ঢাকা , শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা

কানাডায় বাঙালি ললনাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

কানাডা থেকেঃ
  • আপডেটের সময় : ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯
  • / ১৩৬১ টাইম ভিউ

কানাডা থেকে : কানাডার ম্যানিটোবা প্রভিন্সের রাজধানী উইনিপেগে রবিবার (৩১ মার্চ) পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এপিঠা উৎসবে অংশগ্রহন করেন।

স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠান দুপুর ১২ টায় শুরু হয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল কানাডা-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএ ) ম্যানিটোবা। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি শিল্পীরা।
দুপুর ১২ টার আগে থেকে কমিউনিটি সেন্টারের ১১ জন সৌখিন পিঠা বিক্রেতা তাদের পিঠার পসরা নিয়ে বসেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫/৩০ ধরণের পিঠা নিয়ে বসেছিলেন তারা। এর মাধ্যে উল্লেখযোগ্য পিঠা ছিল, ভাঁপা, চিতাই, পাটি সাপটা, ছাচ, পুলি, দুধ রাজ, মোয়া, দুধ রাজ, কালাই পুরি, রস গজাসহ বেশ কয়েক ধরনের পিঠা। পিঠার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাহারি মিষ্টি, রসমালাই দই, বিরানি, চিকেন ইত্যাদি বিক্রি হয়। পিঠার দাম ছিল ১ ডলার থেকে শুরু করে ৪ ডলার।
পিতামাতার হাতধরে অনেক শিশুকিশোর এ পিঠা উৎসবে আসেন। মাহমুদুন নবী সোহলে জানান, তিনি এসেছেন সন্তানদের বাংলাদেশের পিঠাকে পরিচিত করতে। এদেশে জন্ম হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত সন্তানরা যেন তাদের ঐতিহ্যকে ভুলে না যায় সে কারণে তার আসা।
একজন সৌখিন পিঠা বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতিবছর বাংলাদেশের নাটোর থেকে খেজুরের গুড় আনান এ পিঠা উৎসবে পিঠা বিক্রির জন্য।
উৎসবের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কানাডা-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএ) ম্যানিটোবার প্রেসিডেন্ট নাসরিন মাসুদ। তিনি কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল শিবলী।
নির্মাণ অনুষ্ঠান শেষ হয় র‌্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে। এটি স্পনসর করেন রেজা কাদির। র‌্যাফেল ড্রয়ের সংগৃহীত ডলার উইনিপেগের নির্মানাধীণ প্রক্রিয়াতে থাকা স্থায়ী শহীদ মিনার প্রকল্পে দান করা হয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

কানাডায় বাঙালি ললনাদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

আপডেটের সময় : ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০১৯

কানাডা থেকে : কানাডার ম্যানিটোবা প্রভিন্সের রাজধানী উইনিপেগে রবিবার (৩১ মার্চ) পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এপিঠা উৎসবে অংশগ্রহন করেন।

স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠান দুপুর ১২ টায় শুরু হয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল কানাডা-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএ ) ম্যানিটোবা। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি শিল্পীরা।
দুপুর ১২ টার আগে থেকে কমিউনিটি সেন্টারের ১১ জন সৌখিন পিঠা বিক্রেতা তাদের পিঠার পসরা নিয়ে বসেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫/৩০ ধরণের পিঠা নিয়ে বসেছিলেন তারা। এর মাধ্যে উল্লেখযোগ্য পিঠা ছিল, ভাঁপা, চিতাই, পাটি সাপটা, ছাচ, পুলি, দুধ রাজ, মোয়া, দুধ রাজ, কালাই পুরি, রস গজাসহ বেশ কয়েক ধরনের পিঠা। পিঠার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাহারি মিষ্টি, রসমালাই দই, বিরানি, চিকেন ইত্যাদি বিক্রি হয়। পিঠার দাম ছিল ১ ডলার থেকে শুরু করে ৪ ডলার।
পিতামাতার হাতধরে অনেক শিশুকিশোর এ পিঠা উৎসবে আসেন। মাহমুদুন নবী সোহলে জানান, তিনি এসেছেন সন্তানদের বাংলাদেশের পিঠাকে পরিচিত করতে। এদেশে জন্ম হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত সন্তানরা যেন তাদের ঐতিহ্যকে ভুলে না যায় সে কারণে তার আসা।
একজন সৌখিন পিঠা বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতিবছর বাংলাদেশের নাটোর থেকে খেজুরের গুড় আনান এ পিঠা উৎসবে পিঠা বিক্রির জন্য।
উৎসবের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কানাডা-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএ) ম্যানিটোবার প্রেসিডেন্ট নাসরিন মাসুদ। তিনি কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল শিবলী।
নির্মাণ অনুষ্ঠান শেষ হয় র‌্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে। এটি স্পনসর করেন রেজা কাদির। র‌্যাফেল ড্রয়ের সংগৃহীত ডলার উইনিপেগের নির্মানাধীণ প্রক্রিয়াতে থাকা স্থায়ী শহীদ মিনার প্রকল্পে দান করা হয়।