ে বিগত স্যাটেলমেন্ট জরিপে বিপিতে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। কিন্তু বাস্তবে সেখানে ওই নামে কোন স্কুলের অস্থিত নেই। আমরা প্রশাসনের তদন্তের মাধ্যমে এসব প্রতারক ও ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া অনুরোধ করছি।

এব্যাপারে কুলাউড়া প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মামুনুর রহমান জানান,ফটিগুলী বেসরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় নামে আমাদের কোন স্কুল নেই। এছাড়া উপজেলায় এই নামে অফিসিয়ালী কোন রেকর্ড নেই। তবে ফটিগুলি (রেজি:) একটি স্কুল রয়েছে যা বর্তমানে সরকারী হয়েে গেছে।