ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

কুয়েত বিএনপির কাউন্সিল সফল করতে পরিচালনা কমিটি গঠন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৭৮৮ টাইম ভিউ

কুয়েত বিএনপির কাউন্সিল সফল করতে কমিটি গঠন

আগামী ১লা জানুয়ারী দির্ঘ ১৮ বছর পর কুয়েত বিএনপি কাউন্সিল সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে আলহাজ্জ মোহাম্মদ শওকত আলী কে প্রধান করে আল আমিন চৌধুরী স্বপন ও মোহাম্মদ আশফাক উল হক কে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন (কাউন্সিল)পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।
দলের কাউন্সিলের তারিখ আগামী ১লা জানুয়ারী চূড়ান্ত হওয়ার পরই সম্মেলন ( কাউন্সিল) পরিচালনা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয় গতকাল ৮ ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার সন্ধায় ।
কাউন্সিল সামনে রেখে আগামী ১১/১২ ডিসেম্বর এর মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং তা জমা দেওয়ার শেষ সম্ভবত তারিখ ১৫ ই ডিসেম্বর, আর প্রার্থীতা প্রত্যাহার তারিখ জানানো হয়নি, তবে হয়তো ডিসেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যেই হতে পারে  ।
দলের দায়িত্বশীল আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সম্মেলন পরিচালনা কমিটির প্রধান আলহাজ্জ মোহাম্মদ শওকত আলীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তৃণমূল নেতা – কর্মিদের দির্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার পর কুয়েত বিএনপির কাউন্সিল বেশ ভালোভাবেই বণাঢ্য আয়োজনে করতে চায় আহবায়ক কমিটি বিএনপি কুয়েত। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হতাশা কাটিয়ে চাঙ্গা করতে এ কাউন্সিলকে ‘উপযুক্ত মাধ্যম’ হিসেবে দেখা হচ্ছে,কাউন্সিল ঘিরে দলের কর্মিদের আনন্দ উল্লাস বিরাজ করছে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন হোটেল ও অফিসে।
এখন প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের ভিড়ে মুখরিত থাকতে দেখা যাচ্ছে সিটি সহ বিভিন্ন প্রদেশের হোটেল গুলোতে। পদ-পদবি প্রত্যাশীদের পেষ্টুন সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়াছড়ির সাথে সাথে লবিং-তদবিরের পাশাপাশি সাধারণ উৎসুক নেতাকর্মীদের পদচারণা বেড়ে গেছে বিভিন্ন প্রদেশের শহর হোটেল গুলোতে।
কাউন্সিলদের সবার মুখেই প্রশ্ন_ কে হচ্ছে আগামীর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।
সোস্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তালিকায় দেখা যাচ্ছে সভাপতি পদে এখন পর্যন্ত তিন জনের নাম পাওয়া গেছে, তারা হলেন যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কুয়েত বিএনপির দ্বিতীয় ও তৃতীয় কমিটির সহ সভাপতি সোয়েব আহমেদ, যুবদলের সদ্য সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজ ও কুয়েত বিএনপির তৃতীয় কমিটির সহসভাপতি মাঈন উদ্দিন এবং বিএনপি নেতা এম ফয়সাল আহমেদ ।
সাধারন সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আক্তার উজ জামান সামস ও বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসেম এনাম, আরেক প্রভাবশালী নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাহ ঘোষনা না দিলেও লোক মুখে শোনা যাচ্ছে সিনিয়র সহ সভাপতির জন্য আগ্রহ আছে,তবে খুব কৌশল অবলম্বন করে পর্যবেক্ষন করছেন তিনি । সাংগঠনিক সম্পাদকে আছেন যুবদলের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান সবুজ, জাসাসের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা শেখ ও আহমেদী প্রদেশ বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জাফর ইকবাল পলাশ ।

কুয়েত বিএনপি’র সদস্য সচিব আলহাজ্জ শওকত আলী বলেন প্রায় ১৮ বছর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি করতে যাচ্ছি, তা সর্বাঙ্গীণ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করাই হবে আমার অঙ্গীকার ।কাউন্সিলগণ সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দান করে নজির সৃষ্টি করবে আমার বিশ্বাস ।আর কাউন্সিলারগণ দলের অপেক্ষাকৃত তরুণ, কর্মঠ ও দায়িত্বশীল নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করবে ইনশাল্লাহ ।

