ঢাকা , রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন

কলকাতা মাতিয়েছিল যে তারকা ফুটবলাররা, ইস্টবেঙ্গল ভুলে গেছে তাদের অবদান

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০
  • / ৪১৫ টাইম ভিউ

নব্বইয়ের দশকে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে কলকাতা মাতিয়েছিল বাংলাদেশের তারকা ফুটবলাররা। এ দলে প্রধান নামটি প্রয়াত মোনেম মুন্নাই। ডিফেন্ডার মুন্না ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে মধ্যমাঠে খেলে আলো ছড়িয়েছিলেন। তাঁর ফুটবল শৈলী আজও কিংবদন্তি হয়ে আছে কলকাতার অনেক ফুটবলপ্রেমীর কাছে। মুন্নার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন শেখ মোহাম্মদ আসলাম, রিজভি করিম রুমি ও গোলাম গাউস। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশি এই চার তারকা ফুটবলারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইস্টবেঙ্গলের কলকাতা লিগ জেতার পেছনে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কতটা মনে রেখেছে বাংলাদেশের ফুটবলারদের?

১ আগস্ট শতবর্ষে পা দিল কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। গত বছরের আগস্টেই ইস্টবেঙ্গলের আয়োজন শুরু হয়েছিল। নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ক্লাবের স্থানীয় ও বিদেশি তারকা ফুটবলারদের। আয়োজনে ছিলেন দুই সাবেক বিদেশি ইরানের মজিদ বাসকর ও ঘানার সুলে মুসা। কিন্তু সেখানে নিমন্ত্রিত ছিলেন না আসলাম, গাউস, রুমিদের কেউই। মুন্না এখন সবকিছুর ঊর্ধ্বে, কিন্তু তাঁর পরিবারকে নিমন্ত্রণ দূরে থাক, স্বীকৃতি সূচক কোনো চিঠিও পাঠানো হয়নি। করোনার এই সময়ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ উদ্‌যাপন চলছে, কিন্তু বাংলাদেশি সাবেক ফুটবলাররা যেন সবাই ভুলে যাওয়া নাম।

ইস্টবেঙ্গল নিয়ে প্রয়াত স্বামীর মুখ থেকে অনেক গল্পই শুনেছেন সুরভি মোমেন। ১৯৯৪ সালে স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় গিয়ে ব্যাপারটা নিজের চোখেই দেখেছিলেন। বুঝেছিলেন তাঁর স্বামী সেখানে কতটা জনপ্রিয়। কিন্তু একশ বছর পূর্তি উপলক্ষে কোথাও মুন্নার নাম নেই দেখে হতাশ সুরভি, ‘কলকাতায় গিয়ে দেখেছিলাম সমর্থকদের মধ্যে মুন্নার কী জনপ্রিয়তা। অথচ একশ বছর পূর্তিতে ক্লাবের পক্ষ থেকে মুন্নাকে স্মরণ না করায় আমি হতাশ হয়েছি। আমি মিডিয়ায় দেখেছি ক্লাব কিছু বিদেশি খেলোয়াড়দের ডেকে অনুষ্ঠান করেছে। আমাদেরও তো বলতে পারত।

সেই যে ১৯৯১ সালে খেলে আসার পর ক্লাবের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগই নেই আসলামের। শত বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে অন্তত একটি ফোন আশা করেছিলেন সাবেক স্ট্রাইকার আসলাম, ‘অন্তত পক্ষে আমাকে আর মুন্নার পরিবারকে তো বলতে পারত ক্লাব। ১৯৯১ সালে দলকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করতে আমাদেরও কিছু ভূমিকা ছিল। বিশেষ করে মুন্নার। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কীভাবে আমাদের ভুলে গেল, বুঝলাম না। সেই খেলে আসার পর ক্লাব আরও আমাদের সঙ্গে কখনো যোগাযোগও করেনি।’

মুন্না-আসলামদের স্মরণ না করাই কিছুটা হতাশ ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ সৈয়দ নঈমুদ্দিনও। নঈমুদ্দিনের অধীনেই ১৯৯১ সালে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে কলকাতা জয় করেছিলেন মুন্না। সেই থেকেই মুন্নার প্রতি ভারতীয় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও কোচের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। ক্লাবের সঙ্গে নিজে থেকেই যোগাযোগ করবেন বলে কলকাতা থেকে জানালেন সৈয়দ নঈমুদ্দিন, ‘মুন্না তো ‘গ্রেট’ ছিল। আসলামও বড় খেলোয়াড়। ক্লাবের প্রতি তাঁদের নিবেদন দেখেছি খুব। অবশ্যই তাঁদের সম্মান জানানো উচিত ছিল ক্লাবের। আমি নিজে ক্লাবে যোগাযোগ করব, মুন্নার পরিবার ও আসলাম, গাউস, রুমিদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।

