ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

করোনাভাইরাস : জাপানের সেই জাহাজে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৩৩৭ টাইম ভিউ

জাপানে যাত্রীবাহী সেই জাহাজে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬১ জনে ঠেকেছে। এর আগে গত দু’দিনে ১০ জন করে মোট ২০ জন আক্রান্তের বিষয়টি জানা যায়। পরে নতুনভাবে ৪১ জন শনাক্ত হলো।

জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের দ্রুত ওই জাহাজ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। বিদেশিদের মধ্যে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, তাদেরও হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

চীনের বাইরে জাপানের ডায়ামন্ড প্রিন্সেস নামক জাহাজেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ২৮ জন, থাইল্যান্ডে ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর সেই জাহাজে আক্রান্তের মধ্যে বেশিরভাগই জাপানের নাগরিক।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তিন হাজার সাতশ ১১ জনসহ যাত্রীবাহী জাহাজ সমুদ্রে আলাদা করে রেখেছে জাপান। জানা গেছে, জাহাজের অন্তত দু’শ ৭৩ জনকে পরীক্ষা করে ১০ জনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে প্রথমধাপে।

সমুদ্রে বিচ্ছিন্ন করে রাখা সেই জাহাজে দুই হাজার ছয়শ ৬৬ জন যাত্রী এবং এক হাজার ৪৫ জন ক্রু রয়েছেন। আক্রান্ত ১০ জনকে জাপানের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাটসুনোবু কাটো জানিয়েছেন, এর আগে সেই জাহাজের একজন যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তার সঙ্গে যারা দেখা করেছিলেন এবং একটু অস্বস্তিতে রয়েছেন, এরকম ২৭৩ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন প্রথমদিনে। পরদিন আরো ১০ জন চিহ্নিত হন।

জাপান সরকার বলছে, সেই জাহাজে অন্তত ১৪ দিন যাত্রীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারণ, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ১৪ দিনের মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশ পায়। আর এ ঘটনায় জাপানে এখন পর্যন্ত ৮৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হলেন।

প্রসঙ্গত, ওই জাহাজে থাকা এক যাত্রী গত সোমবার হংকংয়ে যাওয়ার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এরপর গত সোমবারই ওই জাহাজের আরো আটজন যাত্রী (যারা এরই মধ্যে জাহাজ থেকে নেমে গেছেন) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জাপানের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ওই আটজনের জ্বর ও সর্দি-কাশি রয়েছে।

জাহাজে থাকা প্রত্যেক যাত্রী বর্তমানে আতঙ্কে আছেন। তাদের প্রত্যাশা, যেন শিগগিরই সবাইকে পরীক্ষা করে দেখা হয়, তারাও আক্রান্ত কিনা।

পোস্ট শেয়ার করুন

করোনাভাইরাস : জাপানের সেই জাহাজে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে

আপডেটের সময় : ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

জাপানে যাত্রীবাহী সেই জাহাজে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬১ জনে ঠেকেছে। এর আগে গত দু’দিনে ১০ জন করে মোট ২০ জন আক্রান্তের বিষয়টি জানা যায়। পরে নতুনভাবে ৪১ জন শনাক্ত হলো।

জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের দ্রুত ওই জাহাজ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। বিদেশিদের মধ্যে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, তাদেরও হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

চীনের বাইরে জাপানের ডায়ামন্ড প্রিন্সেস নামক জাহাজেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ২৮ জন, থাইল্যান্ডে ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর সেই জাহাজে আক্রান্তের মধ্যে বেশিরভাগই জাপানের নাগরিক।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে তিন হাজার সাতশ ১১ জনসহ যাত্রীবাহী জাহাজ সমুদ্রে আলাদা করে রেখেছে জাপান। জানা গেছে, জাহাজের অন্তত দু’শ ৭৩ জনকে পরীক্ষা করে ১০ জনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে প্রথমধাপে।

সমুদ্রে বিচ্ছিন্ন করে রাখা সেই জাহাজে দুই হাজার ছয়শ ৬৬ জন যাত্রী এবং এক হাজার ৪৫ জন ক্রু রয়েছেন। আক্রান্ত ১০ জনকে জাপানের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাটসুনোবু কাটো জানিয়েছেন, এর আগে সেই জাহাজের একজন যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তার সঙ্গে যারা দেখা করেছিলেন এবং একটু অস্বস্তিতে রয়েছেন, এরকম ২৭৩ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন প্রথমদিনে। পরদিন আরো ১০ জন চিহ্নিত হন।

জাপান সরকার বলছে, সেই জাহাজে অন্তত ১৪ দিন যাত্রীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারণ, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ১৪ দিনের মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশ পায়। আর এ ঘটনায় জাপানে এখন পর্যন্ত ৮৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হলেন।

প্রসঙ্গত, ওই জাহাজে থাকা এক যাত্রী গত সোমবার হংকংয়ে যাওয়ার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এরপর গত সোমবারই ওই জাহাজের আরো আটজন যাত্রী (যারা এরই মধ্যে জাহাজ থেকে নেমে গেছেন) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জাপানের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ওই আটজনের জ্বর ও সর্দি-কাশি রয়েছে।

জাহাজে থাকা প্রত্যেক যাত্রী বর্তমানে আতঙ্কে আছেন। তাদের প্রত্যাশা, যেন শিগগিরই সবাইকে পরীক্ষা করে দেখা হয়, তারাও আক্রান্ত কিনা।