জাতীয়তাবাদী দল কুয়েত’র প্রতিষ্টাকালীন কমিটির সদস্য ইকবাল আহমেদ বলেন দলের জন্য নিবেদিত থেকে কাজ করে যাওয়া, কর্মিবান্ধব নেতা খোঁজে বের করা এখন সময়ের দাবী ।দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর বিএনপির সম্মেলন (কাউন্সিল) করে কমিটি নির্বাচন করার কথা থাকলেও ১৮ বছর ধরে দলটির কোনো কাউন্সিল হয়নি কুয়েতে, মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া মধ্যেপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক আহমেদ আলী মুকিব এর হাতে দায়ীত্ব দেওয়াতে কুয়েতে জাতীয়তাবাদী দলের আশার আলো দেখা হয়েছে,ডোবে যাওয়া বিএনপি জেগে উঠেছে । তবে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, দলের প্রবীণ নেতাদের সম্মানজনক জায়গায় রেখে কমিটিতে মাঝ বয়সী ও তরুণ নেতাদের আনা দরকার।
আরেক প্রভাবশালী নেতা সাবেক সাধারন সম্পাদক বৃহত্তর পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদল
,যুগ্মসম্পাদক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল, কুয়েত বিএনপির প্রতিষ্টাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ উদ্দিন মিন্টু বলেন কুয়েত বিএনপিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা কালীন থেকে আমার একটা স্বপ্ন ছিল এই কুয়েত বিএনপিকে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় সারা বিশ্বে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক কমিটি দাঢ় করানো, প্রথমে প্রায় সাফল্যের দাঢ়প্রান্তে পৌছে গিয়েছিলাম কিন্তু অত্যন্ত দূঃখের বিষয় কিছু নেতা নামধারী ব্যাক্তির বাধার মূখে তা আর সম্ভব হয়ে উঠে নাই।এখন বর্তমানে ঐসব স্বার্থবাদীরা নির্বাসিত একটু চেষ্ঠা করলে সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।যদি কাউন্সিলর তাদের মতামত সঠিক জায়গায় প্রয়োগ করে ব্যাক্তি স্বার্থকে দূরে রেখে দলীয় স্বার্থ বিবেচনা করে মতামত প্রদান করে।
আমি চাই অভিজ্ঞতার আলোকে যোগ্য নেতৃত্ব, যেই নেতৃত্ব দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেথে পারবে।বিশেষ করে অতীতে যাদের ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞতা আছে এবং তৃনমূল থেকে বাংলাদেশ সহ কুয়েতের রাজনীতিতে সমান ভাবে বিরাজমান। অনেকে আছে শুধু মাত্র কুয়েতে নিজের ব্যাক্তিগত পরিচয়ের জন্যে রাজনীতি করে কিন্তু তাদের দ্বারা দল কোন ভাবেই উপকৃত নয় তাদেরকে সবাই মিলে প্রত্যাখ্যান করা উচিত বলে মনে করি।
মনে রাখতে হবে ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়,দলের চেয়ে দেশ।আমি কোন দিন দেশ বলেন কুয়েত বলেন নিজে বলে কোন পদে অধিষ্ঠিত হয় নাই, দলের প্রয়েজনে আমাকে যেখানে দায়ীত্ব দিয়েছে সেখানে নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়ে দলকে শক্তি শালী করার জন্যে কাজ করেছি।এখনও যদি দল প্রয়েজন মনে করে আমার দ্বারা দলকে কিছু দেওয়া সম্ভব আমাকে আমার যোগ্যতা এবং অবস্হান বিবেচনা করে যেখানে দায়ীত্ব দিবে সেখান থেকেই আমি দলের জন্য কাজ করে যাব।পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই কাজ করার যদি সুযোগ পাই আগামী এক বৎসরের মধ্যে কুয়েত বিএনপি হবে বহিবিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ বিএনপি।

