ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় , যে ভাবে উদ্ধার হল অমি

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ
  • আপডেটের সময় : ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯
  • / ১২৪১ টাইম ভিউ

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ গত কাল (৩১ মে) রাতে তারাবীর নামাজ শেষে সাড়ে ৯ টার দিকে মাহাদী অমি মসজিদ থেকে বের হয়। এসময় হৃদয় নামে পূর্বপরিচিত যুবকের সাথে দেখা হয় অমির। হৃদয় তাকে মোটরসাইকেলে তুলে শহরের দক্ষিণবাজার হয়ে মাগুরার সানরাইজ কেজি স্কুলের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্টো-চ-১১-৯৬৯৭) নিয়ে ওঁৎপেতে থাকে রেদওয়ান, কামরুল ও খায়রুল। স্কুলের সামনে পৌঁছামাত্র খায়রুল অমির মুখ চেপে ধরে এবং বাকিরা তাকে জোড়পূর্বক গাড়িতে তুলে। গাড়িতে ওঠামাত্র অপহরণকারীরা পানি জাতিয় দ্রব্যে ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত করে অমিকে জোড় করে পান করায়। এরপর থেকে অমি অচেতন অবস্থায় ছিলো।

মাইক্রোবাসযোগে কুলাউড়া থেকে শ্রীমঙ্গলে গিয়ে রেদওয়ানের পূর্ব পরিচিত একটি ঘরে নিয়ে তুলে অমিকে। মাইক্রোবাসটির চালক ছিলো হৃদয়। সেখান থেকে রাত আনুমানিক ১টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাড়াউড়া ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের ৪নং পুলের পাশে অবস্থিত একটি পরিত্যাক্ত অন্ধকার ঘরে স্থানান্তরিত করে অপহরণকারীরা।

এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ. কে. এম সফি আহমদ সলমানের কর্ণগোচর হলে অমি’কে উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠেন সফি আহমদ সলমান।

অবশেষে অপহরণ চক্রের মূল হোতা রেদওয়ান উপজেলা চেয়ারম্যানের জালে ধরা পড়লে তিনি রেদওয়ানকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। থানা পুলিশের কাছে রেদওয়ানের দেওয়া তথ্যানুযায়ী অপহরণ চক্রের বাকী সদস্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম হয়।

এ বিরল কৃতিত্বে সর্ব মহলের প্রশংসায় ভাসছেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ.কে.এম সফি আহমদ সলমান।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় , যে ভাবে উদ্ধার হল অমি

আপডেটের সময় : ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ গত কাল (৩১ মে) রাতে তারাবীর নামাজ শেষে সাড়ে ৯ টার দিকে মাহাদী অমি মসজিদ থেকে বের হয়। এসময় হৃদয় নামে পূর্বপরিচিত যুবকের সাথে দেখা হয় অমির। হৃদয় তাকে মোটরসাইকেলে তুলে শহরের দক্ষিণবাজার হয়ে মাগুরার সানরাইজ কেজি স্কুলের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্টো-চ-১১-৯৬৯৭) নিয়ে ওঁৎপেতে থাকে রেদওয়ান, কামরুল ও খায়রুল। স্কুলের সামনে পৌঁছামাত্র খায়রুল অমির মুখ চেপে ধরে এবং বাকিরা তাকে জোড়পূর্বক গাড়িতে তুলে। গাড়িতে ওঠামাত্র অপহরণকারীরা পানি জাতিয় দ্রব্যে ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত করে অমিকে জোড় করে পান করায়। এরপর থেকে অমি অচেতন অবস্থায় ছিলো।

মাইক্রোবাসযোগে কুলাউড়া থেকে শ্রীমঙ্গলে গিয়ে রেদওয়ানের পূর্ব পরিচিত একটি ঘরে নিয়ে তুলে অমিকে। মাইক্রোবাসটির চালক ছিলো হৃদয়। সেখান থেকে রাত আনুমানিক ১টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাড়াউড়া ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের ৪নং পুলের পাশে অবস্থিত একটি পরিত্যাক্ত অন্ধকার ঘরে স্থানান্তরিত করে অপহরণকারীরা।

এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ. কে. এম সফি আহমদ সলমানের কর্ণগোচর হলে অমি’কে উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠেন সফি আহমদ সলমান।

অবশেষে অপহরণ চক্রের মূল হোতা রেদওয়ান উপজেলা চেয়ারম্যানের জালে ধরা পড়লে তিনি রেদওয়ানকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। থানা পুলিশের কাছে রেদওয়ানের দেওয়া তথ্যানুযায়ী অপহরণ চক্রের বাকী সদস্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম হয়।

এ বিরল কৃতিত্বে সর্ব মহলের প্রশংসায় ভাসছেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ.কে.এম সফি আহমদ সলমান।