কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয়

- আপডেটের সময় : ০২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
- / ১৬৮ টাইম ভিউ
এটি তার হ্যাটট্রিক জয়। কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রাদেশিক নির্বাচনে স্কারবরো সাউথ ওয়েস্ট আসন থেকে ৩য় বারের মতো এমপিপি নির্বাচিত হন ডলি বেগম। শুক্রবার সকালে (বাংলাদেশ সময়) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলে এই সুসংবাদটি চাউর হয়। ডলি বেগম এনডিপি থেকে প্রার্থী হয়ে ১৪৫৫৭টি পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পিসি পার্টির আদি ডারা মোলা তিনি পান ১০৪০০ ভোট। আর তৃতীয় হন লেবার পার্টির কাদিরা জ্যাকসন তার প্রাপ্ত ৭৭৮৬টি। ডলি বেগমের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পরিবার, স্বজন ও মৌলভীবাজারের বাসিন্দারা। ডলি বেগম প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, যিনি কানাডার প্রাদেশিক সংসদ নির্বাচনে এমপিপি (মেম্বার অব প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট) হিসেবে হ্যাটট্রিক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। প্রথমবার এমপিপি নির্বাচিত হওয়ার পর ডলি কানাডার অন্টারিওর প্রাদেশিক সংসদে বিরোধীদলীয় ডেপুটি হুইপ ও স্পিকার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কানাডায় এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী যিনি সে দেশের মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে ধারাবাহিক বিজয় অর্জন করছেন। ডলি বেগম কনজারভেটিভ প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ডের গণবিরোধী নানা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে খোলামেলা বক্তব্য রেখে অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল রাজনীতিতে আলোচনায় আসেন। ২০১৮ সালের ৮ই জুন কানাডার অন্টারিও প্রদেশের প্রাদেশিক নির্বাচনে স্কারবরো সাউথ ওয়েস্ট আসন থেকে প্রথমবারের মতো এমপিপি নির্বাচিত হন ডলি বেগম। কানাডা প্রবাসী বিশিষ্ট সংগঠক, সিলেট জেলার ওসমানী নগর উপজেলার বাসিন্দা কোহিনূর ইসলাম তানভীর বলেন, অন্টেরিও প্রদেশের বসবাসরত বাংলাদেশিরাসহ পুরো কানাডার প্রবাসীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন ডলি বেগমের হ্যাটট্রিক বিজয়ের এমন সুসংবাদ পাওয়ার জন্য। মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের বাজরাকোনা গ্রামের সন্তান ডলি বেগম। ডলি বেগম রাজা মিয়া ও জবা বেগম দম্পত্তির বড় সন্তান। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে ডলি বেগম বড়। তার ছোট ভাই মহসিন আহমদ সে দেশের একজন ব্যবসায়ী। ১৯৯৮ সালে ডলি তার বাবা-মার সঙ্গে কানাডায় পাড়ি জমান। ডলি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমুখ উচ্চ বিদ্যালয় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত থাকা অবস্থায় প্রবাস জীবনে চলে যান। সেখানে কানাডার গর্ডন এ ব্রাউন মিডল স্কুল ও ডব্লিউ এ পোর্টার কলিজিয়েট ইনস্টিটিউট কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এরপর ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো (সেন্ট জর্জ) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স সম্পন্ন করেন। এরপর লন্ডনের বিশ্বখ্যাত ইউসিএল বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্লানিং বিষয়ে মাস্টার্স করেন। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন ডলি। তিনি স্কুলজীবন থেকে নানা বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তিনি রাজনীতির প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তাই ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের কল্যাণেও নিবেদিত হন। অল্প সময়ে সবার পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। ডলি বেগমের ছোট চাচা মুনমুখ ইউনিয়নের বাজরাকোনার বাসিন্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সদর উপজেলার ডাইরেক্টর মো. আব্দুস শহিদ বলেন, শুক্রবার সকালে ডলির হ্যাটট্রিক বিজয়ের এই সুসংবাদটি পেয়েছি। তার এমন সফলতায় আমরা আনন্দিত। সে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। তিনি ডলির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।