পোস্ট শেয়ার করুন

কুয়েত বিএনপির কাউন্সিল সফল করতে পরিচালনা কমিটি গঠন

আপডেটের সময় : ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০

কুয়েত বিএনপির কাউন্সিল সফল করতে কমিটি গঠন

আগামী ১লা জানুয়ারী দির্ঘ ১৮ বছর পর কুয়েত বিএনপি কাউন্সিল সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে আলহাজ্জ মোহাম্মদ শওকত আলী কে প্রধান করে আল আমিন চৌধুরী স্বপন ও মোহাম্মদ আশফাক উল হক কে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন (কাউন্সিল)পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।
দলের কাউন্সিলের তারিখ আগামী ১লা জানুয়ারী চূড়ান্ত হওয়ার পরই সম্মেলন ( কাউন্সিল) পরিচালনা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয় গতকাল ৮ ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার সন্ধায় ।
কাউন্সিল সামনে রেখে আগামী ১১/১২ ডিসেম্বর এর মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং তা জমা দেওয়ার শেষ সম্ভবত তারিখ ১৫ ই ডিসেম্বর, আর প্রার্থীতা প্রত্যাহার তারিখ জানানো হয়নি, তবে হয়তো ডিসেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যেই হতে পারে  ।
দলের দায়িত্বশীল আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সম্মেলন পরিচালনা কমিটির প্রধান আলহাজ্জ মোহাম্মদ শওকত আলীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তৃণমূল নেতা – কর্মিদের দির্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার পর কুয়েত বিএনপির কাউন্সিল বেশ ভালোভাবেই বণাঢ্য আয়োজনে করতে চায় আহবায়ক কমিটি বিএনপি কুয়েত। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হতাশা কাটিয়ে চাঙ্গা করতে এ কাউন্সিলকে ‘উপযুক্ত মাধ্যম’ হিসেবে দেখা হচ্ছে,কাউন্সিল ঘিরে দলের কর্মিদের আনন্দ উল্লাস বিরাজ করছে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন হোটেল ও অফিসে।
এখন প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের ভিড়ে মুখরিত থাকতে দেখা যাচ্ছে সিটি সহ বিভিন্ন প্রদেশের হোটেল গুলোতে। পদ-পদবি প্রত্যাশীদের পেষ্টুন সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়াছড়ির সাথে সাথে লবিং-তদবিরের পাশাপাশি সাধারণ উৎসুক নেতাকর্মীদের পদচারণা বেড়ে গেছে বিভিন্ন প্রদেশের শহর হোটেল গুলোতে।
কাউন্সিলদের সবার মুখেই প্রশ্ন_ কে হচ্ছে আগামীর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।
সোস্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তালিকায় দেখা যাচ্ছে সভাপতি পদে এখন পর্যন্ত তিন জনের নাম পাওয়া গেছে, তারা হলেন যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কুয়েত বিএনপির দ্বিতীয় ও তৃতীয় কমিটির সহ সভাপতি সোয়েব আহমেদ, যুবদলের সদ্য সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান মাহফুজ ও কুয়েত বিএনপির তৃতীয় কমিটির সহসভাপতি মাঈন উদ্দিন এবং বিএনপি নেতা এম ফয়সাল আহমেদ ।
সাধারন সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আক্তার উজ জামান সামস ও বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসেম এনাম, আরেক প্রভাবশালী নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাহ ঘোষনা না দিলেও লোক মুখে শোনা যাচ্ছে সিনিয়র সহ সভাপতির জন্য আগ্রহ আছে,তবে খুব কৌশল অবলম্বন করে পর্যবেক্ষন করছেন তিনি । সাংগঠনিক সম্পাদকে আছেন যুবদলের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান সবুজ, জাসাসের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তফা শেখ ও আহমেদী প্রদেশ বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জাফর ইকবাল পলাশ ।

কুয়েত বিএনপি’র সদস্য সচিব আলহাজ্জ শওকত আলী বলেন প্রায় ১৮ বছর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি করতে যাচ্ছি, তা সর্বাঙ্গীণ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করাই হবে আমার অঙ্গীকার ।কাউন্সিলগণ সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দান করে নজির সৃষ্টি করবে আমার বিশ্বাস ।আর কাউন্সিলারগণ দলের অপেক্ষাকৃত তরুণ, কর্মঠ ও দায়িত্বশীল নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করবে ইনশাল্লাহ ।