পোস্ট শেয়ার করুন

কলকাতা মাতিয়েছিল যে তারকা ফুটবলাররা, ইস্টবেঙ্গল ভুলে গেছে তাদের অবদান

আপডেটের সময় : ০৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০

নব্বইয়ের দশকে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে কলকাতা মাতিয়েছিল বাংলাদেশের তারকা ফুটবলাররা। এ দলে প্রধান নামটি প্রয়াত মোনেম মুন্নাই। ডিফেন্ডার মুন্না ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে মধ্যমাঠে খেলে আলো ছড়িয়েছিলেন। তাঁর ফুটবল শৈলী আজও কিংবদন্তি হয়ে আছে কলকাতার অনেক ফুটবলপ্রেমীর কাছে। মুন্নার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন শেখ মোহাম্মদ আসলাম, রিজভি করিম রুমি ও গোলাম গাউস। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশি এই চার তারকা ফুটবলারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইস্টবেঙ্গলের কলকাতা লিগ জেতার পেছনে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কতটা মনে রেখেছে বাংলাদেশের ফুটবলারদের?

১ আগস্ট শতবর্ষে পা দিল কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। গত বছরের আগস্টেই ইস্টবেঙ্গলের আয়োজন শুরু হয়েছিল। নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ক্লাবের স্থানীয় ও বিদেশি তারকা ফুটবলারদের। আয়োজনে ছিলেন দুই সাবেক বিদেশি ইরানের মজিদ বাসকর ও ঘানার সুলে মুসা। কিন্তু সেখানে নিমন্ত্রিত ছিলেন না আসলাম, গাউস, রুমিদের কেউই। মুন্না এখন সবকিছুর ঊর্ধ্বে, কিন্তু তাঁর পরিবারকে নিমন্ত্রণ দূরে থাক, স্বীকৃতি সূচক কোনো চিঠিও পাঠানো হয়নি। করোনার এই সময়ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ উদ্‌যাপন চলছে, কিন্তু বাংলাদেশি সাবেক ফুটবলাররা যেন সবাই ভুলে যাওয়া নাম।

ইস্টবেঙ্গল নিয়ে প্রয়াত স্বামীর মুখ থেকে অনেক গল্পই শুনেছেন সুরভি মোমেন। ১৯৯৪ সালে স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় গিয়ে ব্যাপারটা নিজের চোখেই দেখেছিলেন। বুঝেছিলেন তাঁর স্বামী সেখানে কতটা জনপ্রিয়। কিন্তু একশ বছর পূর্তি উপলক্ষে কোথাও মুন্নার নাম নেই দেখে হতাশ সুরভি, ‘কলকাতায় গিয়ে দেখেছিলাম সমর্থকদের মধ্যে মুন্নার কী জনপ্রিয়তা। অথচ একশ বছর পূর্তিতে ক্লাবের পক্ষ থেকে মুন্নাকে স্মরণ না করায় আমি হতাশ হয়েছি। আমি মিডিয়ায় দেখেছি ক্লাব কিছু বিদেশি খেলোয়াড়দের ডেকে অনুষ্ঠান করেছে। আমাদেরও তো বলতে পারত।

সেই যে ১৯৯১ সালে খেলে আসার পর ক্লাবের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগই নেই আসলামের। শত বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে অন্তত একটি ফোন আশা করেছিলেন সাবেক স্ট্রাইকার আসলাম, ‘অন্তত পক্ষে আমাকে আর মুন্নার পরিবারকে তো বলতে পারত ক্লাব। ১৯৯১ সালে দলকে লিগ চ্যাম্পিয়ন করতে আমাদেরও কিছু ভূমিকা ছিল। বিশেষ করে মুন্নার। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কীভাবে আমাদের ভুলে গেল, বুঝলাম না। সেই খেলে আসার পর ক্লাব আরও আমাদের সঙ্গে কখনো যোগাযোগও করেনি।’

মুন্না-আসলামদের স্মরণ না করাই কিছুটা হতাশ ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ সৈয়দ নঈমুদ্দিনও। নঈমুদ্দিনের অধীনেই ১৯৯১ সালে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে কলকাতা জয় করেছিলেন মুন্না। সেই থেকেই মুন্নার প্রতি ভারতীয় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও কোচের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। ক্লাবের সঙ্গে নিজে থেকেই যোগাযোগ করবেন বলে কলকাতা থেকে জানালেন সৈয়দ নঈমুদ্দিন, ‘মুন্না তো ‘গ্রেট’ ছিল। আসলামও বড় খেলোয়াড়। ক্লাবের প্রতি তাঁদের নিবেদন দেখেছি খুব। অবশ্যই তাঁদের সম্মান জানানো উচিত ছিল ক্লাবের। আমি নিজে ক্লাবে যোগাযোগ করব, মুন্নার পরিবার ও আসলাম, গাউস, রুমিদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।