ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার পাহাড়

দেশ দিগন্ত ডেক্স:
  • আপডেটের সময় : ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০
  • / ৩১৮ টাইম ভিউ

টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। যার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। এতদিন তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর প্রদীপের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যার অভিযোগ আনেন এক নারী। আর এ নিয়ে প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এ দিন দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে আব্দুল জলিল নামে একজনকে হত্যার এ অভিযোগ আনেন তার স্ত্রী সানোয়ারা বেগম।

অভিযুক্তরা হলেন- টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, হোয়াইক্ষ্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মশিউর রহমান, এএসআই আরিফুর রহমান, এসআই সুজিত চন্দ্র দে, জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এসআই অরুণ কুমার চাকমা, এসআই নাজিম উদ্দিন, এসআই মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এএসআই রাম চন্দ্র দাশ, কনস্টেবল সাগর দেব, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, হোয়াইক্ষ্যং ইউপির দফাদার কাঞ্জরপাড়ার মৌলভী সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আমিনুল হক। সাক্ষী করা হয়েছে ১০ জনকে।

বাদীর অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরের আদালতপাড়া থেকে আব্দুল জলিলকে আটক করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া। পরে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউরের মাধ্যমে তাকে টেকনাফ থানায় নেয়া হয়। সেখানে বন্দুকযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে আব্দুল জলিলের স্ত্রী সানোয়ারা বেগমের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন প্রদীপ কুমার দাশ। পরে স্বামীকে বাঁচাতে স্বর্ণালংকার বিক্রি করে প্রদীপকে পাঁচ লাখ টাকা দেন সানোয়ারা বেগম। কিন্তু পাঁচ লাখ টাকা দিলেও চলতি বছরের ৭ জুলাই বন্দুকযুদ্ধের নামে আব্দুল জলিলকে হত্যা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, আব্দুল জলিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আব্দুল জলিলের ময়নাতদন্ত হয়েছে কি না, এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় করা মামলার তদন্তসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে। এছাড়া ১০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছে আাদলত।

এর আগে দাবি অনুযায়ী ঘুষ দেয়ার পরও একজনকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া আরো একটি মামলায় ২৩ জনসহ আসামি হন প্রদীপ। সেখানেও দাবি করা টাকা না দেয়ায় মাহমুদুর রহমান নামে এক প্রবাসীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।#

পোস্ট শেয়ার করুন

ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার পাহাড়

আপডেটের সময় : ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০

টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। যার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। এতদিন তার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর প্রদীপের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা।

বৃহস্পতিবার প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যার অভিযোগ আনেন এক নারী। আর এ নিয়ে প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এ দিন দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে আব্দুল জলিল নামে একজনকে হত্যার এ অভিযোগ আনেন তার স্ত্রী সানোয়ারা বেগম।

অভিযুক্তরা হলেন- টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, হোয়াইক্ষ্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মশিউর রহমান, এএসআই আরিফুর রহমান, এসআই সুজিত চন্দ্র দে, জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এসআই অরুণ কুমার চাকমা, এসআই নাজিম উদ্দিন, এসআই মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এএসআই রাম চন্দ্র দাশ, কনস্টেবল সাগর দেব, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, হোয়াইক্ষ্যং ইউপির দফাদার কাঞ্জরপাড়ার মৌলভী সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. আমিনুল হক। সাক্ষী করা হয়েছে ১০ জনকে।

বাদীর অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরের আদালতপাড়া থেকে আব্দুল জলিলকে আটক করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া। পরে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউরের মাধ্যমে তাকে টেকনাফ থানায় নেয়া হয়। সেখানে বন্দুকযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে আব্দুল জলিলের স্ত্রী সানোয়ারা বেগমের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন প্রদীপ কুমার দাশ। পরে স্বামীকে বাঁচাতে স্বর্ণালংকার বিক্রি করে প্রদীপকে পাঁচ লাখ টাকা দেন সানোয়ারা বেগম। কিন্তু পাঁচ লাখ টাকা দিলেও চলতি বছরের ৭ জুলাই বন্দুকযুদ্ধের নামে আব্দুল জলিলকে হত্যা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, আব্দুল জলিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আব্দুল জলিলের ময়নাতদন্ত হয়েছে কি না, এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় করা মামলার তদন্তসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে। এছাড়া ১০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছে আাদলত।

এর আগে দাবি অনুযায়ী ঘুষ দেয়ার পরও একজনকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া আরো একটি মামলায় ২৩ জনসহ আসামি হন প্রদীপ। সেখানেও দাবি করা টাকা না দেয়ায় মাহমুদুর রহমান নামে এক প্রবাসীকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।#