জাতীয়তাবাদী দল কুয়েত’র প্রতিষ্টাকালীন কমিটির সদস্য ইকবাল আহমেদ বলেন দলের জন্য নিবেদিত থেকে কাজ করে যাওয়া, কর্মিবান্ধব নেতা খোঁজে বের করা এখন সময়ের দাবী ।দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর বিএনপির সম্মেলন (কাউন্সিল) করে কমিটি নির্বাচন করার কথা থাকলেও ১৮ বছর ধরে দলটির কোনো কাউন্সিল হয়নি কুয়েতে, মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া মধ্যেপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক আহমেদ আলী মুকিব এর হাতে দায়ীত্ব দেওয়াতে কুয়েতে জাতীয়তাবাদী দলের আশার আলো দেখা হয়েছে,ডোবে যাওয়া বিএনপি জেগে উঠেছে । তবে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, দলের প্রবীণ নেতাদের সম্মানজনক জায়গায় রেখে কমিটিতে মাঝ বয়সী ও তরুণ নেতাদের আনা দরকার।
আরেক প্রভাবশালী নেতা সাবেক সাধারন সম্পাদক বৃহত্তর পাঁচলাইশ থানা ছাত্রদল
,যুগ্মসম্পাদক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল, কুয়েত বিএনপির প্রতিষ্টাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ উদ্দিন মিন্টু বলেন কুয়েত বিএনপিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা কালীন থেকে আমার একটা স্বপ্ন ছিল এই কুয়েত বিএনপিকে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় সারা বিশ্বে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক কমিটি দাঢ় করানো, প্রথমে প্রায় সাফল্যের দাঢ়প্রান্তে পৌছে গিয়েছিলাম কিন্তু অত্যন্ত দূঃখের বিষয় কিছু নেতা নামধারী ব্যাক্তির বাধার মূখে তা আর সম্ভব হয়ে উঠে নাই।এখন বর্তমানে ঐসব স্বার্থবাদীরা নির্বাসিত একটু চেষ্ঠা করলে সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।যদি কাউন্সিলর তাদের মতামত সঠিক জায়গায় প্রয়োগ করে ব্যাক্তি স্বার্থকে দূরে রেখে দলীয় স্বার্থ বিবেচনা করে মতামত প্রদান করে।
আমি চাই অভিজ্ঞতার আলোকে যোগ্য নেতৃত্ব, যেই নেতৃত্ব দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেথে পারবে।বিশেষ করে অতীতে যাদের ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞতা আছে এবং তৃনমূল থেকে বাংলাদেশ সহ কুয়েতের রাজনীতিতে সমান ভাবে বিরাজমান। অনেকে আছে শুধু মাত্র কুয়েতে নিজের ব্যাক্তিগত পরিচয়ের জন্যে রাজনীতি করে কিন্তু তাদের দ্বারা দল কোন ভাবেই উপকৃত নয় তাদেরকে সবাই মিলে প্রত্যাখ্যান করা উচিত বলে মনে করি।
মনে রাখতে হবে ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়,দলের চেয়ে দেশ।আমি কোন দিন দেশ বলেন কুয়েত বলেন নিজে বলে কোন পদে অধিষ্ঠিত হয় নাই, দলের প্রয়েজনে আমাকে যেখানে দায়ীত্ব দিয়েছে সেখানে নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়ে দলকে শক্তি শালী করার জন্যে কাজ করেছি।এখনও যদি দল প্রয়েজন মনে করে আমার দ্বারা দলকে কিছু দেওয়া সম্ভব আমাকে আমার যোগ্যতা এবং অবস্হান বিবেচনা করে যেখানে দায়ীত্ব দিবে সেখান থেকেই আমি দলের জন্য কাজ করে যাব।পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই কাজ করার যদি সুযোগ পাই আগামী এক বৎসরের মধ্যে কুয়েত বিএনপি হবে বহিবিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ বিএনপি।